প্রেস রিলিজের চোখে অমর একুশে বই মেলা ২০২৪ (ফেব্রুয়ারি ১ থেকে ১৫)

 প্রেস রিলিজের চোখে অমর একুশে বই মেলা ২০২৪


বাংলা একাডেমি প্রতি বছর মাসব্যাপী অমর একুশে বইমেলার আয়োজন করে। বইমেলার প্রচারের জন্য প্রতিরাতেই একটি প্রেস রিলিজ বাংলা একাডেমি থেকে সরবরাহ করা হয়। দুই খণ্ডে অমর একুশে বইমেলা ২০২৪-এর প্রেস রিলিজ গুলো এখানে দেয়া হলো।

তারিখ: ফেব্রুয়ারি ১ থেকে ১৫

তারিখ: ফেব্রুয়ারি ১৬ থেকে মার্চ ২




তারিখ: ০১.০২.২০২৪

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

অমর একুশে বইমেলা ২০২৪-এর শুভ উদ্বোধন

আজ ১৮ই মাঘ ১৪৩০/১লা ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বৃহস্পতিবার শুভ উদ্বোধন হলো 'অমর একুশে বইমেলা ২০২৪'। বিকেল ৩:০০টায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে 'অমর একুশে বইমেলা ২০২৪'-এর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন 'সুরের ধারা'র শিল্পীদের সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং ঐতিহাসিক ভাষার গান আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে মহান ভাষা আন্দোলনের শহিদ স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর পবিত্র ধর্মগ্রন্থসমূহ থেকে পাঠ করা হয়।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি মোঃ আরিফ হোসেন ছোটন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।

স্বাগত ভাষণে কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, এ বছর একুশে বইমেলার চারদশক পূর্ণ হচ্ছে। দেশবাসীর সহায়তায় বাংলা একাডেমি সফলতার সঙ্গে এই বইমেলা আয়োজন করে আসছে। গত চল্লিশ বছরে বইমেলা পরিণত হয়েছে বাঙালির বৃহত্তর এক বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক উৎসবে। একুশে বইমেলা ও বাংলা একাডেমি অবিচ্ছেদ্য শব্দবন্ধ।

মোঃ আরিফ হোসেন ছোটন বলেন, বইমেলা লেখক পাঠক প্রকাশক-সহ গোটা দেশবাসীর প্রাণের মেলা।

খলিল আহমদ বলেন, ভাষা-আন্দোলনের অমর শহিদদের স্মৃতিতে আয়োজিত মাসব্যাপী অমর একুশে বইমেলা পৃথিবীর দীর্ঘতম বইমেলা। এখন এই মেলা বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মিলিয়ে বিস্তৃত পরিসরে বাঙালির বৃহত্তর বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক উৎসবে পরিণত হয়েছে।

সভাপতির ভাষণে সেলিনা হোসেন বলেন, বইমেলাকে কেন্দ্র করে আমাদের ভাষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে। তরুণ প্রজন্ম যেন বাংলা ভাষা সাহিত্য ও বাঙালির সংস্কৃতিকে উত্তরোত্তর এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বইমেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একুশে বইমেলা বাঙালির প্রাণের মেলা। বঙ্গবন্ধু যে সাংস্কৃতিক অগ্রগতির আকাঙ্ক্ষা নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন একুশে বইমেলা সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণের অন্যতম হাতিয়ার। সারাবছর বাংলাভাষী মানুষ এই মেলার জন্য অপেক্ষা করেন। এক একটি বাংলা অক্ষর আমাদের যে স্বপ্ন দেখায়, বইমেলার প্রতিটি নতুন বই তেমন বহু স্বপ্নের বীজ বপন করে যায় পাঠকের মনে। তিনি বলেন, আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে এবার বিপুল উৎসাহ- উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বইমেলা শুরু হচ্ছে। বর্তমান সরকার বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পৌঁছে দেয়ার জন্য যে অঙ্গীকার করেছে, বাংলা একাডেমি সে অঙ্গীকারের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে নিয়মিত বাংলা সাহিত্যের অনুবাদ প্রকাশ করছে। আমি মনে করি এক্ষেত্রে আমাদের আরও মনোযোগী হতে হবে এবং প্রযুক্তির পৃথিবীতে মুদ্রিত বইয়ের পাশাপাশি অডিও বুক প্রকাশ এবং বিপনণের বিষয়ও নতুন করে ভাবতে হবে।

অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৩ প্রদান করা হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখকগণের হাতে পুরস্কারের অর্থমূল্যের চেক, ক্রেস্ট ও সম্মাননাপত্র তুলে দেন।

বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৩ পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন -- কবিতা-শামীম আজাদ, কথাসাহিত্য-নূরুদ্দিন জাহাঙ্গীর ও সালমা বাণী, প্রবন্ধ/গবেষণা- জুলফিকার মতিন, অনুবাদ-সালেহা চৌধুরী, নাটক ও নাট্যসাহিত্য (যাত্রা/পালা নাটক/সাহিত্যনির্ভর আর্টফিল্ম বা নান্দনিক চলচ্চিত্র)-মৃত্তিকা চাকমা ও মাসুদ পথিক, শিশুসাহিত্য-তপংকর চক্রবর্তী, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণা- আফরোজা পারভীন ও আসাদুজ্জামান আসাদ, বঙ্গবন্ধু-বিষয়ক গবেষণা- সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল ও মো. মজিবুর রহমান, বিজ্ঞান/কল্পবিজ্ঞান/পরিবেশ বিজ্ঞান-ইনাম আল হক, আত্মজীবনী/স্মৃতিকথা/ভ্রমণকাহিনি/মুক্তগদ্য-ইসহাক খান, ফোকলোর- তপন বাগচী ও সুমনকুমার দাশ।

অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমি প্রকাশিত Collected Works of Sheikh Mujibur Rahman এবং প্রাণের মেলায়: শেখ হাসিনা (অমর একুশে বইমেলার ভাষণসংকলন), সংস্কৃতি ও সদাচার (প্রবন্ধ সংকলন), 1971: A Dairy (কবি সুফিয়া কামালের স্মৃতিকথার অনুবাদ), Confessions of a Believer (মাহবুব উল আলমের বইয়ের অনুবাদ), Footfalls (সৈয়দ শামসুল হকের কাব্যনাট্যের অনুবাদ), Cluster Clouds (রাবেয়া খাতুনের উপন্যাসের অনুবাদ), An Untold Story (রিজিয়া রহমানের উপন্যাসের অনুবাদ), The Glorious Afternoon (সেলিনা হোসেনের উপন্যাসের অনুবাদ) এবং নজরুল ইন্সটিটিউট প্রকাশিত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরুল-কথা বইসমূহের গ্রন্থ-উন্মোচন করা হয়।

বইমেলা উদ্বোধন শেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বীরমুক্তিযোদ্ধা এ কে এম বজলুর রহমান ফাউন্ডেশন আয়োজিত 'বাংলা ভাষা ও বঙ্গবন্ধু' শীর্ষক বিশেষ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন এবং মেলা পরিদর্শন করেন।

অমর একুশে বইমেলা ২০২৪-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন অধ্যাপক রূপা চক্রবর্তী এবং ড. শাহাদাৎ হোসেন নিপু।

আগামীকালের সময়সূচি

আগামীকাল ১৯শে মাঘ ১৪৩০/২রা ফেব্রুয়ারি ২০২৪ শুক্রবার। অমর একুশে বইমেলার ২য় দিন। মেলা শুরু হবে সকাল ১১:০০টায়, চলবে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত। আগামীকাল সকাল ১১:০০টা থেকে বেলা ০১:০০টা পর্যন্ত মেলায় শিশুপ্রহর চলবে।

আলোচনা অনুষ্ঠান

বিকেল ৪:০০ টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে স্মরণ: মহাকবি আলাওল শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন সাইমন জাকারিয়া। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন মিল্টন বিশ্বাস এবং মোহাম্মদ শেখ সাদী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন মোঃ আবুল কাসেম।

সমীর কুমার সরকার

পরিচালক 

জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ



তারিখ : ০২.০২.২০২৪

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

অমর একুশে বইমেলা ২০২৪  

আজ ১৯ই মাঘ ১৪৩০/২রা ফেব্রুয়ারি ২০২৪ শুক্রবার। অমর একুশে বইমেলা ২০২৪-এর ২য় দিন। মেলা শুরু হয় সকাল ১১:০০ টায় এবং চলে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত। বইমেলা আজ ছিল শিশুপ্রহর। আজ নতুন বই এসেছে ৩১টি।

বিকেল ৪:০০টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় স্মরণ: মহাকবি আলাওল শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাইমন জাকারিয়া। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মিল্টন বিশ্বাস এবং মোহাম্মদ শেখ সাদী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মোঃ আবুল কাসেম।

প্রাবন্ধিক বলেন, বাঙালি ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের অবাঙালি গবেষকদের বিচারে খ্রিষ্টীয় সপ্তদশ শতকের কবি আলাওল মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আখ্যান কবি হিসেবে স্বীকৃত। আলাওল রচিত পদ্মাবতী, সিকান্দরনামা, তোহফা, রাগতালনামা ও পদাবলী এবং কাজী দৌলতের সতী-ময়না লোর-চন্দ্রাণী'র শেষাংশ হস্তলিখিত পাণ্ডুলিপির সাহায্যে সম্পাদিত গ্রন্থাকারে বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বলেন, নতুন নতুন তথ্যের আলোকে মহাকবি আলাওলকে যে তত্ত্বীয় পরিসরে গবেষকগণ উপস্থাপন করছেন তাতে তাঁর সাহিত্যের গভীরতা, দূরদৃষ্টি-সম্পন্নতা এবং মহাকাল স্পর্শের ক্ষমতা স্পষ্ট হয়।

আলোচকবৃন্দ বলেন, মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ সৃষ্টিকর্ম 'ছয়ফুলমুলক-বদিয়ঃজ্জামান'। এই কাব্যের পরিচয় কেবল আখ্যানকাব্য বা প্রণয়োপাখ্যানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এই কাহিনি কিচ্ছা আকারে যাত্রাপালায়ও পরিবেশিত হয়েছে। কাজেই এই পুথির আবেদন অত্যন্ত ব্যাপক ও বিস্তৃত। মহাকবি আলাওল তাঁর ভাষার সৌকর্য এবং পাণ্ডিত্যের কারণে মধ্যযুগের অন্যান্য কবিদের থেকে স্বকীয়। প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় সাহিত্যকর্মের পাঠোদ্ধার, সম্পাদনা বা আধুনিক বাংলা ভাষার অনুবাদ অত্যন্ত শ্রমসাধ্য কাজ। এ ধরনের সাহিত্য পাঠোদ্ধার করতে হলে হস্তলিখিত মূল পাণ্ডুলিপি বা পুথির ওপরই নির্ভর করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে মোঃ আবুল কাসেম বলেন, মধ্যযুগে প্রচলিত বিশ্বাস ছিল যে বাংলা ভাষা মুসলমানের ভাষা নয়, হিন্দুর ভাষা। তথাপি মধ্যযুগের মুসলমান কবিগণ বাংলা ভাষায় প্রচুর সাহিতকর্ম রচনা করেছেন। মহাকবি আলাওলও এর ব্যতিক্রম নন। প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় সাহিত্যিকদের সাহিত্যকর্মের একাধিক পাঠ থেকে লেখকের অভিপ্রেত পাঠটি পুনরদ্ধার করাই পাণ্ডুলিপি বা পুথি সম্পাদনার মূল উদ্দেশ্য। এই কষ্টসাধ্য কাজে তরুণ গবেষকদের উৎসাহিত করতে হলে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রাচীন ও দুষ্প্রাপ্য পুথি এবং পাণ্ডুলিপি সহজলভ্য করতে হবে।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি রুবী রহমান, আসাদ মান্নান এবং মাহবুব সাদিক। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী লায়লা আফরোজ, মুস্তাফা ওয়ালিদ এবং মজুমদার বিপ্লব। এছাড়া ছিল ড. আবুল কালাম আজাদ-এর পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন 'বাংলাদেশ লোকসংগীত পরিষদ' এবং ড. মো. শাহাদাৎ হোসেন-এর পরিচালনায় আবৃত্তি সংগঠন 'বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ'-এর পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী তিমির নন্দী, মহিউজ্জামান চৌধুরী, প্রিয়াংকা গোপ, জুলি শারমিলি এবং মানিক রহমান। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন গৌতম মজুমদার (তবলা), এ কে আজাদ মিন্টু (কী-বোর্ড), মো. ফারুক (অক্টোপ্যাড) এবং রিচার্ড কিশোর (গীটার)।

আগামীকালের সময়সূচি

আগামীকাল ২০শে মাঘ ১৪৩০/৩রা ফেব্রুয়ারি ২০২৪ শনিবার। অমর একুশে বইমেলার ৩য় দিন। মেলা শুরু হবে সকাল ১১:০০টায়, চলবে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত। আগামীকাল সকাল ১১:০০টা থেকে বেলা ০১:০০টা পর্যন্ত মেলায় থাকবে শিশুপ্রহর।

আলোচনা অনুষ্ঠান

বিকেল ৪:০০ টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে দ্বিশতজনন্মবার্ষিক শ্রদ্ধাঞ্জলি: মাইকেল মধুসূদন দত্ত শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন রফিকউল্লাহ খান। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন খসরু পারভেজ এবং হোসনে আরা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন মুহম্মদ নূরুল হুদা। 

সমীর কুমার সরকার

পরিচালক

জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ



তারিখ: ০৩.০২.২০২৪

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

অমর একুশে বইমেলা ২০২৪

আজ ২০শে মাঘ ১৪৩০/৩রা ফেব্রুয়ারি ২০২৪ শনিবার। অমর একুশে বইমেলা ২০২৪-এর ৩য় দিন। মেলা শুরু হয় সকাল ১১:০০টায় এবং চলে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত। বইমেলায় আজ ছিল শিশুপ্রহর। আজ নতুন বই এসেছে ৭৪টি।

বিকেল ৪:০০টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিশতজন্মবার্ষিক শ্রদ্ধাঞ্জলি: মাইকেল মধুসূদন দত্ত শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রফিকউল্লাহ খান। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন খসরু পারভেজ এবং হোসনে আরা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুহম্মদ নূরুল হুদা।

প্রাবন্ধিক বলেন, বাংলা সাহিত্যে মাইকেল মধুসুদন-বিচার কেবল মননশীল সাহিত্য-সমালোচনার বিষয় নয়, সমগ্র ঊনবিংশ শতাব্দীর ব্যক্তিসত্তা, সমাজসত্তা ও সৃষ্টিশীলতার জাগরণ এবং সাহিত্যের প্রায় সবগুলো রূপের উন্মেষ ও প্রতিষ্ঠার বহুমুখী পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও সাফল্যের ইতিবৃত্ত। নাটক, আখ্যান-কাব্য, গীতিকবিতা, চতুর্দশপদী, পত্র-কাব্য, গ্রিক মহাকাব্যের গদ্যানুবাদ, ইংরেজি রচনা ও চিঠিপত্র মিলিয়ে তাঁর সৃষ্টিশীল প্রতিভার প্রকাশরূপ বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে মূল্যায়িত হয়েছে। তাঁর কিংবদন্তিতুল্য জীবন ও কর্মের সম্পূর্ণ বাস্তবসম্মত রূপ অঙ্কনের প্রয়াস আজও চলমান।

আলোচকবৃন্দ বলেন, মাইকেল মধুসূদন দত্ত ছিলেন তাঁর যুগের থেকেও অগ্রসর। বাংলা সাহিত্য অঙ্গনে তিনি এনেছিলেন আধুনিকতার যুগ। রামায়ণের কাহিনিকে অবলম্বন করে রাবণকে নতুনভাবে আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন। চিরায়ত সাহিত্যের প্রতি তাঁর বিশেষ অনুরাগ থাকলেও তাঁর সাহিত্যে চিরায়ত ও রোমান্টিকতার সহাবস্থান লক্ষ করা যায়। মধুসুদনের ব্যক্তিজীবন ও সাহিত্যজীবনের পাশাপাশি তাঁর সাহিত্যকর্ম নিয়েও গভীরভাবে গবেষণা হওয়া প্রয়োজন।

সভাপতির বক্তব্যে মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, বাংলা সাহিত্যের আদি আধুনিক কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত। তিনি এমন একজন সৃষ্টিশীল সত্তা যিনি বিভিন্ন ভাষায় দক্ষতা অর্জন করেছিলেন, বিভিন্ন ভাষার মৌলিক সাহিত্য পাঠ করেছিলেন এবং নিজস্ব মৌলিকতা সৃষ্টি করেছিলেন। তাঁর এই মৌলিকতাকেই আমরা বলি আধুনিকতা। দ্বিশততম জন্মবর্ষে তাঁকে নতুনভাবে মূল্যায়ন করা অবশ্যই প্রাসঙ্গিক।

আজ লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন কবি সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল, কথাসাহিত্যিক ও অনুবাদক সালেহা চৌধুরী, লালন গবেষক আবু ইসহাক হোসেন এবং কবি ও প্রাবন্ধিক মামুন মুস্তাফা।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি নাসির আহমেদ, তারিক সুজাত, শাহনাজ মুন্নী এবং নাহার মনিকা। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী মিলন কান্তি দে, শাহাদাৎ হোসেন নিপু এবং আফরোজা কণা। এছাড়া ছিল ঝর্ণা আলমগীর-এর পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন 'ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠী' এবং লক্ষ্মীকান্ত হাওলাদার-এর পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন 'শেখ রাসেল ললিতকলা একাডেমি'-এর পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন কন্ঠশিল্পী সাজেদ আকবর, সালমা আকবর, লাইসা আহমেদ লিসা, অনুরাধা মণ্ডল, মুহাঃ আব্দুর রশীদ, সঞ্চিতা রাখি এবং পাপড়ি বড়ুয়া। যন্ত্রানুষঙ্গে ছিলেন বিশ্বজিৎ সরকার (তবলা), দেবা পাল (কী-বোর্ড), নাজমুল আলম খান (মন্দিরা) এবং অসিত বিশ্বাস (এসরাজ)।

আগামীকালের সময়সূচি

আগামীকাল ২১শে মাঘ ১৪৩০/৪ঠা ফেব্রুয়ারি ২০২৪ রবিবার। অমর একুশে বইমেলার ৪র্থ দিন। মেলা শুরু হবে বিকেল ৩:০০ টায়, চলবে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত।

আলোচনা অনুষ্ঠান

বিকেল ৪:০০টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে স্মরণ: কাঙাল হরিনাথ মজুমদার শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন তপন মজুমদার। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন জাফর ওয়াজেদ এবং আমিনুর রহমান সুলতান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন মুনতাসীর মামুন।

সমীর কুমার সরকার

পরিচালক

জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ



তারিখ: ০৪.০২.২০২৪

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

অমর একুশে বইমেলা ২০২৪

আজ ২১শে মাঘ ১৪৩০/৪ঠা ফেব্রুয়ারি ২০২৪ রবিবার। অমর একুশে বইমেলা ২০২৪-এর চতুর্থ দিন। মেলা শুরু হয় বিকেল ৩:০০টায় এবং চলে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত। আজ নতুন বই এসেছে ৬৬টি।

বিকেল ৪:০০টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় স্মরণ: কাঙাল হরিনাথ মজুমদার শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তপন মজুমদার। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন জাফর ওয়াজেদ এবং আমিনুর রহমান সুলতান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুনতাসীর মামুন। আলোচনার শুরুতে কাঙাল হরিনাথ মজুমদারের জীবন ও কর্মভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।

প্রাবন্ধিক বলেন, বাউল সংগীতকে সামাজিক জীবনধারার সঙ্গে সম্পৃক্ত করার মানসে ঊনবিংশ শতকে যে কয়েকজন সাহিত্যসাধক নিজেদের সাহিত্যসম্পদকে নিয়োজিত করেছিলেন কাঙাল হরিনাথ তাঁদের মধ্যে অন্যতম পথিকৃত। কাঙাল হরিনাথ হিরন্ময় প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। কাঙাল হরিনাথের জীবন-দর্শন, আধ্যাত্ম ভাবনা ও মরমি মানসের পরিচয় পাওয়া যায় তাঁর বাউল সংগীতের মধ্যে। এই বাউল সংগীতের কথা ও সুর এবং সহজ-সরল প্রাণস্পর্শী ভাব কী শিক্ষিত আর কী নিরক্ষর, সকলকেই মুগ্ধ করে।

আলোচকবৃন্দ বলেন, রুচিশীল ও শিল্পবোধ-সম্পন্ন কাঙাল হরিনাথ মজুমদার ছিলেন সৌন্দর্যের পূজারি। আমাদের আবহমান বাংলার লোক-ঐতিহ্যকে হৃদয়ে ধারণ করেছিলেন তিনি। সংবাদপত্র ও সাহিত্যকে তিনি শাসক ও শোষকদের বিরুদ্ধে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছেন। তিনি যেমন বাউল গানে অধ্যাত্মবাদের কথা বলেছেন তেমনি সমাজ-সংস্কারের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। কাঙাল হরিনাথ মজুমদার নিজেই ছিলেন একটি প্রতিষ্ঠান।

সভাপতির বক্তব্যে মুনতাসীর মামুন বলেন, কাঙাল হরিনাথ মজুমদার ছিলেন একইসঙ্গে বিদ্রোহী এবং অধ্যাত্মবাদী। তাঁর কর্মের ব্যাপ্তি ছিল অনেক দূর-বিস্তৃত। সৃজনশীল বুদ্ধিজীবী হিসেবে তিনি প্রান্তিক অবস্থানে থেকেও সমাজ সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন।

আজ লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন চলচ্চিত্রকার ও লেখক তানভীর মোকাম্মেল, শিশুসাহিত্যিক বেণীমাধব সরকার, গবেষক কাজল রশীদ শাহীন এবং কবি ফারুক আহমেদ।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি আনিসুল হক, ফারুক মাহমুদ এবং ঝর্না রহমান। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, ডালিয়া আহমেদ এবং নায়লা তারান্নুম চৌধুরী। এছাড়া ছিল অনুপম বিশ্বাসের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন 'বেসিক একাডেমি অফ ইয়োগিক এ্যাকুস্টিক ট্রেডিশনাল ইন্সট্রুমেন্ট' এবং মো. সাজেদুল ইসলাম ফাতেমীর পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন 'নকশিকাঁথা'র সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন কন্ঠশিল্পী ফরিদা পারভীন, চন্দনা মজুমদার, আব্দুল লতিফ শাহ, আরিফ দেওয়ান এবং সরকার আমিরুল ইসলাম। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন রবীন্দ্রনাথ পাল (তবলা), এ কে আজাদ মিন্টু (কী-বোর্ড), গাজী আবদুল হাকিম (বাঁশি) এবং শেখ জালাল উদ্দীন (দোতারা)।

আগামীকালের সময়সূচি

আগামীকাল ২২শে মাঘ ১৪৩০/৫ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সোমবার। অমর একুশে বইমেলার পঞ্চম দিন। মেলা শুরু হবে বিকেল ৩:০০টায়, চলবে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত।।

আলোচনা অনুষ্ঠান

বিকেল ৪:০০ টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে সার্ধশত জন্মবার্ষিক শ্রদ্ধাঞ্জলি মোহাম্মদ রওশন আলী চৌধুরী শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন মাসুদ রহমান। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন ইসরাইল খান এবং তপন বাগচী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন সাইফুল আলম।

সমীর কুমার সরকার

পরিচালক

জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ



তারিখ: ০৫.০২.২০২৪

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

অমর একুশে বইমেলা ২০২৪

আজ ২২শে মাঘ ১৪৩০/৫ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সোমবার। অমর একুশে বইমেলা ২০২৪-এর ৫ম দিন। মেলা শুরু হয় বিকেল ৩:০০টায় এবং চলে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত। আজ নতুন বই এসেছে ৭০টি।

বিকেল ৪:০০টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় সার্ধশত জন্মবার্ষিক শ্রদ্ধাঞ্জলি মোহাম্মদ রওশন আলী চৌধুরী শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাসুদ রহমান। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ইসরাইল খান এবং তপন বাগচী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাইফুল আলম।

প্রাবন্ধিক বলেন, মানোত্তীর্ণ সাহিত্যসৃষ্টির সমূহ প্রতিভা ছিল মোহাম্মদ রওশন আলী চৌধুরীর। মাত্র ষাট বছরের জীবনে তাঁর যে সাধনা ও কীর্তি, তা তাঁকে বাঙালির নবজাগরণের ইতিহাসে স্মরণীয়জনের আসন দিয়েছে। একজন বিশিষ্ট সাহিত্যিক, সাংবাদিক-সম্পাদক, সংগঠক ও রাজনীতিক হিসেবে তিনি বরেণ্য। তাঁর জীবনবৃত্তের পুরো তথ্য চয়ন ও বিশ্লেষণ করলে শুধু মুসলিম সম্প্রদায় বা পূর্ববাংলার নয়, হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে তাঁকে একজন যথার্থ রেনেসাঁ-অনুধ্যায়ী পুরুষ ও প্রকৃত বুদ্ধিজীবী হিসেবে শনাক্ত করা সম্ভব।

আলোচকবৃন্দ বলেন, মোহাম্মদ রওশন আলী চৌধুরীর বড়ো পরিচয় হলো সাময়িকপত্র সম্পাদনা। তিনি ছিলেন অত্যন্ত প্রগতিশীল চিন্তাভাবনার অধিকারী। তৎকালীন সময়ে শিক্ষায় পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনি। অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও নৈতিক মূল্যবোধ-সম্পন্ন রওশন আলী চৌধুরী সাহিত্যচর্চায় মানুষকে উৎসাহী করে তোলার জন্য আজীবন পরিশ্রম করেছেন। আমাদের সাহিত্যের অগ্রযাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি তৈরি করে দিয়েছিলেন তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে সাইফুল আলম বলেন, মোহাম্মদ রওশন আলী চৌধুরী একাধারে একজন লেখক, সংগঠক, রাজনীতিবিদ এবং সম্পাদক ছিলেন। তিনি নিজে যেমন লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন, তেমনি লেখক-সাহিত্যিকদের একত্রিত করেছেন, সংঘবদ্ধ করেছেন। তাঁর জীবন ও কর্ম সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে অবগত করার দায়িত্ব আমাদের যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

আজ লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন কবি নাসির আহমেদ, কবি ইসলাম রফিক, শিশুসাহিত্যিক চন্দনকৃষ্ণ পাল এবং লোকসাহিত্য গবেষক সৈয়দা আঁখি হক।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি রবীন্দ্র গোপ, সরকার মাসুদ এবং মাসুদ পথিক। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী রেজিনা ওয়ালী, সাফিয়া খন্দকার রেখা এবং শামস্ মিঠু। দলগত আবৃত্তি পরিবেশন করেন ফয়জুল আলম পাস্তুর পরিচালনায় আবৃত্তি সংগঠন 'প্রকাশ সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংগঠন'-এর শিল্পীবৃন্দ। এছাড়া ছিল কবিরুল ইসলাম রতনের পরিচালনায় নৃত্য সংগঠন 'নৃত্যালোক' এবং জুয়েল কুমার সরকারের পরিচালনায় নৃত্য সংগঠন 'নৃত্য নিকেতন'-এর নৃত্য পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী ফাতেমা তুজ জোহরা, ইয়াসমীন মুশতারী, থায়রুল আনাম শাকিল, সুমন মজুমদার, লীনা তাপসী খান এবং সায়ন্ত মিশকাত জামি। যন্ত্রানুষঙ্গে ছিলেন দেবাশীষ দাস (তবলা), ডালিম কুমার বড়ুয়া (কী- বোর্ড), গাজী আবদুল হাকিম (বাঁশি) এবং ফিরোজ খান (সেতার)।

আগামীকালের সময়সূচি

আগামীকাল ২৩শে মাঘ ১৪৩০/৬ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ মঙ্গলবার। অমর একুশে বইমেলার ষষ্ঠ দিন। মেলা শুরু হবে বিকেল ৩:০০ টায় এবং চলবে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত।

আলোচনা অনুষ্ঠান

বিকেল ৪:০০টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে স্মরণ: মুহম্মদ মনসুর উদ্দীন শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন জফির সেতু। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন শাহিদা খাতুন এবং সৌমিত্র শেখর। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন আবদুল খালেক।

সমীর কুমার সরকার

পরিচালক

জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ



তারিখ: ০৬.০২.২০২৪

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

অমর একুশে বইমেলা ২০২৪


আজ ২৩শে মাঘ ১৪৩০/৬ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ মঙ্গলবার। অমর একুশে বইমেলা ২০২৪-এর ষষ্ঠ দিন। মেলা শুরু হয় বিকেল ৩:০০টায় এবং চলে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত। আজ নতুন বই এসেছে ১০৮টি।

বিকেল ৪:০০ টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় স্মরণ: মুহম্মদ মনসুর উদ্দীন শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জফির সেতু। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন শাহিদা খাতুন এবং সৌমিত্র শেখর। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আবদুল খালেক।

প্রাবন্ধিক বলেন, বাংলা লোকসাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চার অন্যতম পথিকৃৎ মুহম্মদ মনসুর উদ্দীনের জন্ম ও কর্মপরিসর বিশশতকে। তিরাশি বছরের জীবনে তিনি সংস্কৃতিসাধনায় মগ্ন ছিলেন তেষট্টি বছর। জীবনের এই দীর্ঘপরিসরে বাংলা লোকসাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চায় যে-অবদান তিনি রেখে গেছেন তা তুলনারহিত। তিনি ছিলেন মূলত লোকসাহিত্য ও লোকসংস্কৃতির সংগ্রাহক, সংরক্ষক, সম্পাদক ও প্রকাশক। এছাড়া লোকসাহিত্যের পাঠবিশ্লেষণ, লোককবিদের জীবন অন্বেষণ, লোকসাহিত্যের তাত্ত্বিক বিষয় ও বিভিন্ন ধারার শ্রেণিবিচারসহ নানাবিধ আলোচনার মাধ্যমে বাংলা লোকসাহিত্যের বিশ্লেষণেও মনোযোগী ছিলেন।

আলোচকবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশের লোকসাহিত্যের পরিমণ্ডলে মুহম্মদ মনসুর উদ্দীন গুরুত্বপূর্ণ এক নাম। আমাদের গ্রামবাংলার লুপ্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তিনি আলোয় তুলে ধরেছেন। বাংলা লোকসাহিত্য-গবেষণায় আধুনিকতা ও আন্তর্জাতিকতার অগ্রপথিক তিনি। অসাধারণ মেধা ও প্রজ্ঞার অধিকারী মুহম্মদ মনসুর উদ্দীন লোকসাহিত্যের উপাদান সংগ্রহের পাশাপাশি সেগুলো ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণেও আধুনিকতার স্বাক্ষর রেখেছেন।

সভাপতির বক্তব্যে আবদুল খালেক বলেন, লোকসাহিত্য সংগ্রাহক ও গবেষক মুহম্মদ মনসুর উদ্দীন লোকসাহিত্যের প্রতি মানুষের আগ্রহ জাগ্রত করার জন্য কাজ করেছেন। লোকসাহিত্যের স্রষ্টা গ্রামের সাধারণ মানুষের সঙ্গে তিনি সহজেই মিশে যেতে পারতেন। লোকসাহিত্য পরিমণ্ডলে তিনি যে অসাধারণ কীর্তি রেখে গেছেন, তা বাঙালি সংস্কৃতিকে আলোকিত করেছে।

আজ লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন প্রাবন্ধিক খান মাহবুব, শিশুসাহিত্যিক শেলী সেনগুপ্তা, গবেষক নিগার চৌধুরী এবং কবি আহমেদ শিপলু।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি সাজ্জাদ আরেফিন, ফারহান ইশরাক এবং সৌম্য সালেক। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়, ঝর্ণা সরকার এবং মো. কামাল হোসেন। দলগত আবৃত্তি পরিবেশন করেন জাহাঙ্গীর চৌধুরীর পরিচালনায় আবৃত্তি সংগঠন 'উদ্ভাস আবৃত্তি সংগঠন'। এছাড়াও ছিল কাঙাল মজিবরের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন 'কাঙাল হরিনাথ সাংস্কৃতিক সংগঠন'-এর পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী নারায়ণ চন্দ্র শীল, বিমল বিশ্বাস, সাধিকা সৃজনী তানিয়া, শান্তা সরকার, শ্যামল কুমার পাল, আজমা সুরাইয়া শিল্পী এবং শারমিন সুলতানা। যন্ত্রানুষঙ্গে ছিলেন জয়সিংহ রায় (তবলা), আনোয়ার সাহদাত রবিন (কী-বোর্ড), মো. হাসান আলী (বাঁশি) এবং বিশ্বজিৎ সেন (মন্দিরা)।

আগামীকালের সময়সূচি

আগামীকাল ২৪শে মাঘ ১৪৩০/৭ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বুধবার। অমর একুশে বইমেলার সপ্তম দিন। মেলা শুরু হবে বিকেল ৩:০০টায় এবং চলবে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত।

আলোচনা অনুষ্ঠান

বিকেল ৪:০০ টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে স্মরণ: গোবিন্দ চন্দ্র দেব শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন অধ্যাপক প্রদীপ কুমার রায়। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন জয়দুল হোসেন এবং সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক।

সমীর কুমার সরকার

পরিচালক

জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ



তারিখ: ০৭.০২.২০২৪

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

অমর একুশে বইমেলা ২০২৪

আজ ২৪শে মাঘ ১৪৩০/৭ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বুধবার। অমর একুশে বইমেলা ২০২৪-এর সপ্তম দিন। মেলা শুরু হয় বিকেল ৩:০০ টায় এবং চলে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত। আজ নতুন বই এসেছে ৬৯টি।

বিকেল ৪:০০টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় স্মরণ: গোবিন্দ চন্দ্র দেব শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক প্রদীপ কুমার রায়। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন জয়দুল হোসেন এবং সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক।

প্রাবন্ধিক বলেন, ড. গোবিন্দ চন্দ্র দেব নানা অভিধায় অভিহিত ছিলেন। তিনি একদিকে ছিলেন অনন্য চিন্তক, দর্শনের অধ্যাপক, সর্বজনীন প্রেম ও প্রজ্ঞার এক বিরল ব্যক্তিত্ব, সর্বোপরি একজন উচুস্তরের মানবিক গুণসম্পন্ন মানুষ। তাঁর চিন্তার পরিসর ছিল সর্বব্যাপী, তা ছিল মানবতা ও বিশ্বপ্রেম-রসে জারিত। তাঁর দর্শনচিন্তা তত্ত্বের কঠোর আবরণ থেকে বেরিয়ে এসে ব্যাবহারিক জীবনে উদ্ভাসিত, প্রেম-রসে নিমজ্জিত যাতে অবগাহন করা যায় স্বচ্ছন্দে, নির্দ্বিধায়। তিনি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতেন যে আমাদের জ্ঞানের পরিধি আরো সম্প্রসারিত করে বিশ্বপ্রেমে আবৃত করতে হবে, আর তাহলেই সেই জ্ঞান মানুষের হৃদয়তন্ত্রীতে বেজে উঠবে, তার মর্মে ও কর্মে প্রকাশ পাবে।

আলোচকবৃন্দ বলেন, ড. গোবিন্দ চন্দ্র দেব ছিলেন বিরল প্রতিভার অধিকারী মানবতাবাদী একজন দার্শনিক। তিনি সারা জীবন সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও অধিকারের কথাই ভেবেছেন। ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতার ঊর্ধ্বে উঠে সবধর্ম সমন্বয়ী সমাজ গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছেন এবং তা বাস্তবায়নের চেষ্টাও করেছেন। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চে বর্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে নির্মমভাবে নিহত হওয়ার আগ পর্যন্ত গোবিন্দ চন্দ্র দেব মানুষের মঙ্গলের জন্য কাজ করে গেছেন।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক বলেন, ড. গোবিন্দ চন্দ্র দেব একজন স্মরণীয় বাঙালি। যুক্তি, বুদ্ধি, বিবেক ও গভীর দার্শনিক দৃষ্টি দিয়ে জীবন ও জগতকে প্রত্যক্ষণ করেছেন তিনি। তাঁর জীবন, কর্ম ও দর্শন তরুণ প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ হয়ে থাকবে। 

আজ লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন কথাসাহিত্যিক ও নাট্যকার ইসহাক খান, প্রাবন্ধিক ও গবেষক মিল্টন বিশ্বাস, শিশুসাহিত্যিক সারওয়ার-উল ইসলাম এবং কবি মেঘ অদিতি।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি বিমল গুহ, শিহাব সরকার এবং টোকন ঠাকুর। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী মীর বরকত, কাজী মাহতাব সুমন এবং অনন্যা লাবণী। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পুথি পাঠ করেন জালাল খান ইউসুফী। এছাড়াও ছিল নূরননবী শাস্তের পরিচালনায় 'ভাবনগর ফাউন্ডেশন' পরিবেশিত চর্যাপদের গান এবং মো. সাকিবুল ইসলামের পরিচালনায় নৃত্যসংগঠন 'মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি একাডেমী'র পরিবেশনা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন কন্ঠশিল্পী সুমন চৌধুরী, শাহনাজ নাসরীন ইলা, ডা. মকবুল হোসেন, অরূপ বিশ্বাস, করবী দাস, স্নিগ্ধা অধিকারী, নূরতাজ পারভীন এবং জান্নাত-এ-ফেরদৌসী। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন এনামুল হক ওমর (তবলা), মো. নূর এ আলম (কী-বোর্ড), অসিত বিশ্বাস (এসরাজ) এবং নাজমুল আলম খান (মন্দিরা)।

আগামীকালের সময়সূচি

আগামীকাল ২৫শে মাঘ ১৪৩০/৮ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বৃহস্পতিবার। অমর একুশে বইমেলার অষ্টম দিন। মেলা শুরু হবে বিকেল ৩:০০টায় এবং চলবে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত।

আলোচনা অনুষ্ঠান

বিকেল ৪:০০ টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে স্মরণ: আহমদ শরীফ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন রাজীব সরকার। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন মোরশেদ শফিউল হাসান এবং আফজালুল বাসার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন অধ্যাপক আবুল আহসান চৌধুরী।

সমীর কুমার সরকার

পরিচালক

জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ



তারিখ: ০৮.০২.২০২৪

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

অমর একুশে বইমেলা ২০২৪

আজ ২৫শে মাঘ ১৪৩০/৮ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বৃহস্পতিবার। অমর একুশে বইমেলা ২০২৪-এর অষ্টম দিন। মেলা শুরু হয় বিকেল ৩:০০টায় এবং চলে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত। আজ নতুন বই এসেছে ৮০টি।

বিকেল ৪:০০ টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় স্মরণ: আহমদ শরীফ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজীব সরকার। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মোরশেদ শফিউল হাসান এবং আফজালুল বাসার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক আবুল আহসান চৌধুরী।

প্রাবন্ধিক বলেন, শিক্ষক, গবেষক, প্রাবন্ধিক ও সমাজ রূপান্তরকামী বুদ্ধিজীবী-বহুমাত্রিক পরিচয়ে ভূষিত আহমদ শরীফ ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাঙালি চিন্তাবিদ। রেনেসাঁর প্রতি তাঁর ছিল গভীর অনুরাগ। আহমদ শরীফের ইহজাগতিক জীবনদর্শনের মূলে কাজ করেছে রেনেসাঁস চেতনা। মানুষের কল্যাণ সাধনই ছিল তাঁর ব্রত। মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও মুক্তবুদ্ধির অবিচল অনুশীলন করেছিলেন তিনি। এ জন্য স্বাধীন মত প্রকাশ করা থেকে নিজে কখনো বিরত থাকেননি। আহমদ শরীফের জীবন ও কর্ম পর্যালোচনা করলে যুক্তিবাদ, মুক্তচিন্তা, মানবমুখিনতা, বিজ্ঞানমনস্কতা ও আধুনিকতার উজ্জ্বল সম্মিলন দৃশ্যমান হয়।

আলোচকবৃন্দ বলেন, বিংশ শতাব্দীর একজন আধুনিক ও বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ ছিলেন অধ্যাপক আহমদ শরীফ। তিনি বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগ নিয়ে মৌলিকভাবে গবেষণা করেছেন। গভীর অনুসন্ধিৎসা ও জ্ঞানতৃষ্ণা ছিল তাঁর চরিত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য। জ্ঞানের আড়ষ্টতা ছাড়িয়ে জ্ঞানের গতিশীলতার প্রতি আমাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ করিয়েছেন তিনি। বস্তুবাদী ও বাস্তব দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন আহমদ শরীফ সমাজ ব্যবস্থায় বিপ্লব ঘটানোর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মুক্তির স্বপ্ন দেখেছেন।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আবুল আহসান চৌধুরী বলেন, অধ্যাপক আহমদ শরীফের চিন্তাজগৎ ছিল সুদূর প্রসারিত। জ্ঞান অন্বেষণের ধারাবাহিকতায় তাঁর চিন্তাজগতে বিবর্তনও ঘটেছে। নতুন বিষয়কে সহজভাবে গ্রহণ করার ক্ষমতা ছিল তাঁর। এই মহান চিন্তকের ইহজাগতিক ও রেনেসাঁ-চিন্তা আজও প্রাসঙ্গিক।

আজ লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন শিশুসাহিত্যিক দীপু মাহমুদ, গবেষক আলী আকবর টাবী, কবি সুমন সরদার এবং কথাসাহিত্যিক শাহরিয়া দিনা।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি আশরাফ আহমদ, নাসরীন জাহান, কামরুল হাসান এবং আলফ্রেড খোকন। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী মাহিদুল ইসলাম, শাকিলা মতিন মৃদুলা এবং অতনু করঞ্জাই। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পুথি পাঠ করেন মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম। এছাড়াও ছিল এ. কে. আজাদের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন 'আনন্দন' এবং শাহাবুদ্দিন আহমেদ দোলনের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন 'সুর সুধা সংগীতায়ন'-এর পরিবেশনা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী আকরামুল ইসলাম, আবুবকর সিদ্দিক, দেলোয়ার হোসেন বয়াতি, আমজাদ দেওয়ান, লাভলী দেব এবং আবদুল আউয়াল। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন তুলসী সাহা (তবলা), সুমন রেজা খান (কী-বোর্ড), মো. মনিরুজ্জামান (বাঁশি) এবং শাহরাজ চৌধুরী তপন (গীটার)।

আগামীকালের সময়সূচি

আগামীকাল ২৬শে মাঘ ১৪৩০/৯ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ শুক্রবার। অমর একুশে বইমেলার নবম দিন। মেলা শুরু হবে সকাল ১১:০০টায় এবং চলবে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত। সকাল ১১:০০টা থেকে বেলা ০১:০০টা পর্যন্ত মেলায় থাকবে শিশুপ্রহর।

অমর একুশে উদ্যাপনের অংশ হিসেবে সকাল ৮:৩০টায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন। সকাল ১০.০০টায় আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে শিশু-কিশোর আবৃত্তি প্রতিযোগিতার প্রাথমিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

আলোচনা অনুষ্ঠান

বিকেল ৪:০০ টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে স্মরণ: এস. ওয়াজেদ আলি শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন আবু হেনা মোস্তফা এনাম। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন ইকতিয়ার চৌধুরী এবং কুদরত-ই-হুদা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন অধ্যাপক সৈয়দ আকরম হোসেন।

সমীর কুমার সরকার

পরিচালক

জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ



তারিখ: ০৯.০২.২০২৪

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

অমর একুশে বইমেলা ২০২৪

আজ ২৬শে মাঘ ১৪৩০/৯ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ শুক্রবার। অমর একুশে বইমেলা ২০২৪-এর নবম দিন। মেলা শুরু হয় সকাল ১১:০০টায় এবং চলে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত। সকাল ১১:০০টা থেকে বেলা ০১:০০টা পর্যন্ত ছিল শিশুপ্রহর। আজ নতুন বই এসেছে ১৭১টি।

শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অমর একুশে উদ্যাপনের অংশ হিসেবে সকাল ৮:৩০টায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। এতে ক-শাখায় ৩৯৫, খ-শাখায় ২৩৫ এবং গ-শাখায় ৬৫ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন অধ্যাপক নিসার হোসেন।

শিশু-কিশোর আবৃত্তি প্রতিযোগিতা: সকাল ৯:৩০টায় বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে শিশু-কিশোর আবৃত্তি প্রতিযোগিতার প্রাথমিক বাছাই পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এতে ক-শাখায় ১২৩, খ-শাখায় ১৩৮ এবং গ-শাখায় ৫১ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন বাচিকশিল্পী আনজুমান আরা, মো. গোলাম সারোয়ার এবং রফিকুল ইসলাম।

বিকেল ৪:০০ টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় স্মরণ: এস. ওয়াজেদ আলি শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আবু হেনা মোস্তফা এনাম। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ইকতিয়ার চৌধুরী এবং কুদরত-ই-হুদা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক সৈয়দ আকরম হোসেন।

প্রাবন্ধিক বলেন, এস. ওয়াজেদ আলির রচনাসমগ্র কালের স্কুল ও নির্মম মুখোশমালা খুলে দেওয়া, সর্বমানবের মাঙ্গলিক সমাজ নির্মাণের ইশতিহার। স্নায়ু ও মজ্জার ভেতর আশ্চর্য বরাভয় নিয়ে তিনি লিখেছেন সমাজ-রাষ্ট্র-জীবন ও শিল্পসন্ধানী মানবমুক্তির দুঃসাহসিক রচনাসমূহ। এস. ওয়াজেদ আলির রক্ত ও মজ্জায় গেঁথে ছিল স্বদেশিকতা, জাতিত্ববোধ, মানবসম্পর্কের ঔদার্য। এমনকি তাঁর সাহিত্য ও নন্দনচিন্তার সাঁকো গড়ে উঠেছে মানুষের মাঙ্গলিক সম্মিলনের আকাঙ্ক্ষায়। কালের ক্ষত, রক্তের দাগ এবং অগ্নিদগ্ধ ছাই পেরিয়ে যে অখণ্ড রাষ্ট্রের স্বপ্ন তিনি দেখেছেন, স্বভাবতই সেখানে হিন্দু- মুসলমান সম্প্রদায়ের সম্মিলন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে।

আলোচকবৃন্দ বলেন, স্বচ্ছল ও অভিজাত বাঙালি মুসলমান পরিবারের সন্তান এস. ওয়াজেদ আলি ইউরোপীয় আধুনিক চিন্তা-চেতনার দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন। ধর্মীয় সংস্কৃতির মধ্যে সমন্বয় সাধন করে একটি জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখতেন তিনি। ধর্মচর্চার ব্যাপারে এস. ওয়াজেদ আলি ছিলেন যুক্তিবাদী, আধুনিক ও উদার দৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি ছিলেন তাঁর সময়ের চাইতে অনেক অগ্রসর।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সৈয়দ আকরম হোসেন বলেন, এস, ওয়াজেদ আলি ছিলেন সব্যসাচী লেখক এবং একজন মহান চিন্তক। আন্তঃসাংস্কৃতিক মিলনের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ ভারতের স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি। তাঁর আদর্শ ও চিন্তা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য আমাদের যথাযথ উদ্যোগ নিতে হবে।

আজ লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন শিশুসাহিত্যিক রিফাত নিগার শাপলা, গবেষক অধ্যাপক মো. মাহবুবর রহমান, কবি মাশরুরা লাকী এবং কথাসাহিত্যিক আনোয়ার হোসেন বাদল।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি হারিসুল হক, বায়তুল্লাহ কাদেরী এবং আফরোজা সোমা। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী আজহারুল হক আজাদ, সৈয়দ শহিদুল ইসলাম, সুকান্ত গুপ্ত এবং তামান্না সারোয়ার নীপা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পুথি পাঠ করেন আবুল বাশার তালুকদার। এছাড়াও ছিল মো. বশির উদ্দিন মাহমুদের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন 'বিশ্বভরা প্রাণ', সিলেটের সাংস্কৃতিক সংগঠন 'শ্রুতি সিলেট' এবং ড. লীনা তাপসী খানের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন 'International Center Bengali Music (ICBM)'-এর পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী অণিমা মুক্তি গোমেজ, মমতা দাসী, শামসেল হক চিশতি, রওশন আলম, বাউল সুভাষ বিশ্বাস, মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ওয়াদুদুর রহমান রাহুল এবং ফারুক নূরী। যন্ত্রানুষঙ্গে ছিলেন রাজু চৌধুরী (তবলা), রবিনস্ চৌধুরী (কী-বোর্ড), মো. ফায়জুর রহমান (বাঁশি), অরূপ কুমার শীল (দোতারা) এবং আব্দুস সোবহান (বাংলা ঢোল)।

আগামীকালের সময়সূচি

আগামীকাল ২৭শে মাঘ ১৪৩০/১০ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ শনিবার। অমর একুশে বইমেলার দশম দিন। মেলা শুরু হবে সকাল ১১:০০টায় এবং চলবে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত। সকাল ১১:০০টা থেকে বেলা ০১:০০টা পর্যন্ত মেলায় থাকবে শিশুপ্রহর।

শিশু-কিশোর সংগীত প্রতিযোগিতা অমর একুশে উদ্যাপনের অংশ হিসেবে আগামীকাল সকাল ১০:০০ টায় বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে শিশু-কিশোর সংগীত প্রতিযোগিতার প্রাথমিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

আলোচনা অনুষ্ঠান

বিকেল ৪:০০টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে জন্মশতবার্ষিক শ্রদ্ধাঞ্জলি: সুচিত্রা মিত্র শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন সাইম রানা। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন আহমেদ শাকিল হাসমী এবং অণিমা রায়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন মফিদুল হক।

সমীর কুমার সরকার

পরিচালক

জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ



তারিখ: ১০.০২.২০২৪

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

অমর একুশে বইমেলা ২০২৪

আজ ২৭শে মাঘ ১৪৩০/১০ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ শনিবার। অমর একুশে বইমেলা ২০২৪-এর দশম দিন। মেলা শুরু হয় সকাল ১১:০০ টায় এবং চলে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত। সকাল ১১:০০টা থেকে বেলা ০১:০০টা পর্যন্ত ছিল শিশুপ্রহর। আজ নতুন বই এসেছে ১৫২টি।

শিশু-কিশোর সংগীত প্রতিযোগিতা অমর একুশে উদ্যাপনের অংশ হিসেবে আজ সকাল ১০:০০টায় বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে শিশু-কিশোর সংগীত প্রতিযোগিতার প্রাথমিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় ১৭৫জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। বিচারক হিসেবে ছিলেন শিল্পী ইয়াকুব আলী খান, চন্দনা মজুমদার এবং সুমন মজুমদার।

বিকেল ৪:০০টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় জন্মশতবার্ষিক শ্রদ্ধাঞ্জলি: সুচিত্রা মিত্র শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাইম রানা। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন আহমেদ শাকিল হাসমী এবং অণিমা রায়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মফিদুল হক।

প্রাবন্ধিক বলেন, সুচিত্রা মিত্র মূলত রবীন্দ্র-প্রতিভার আলোয় বিচ্ছুরিত এক উজ্জ্বল বর্ণশোভা। তাঁর গায়নশৈলীর মাধ্যমে রবীন্দ্রসংগীত মনন ও সৃজনের অনুপম সৌকর্যে চিত্রিত ও বিকশিত হয়েছে। সুচিত্রা মিত্রের উচ্চারণ-ভঙ্গি ও গীত-ভঙ্গি অত্যন্ত সুস্পষ্ট। তাঁর সংগীত পরিবেশনার উচ্চারণ এবং বোধের শুদ্ধতা প্রায় প্রবাদের মর্যাদা পেয়েছিল। লোকজীবনের মাঝেও সদর্পে অভিজাতের শিল্পকে বরণ করে নেবার পক্ষে ছিলেন সুচিত্রা, তবে তা অবশ্যই পরিমিত মাত্রায়। দৃঢ়তাই ছিল তাঁর ব্যক্তি-চরিত্র ও শিল্প-চরিত্রের বড়ো পরিচয়।

আলোচকবৃন্দ বলেন, সুচিত্রা মিত্র কেবল রবীন্দ্রসংগীত শিল্পীই ছিলেন না, গণসংগীত আন্দোলনেরও একজন অগ্রবর্তী যোদ্ধা ছিলেন। তাঁর পারিবারিক নিবিড় আবহে সংগীতচর্চার প্রচলন ছিল। জীবনের নানা ঘাত-প্রতিঘাতেও তিনি গানের চর্চা, বিকাশ ও পরিবেশনা সমানভাবে চালিয়ে গেছেন। রবীন্দ্রনাথের গান তাকে শক্তি জুগিয়েছিল। সমগ্র জীবনকেই তিনি পরিমিতি-বোধের মধ্যে বেঁধে রেখেছিলেন। তাঁর সৃষ্টিকর্ম ও সংগীত তরুণ প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে মফিদুল হক বলেন, আমরা যদি বাংলা গানের সঙ্গে বাংলার সমাজ ও মানবমুক্তির আকুতির সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করতে যাই, তাহলে প্রাসঙ্গিকভাবেই সুচিত্রা মিত্রের কথা উঠে আসে। সংগীত ও সৃষ্টিকর্মের মধ্য দিয়েই এই মহিয়সী শিল্পীকে খুঁজে পাওয়া যায়। তাঁর সাংস্কৃতিক-মানস ও অকুতোভয় আদর্শ আমাদের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।

আজ লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন কবি ও অনুবাদক জিল্লুর রহমান, কথাসাহিত্যিক পলাশ মজুমদার, শিশুসাহিত্যিক আহমেদ রিয়াজ এবং প্রাবন্ধিক মোতাহার হোসেন মাহবুব।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি দিলারা হাফিজ, চঞ্চল আশরাফ এবং রনজু রাইম। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী অনিমেষ কর, কাজী বুশরা আহমেদ তিথি, মিজানুর রহমান সজল এবং মুস্তাক আহমেদ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পুথি পাঠ করেন ফকির আবুল হাশেম। এছাড়াও ছিল মিতা মোস্তফার পরিচালনায় নৃত্য সংগঠন 'বেণুকা ললিতকলা কেন্দ্র' এবং মো. আনোয়ার হোসেনের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন 'আরশিনগর বাউল সংঘ'-এর পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন কন্ঠশিল্পী কিরণ চন্দ্র রায়, তপন মজুমদার, অনাবিল ইহসান, রুশিয়া খানম, বিমান চন্দ্র বিশ্বাস, জামাল দেওয়ান এবং সাগর দেওয়ান। যন্ত্রানুষঙ্গে ছিলেন রবীন্দ্রনাথ পাল (তবলা), আনোয়ার সাহদাত রবিন (কী-বোর্ড), মো. মনিরুজ্জামান (বাঁশি), অনুপম বিশ্বাস (দোতারা) এবং দশরথ দাস (বাংলা ঢোল)।

আগামীকালের সময়সূচি

আগামীকাল ২৮শে মাঘ ১৪৩০/১১ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ রবিবার। অমর একুশে বইমেলার ১১তম দিন। মেলা শুরু হবে বিকেল ৩:০০টায় এবং চলবে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত।

আলোচনা অনুষ্ঠান

বিকেল ৪:০০ টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে জন্মশতবার্ষিক শ্রদ্ধাঞ্জলি: কলিম শরাফী শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন সরওয়ার মুর্শেদ। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন মাহমুদ সেলিম এবং গোলাম কুদ্দুছ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।

সমীর কুমার সরকার

পরিচালক

জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ



তারিখ: ১১.০২.২০২৪

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

অমর একুশে বইমেলা ২০২৪

আজ ২৮শে মাঘ ১৪৩০/১১ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ রবিবার। অমর একুশে বইমেলা ২০২৪-এর ১১তম দিন। মেলা শুরু হয় বিকেল ৩:০০ টায় এবং চলে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত। আজ নতুন বই এসেছে ৯২টি।

বিকেল ৪:০০ টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় জন্মশতবার্ষিক শ্রদ্ধাঞ্জলি কলিম শরাফী শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সরওয়ার মুর্শেদ। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মাহমুদ সেলিম এবং গোলাম কুদ্দুছ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রূপা চক্রবর্তী।

প্রাবন্ধিক বলেন, বাংলাদেশের সংস্কৃতিচর্চার ক্ষেত্রে কলিম শরাফী প্রাতিস্বিক এক নাম। কেবল একজন সংগঠক বা শিল্পীই নন, তিনি ছিলেন প্রগতিশীল সংস্কৃতিচর্চার পুরোধা ব্যক্তিত্ব। বিশ শতকের অখণ্ড বাংলা, দেশ-বিভাগোত্তর পূর্ববঙ্গ এবং বাংলাদেশের সকলপর্বের সব ধরনের সংকট-উত্তরণে তিনি যে ভূমিকা পালন করেছেন, তা সবিশেষ স্মরণযোগ্য। তাঁর যাপিত জীবন ও সংগ্রামের মূলে ছিল গণ-মানবচেতনা, মুক্তবুদ্ধি এবং প্রগতিকামিতা। তিনি ছিলেন মানুষের সামষ্টিক কল্যাণপ্রত্যাশী।

আলোচকবৃন্দ বলেন, আজীবন সংগ্রামী শিল্পী কলিম শরাফী ছিলেন আপসহীন একজন মানুষ। দেশ ও জাতির সংকটে সম্মুখ সারিতে দাঁড়িয়ে তিনি প্রতিবাদী ভূমিকা পালন করেছিলেন। প্রচণ্ড বৈরিতা সত্ত্বেও গণমানুষের প্রতি অকুণ্ঠ ভালোবাসা, মানবতাবাদী সংস্কৃতিবোধ, কল্যাণমুখী, অসাম্প্রদায়িক এবং প্রগতিশীল সমাজ ও রাষ্ট্র নির্মাণের আকাঙ্ক্ষা তিনি কখনো ত্যাগ করেননি। সমাজ-সংস্কৃতির সকল ক্ষেত্রেই তিনি তাঁর সৃজনশীল প্রতিভার প্রমাণ রেখেছেন। মানবতাবাদী কলিম শরাফী বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়ানোকেই তাঁর জীবনের আদর্শ হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক রূপা চক্রবর্তী বলেন, বহুমাত্রিক ব্যক্তিত্ব কলিম শরাফী তাঁর দীর্ঘ কর্মময় জীবনে অন্যায়ের কাছে কখনো মাথা নত করেননি। তাঁর দ্যুতিময় ব্যক্তিত্ব, অকুতোভয় চিত্ত এবং লড়াকু জীবনাদর্শ আমাদের প্রত্যয়ী করে।

আজ লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন কবি সরকার মাসুদ, কথাসাহিত্যিক নূরুদ্দিন জাহাঙ্গীর, প্রাবন্ধিক ও গবেষক মোহাম্মদ জয়নুদ্দীন এবং নাট্যগবেষক মাহফুজা হিলালী।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি আসলাম সানী, তপন বাগচী, মারুফ রায়হান, জাহিদ মুস্তাফা, স্নিগ্ধা বাউল এবং শাহিদা পারভীন রেখা। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী সোহরাব হোসেন, তামান্না তিথি এবং ফয়জুল আলম পাপ্পু। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পুথি পাঠ করেন লাল মাহমুদ। এছাড়াও সিদ্দিকুর রহমান পারভেজের পরিচালনায় আবৃত্তি সংগঠন 'মুক্তধারা সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র' দলগত আবৃত্তি পরিবেশন করে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছিল সুরাইয়া পারভীনের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন 'বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী' এবং সবুজ শামীম আহসানের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন 'কৃষ্টিবন্ধন' এর পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী আলম দেওয়ান, আজগর আলীম, পাগলা বাবলু, আজমল শাহ, শিলা দেবী এবং ফারজানা আফরিন ইভা। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন দীপক কুমার দাস (তবলা), ইফতেখার হোসেন সোহেল (কী-বোর্ড), মো. শহিদুল ইসলাম (বাঁশি), রনজিৎ কুমার বৈরাগী (দোতারা) এবং মো. হাসান মিয়া (বাংলা ঢোল)।

আগামীকালের সময়সূচি

আগামীকাল ২৯শে মাঘ ১৪৩০/১২ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সোমবার। অমর একুশে বইমেলার ১২তম দিন। মেলা শুরু হবে বিকেল ৩:০০টায় এবং চলবে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত।

আলোচনা অনুষ্ঠান

বিকেল ৪:০০ টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে জন্মশতবার্ষিক শ্রদ্ধাঞ্জলি: হেনা দাস শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন জোবাইদা নাসরীন। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন ঝর্না রহমান এবং ফওজিয়া মোসলেম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন শিরীণ আখতার।

সমীর কুমার সরকার

পরিচালক

জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ



তারিখ: ১২.০২.২০২৪

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

অমর একুশে বইমেলা ২০২৪

আজ ২৯শে মাঘ ১৪৩০/১২ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সোমবার। অমর একুশে বইমেলা ২০২৪-এর ১২তম দিন। মেলা শুরু হয় বিকেল ৩:০০ টায় এবং চলে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত। আজ নতুন বই এসেছে ১১৫টি।

বিকেল ৪:০০টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় জন্মশতবার্ষিক শ্রদ্ধাঞ্জলি: হেনা দাস শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জোবাইদা নাসরীন। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ঝর্না রহমান এবং ফওজিয়া মোসলেম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শিরীণ আখতার।

প্রাবন্ধিক বলেন, হেনা দাস আজন্ম এক প্রতিবাদী সত্তা-একজন শিক্ষক, রাজনৈতিক কর্মী, ঈর্ষণীয় সংগঠক। নির্লোভ শুভ্রতার প্রদীপ হয়েই তিনি আলো ছড়িয়েছেন এবং সকল প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে মানুষের জন্য পথ উন্মোচন করেছেন। দেশের স্বাধীনতা অর্জন এবং শোষণমুক্তির লক্ষ্যে একজন সার্বক্ষণিক কমিউনিস্ট কর্মী হিসেবে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন তিনি। এজন্য ঔপনিবেশিক শাসন, শ্রেণি ও লিঙ্গ-বৈষম্যের বিরুদ্ধে আজীবন সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। মহিলা সংগঠন, ছাত্র সংগঠন, গণনাট্য সংঘ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত হেনা দাস নিজেই একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছিলেন।

আলোচকবৃন্দ বলেন, বিপ্লবী হেনা দাস ছাত্রজীবন থেকেই আন্দোলন-সংগ্রামের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছিলেন। নারী আন্দোলন, শিক্ষক আন্দোলন ও সামাজিক আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় মানুষের মধ্যে থেকে আজীবন তিনি বিপন্ন মানুষের কল্যাণ ও মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন। কোনো বাধাই তাঁকে দাবিয়ে রাখতে পারেনি। সব বাধা উপেক্ষা করে দৃঢ়চিত্তে নিজের আদর্শের পথে অগ্রসর হয়েছেন হেনা দাস। বিপ্লবী চেতনার পাশাপাশি তিনি ছিলেন সৃজনশীল মননের অধিকারী একজন মানুষ। সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক শিরীণ আখতার বলেন, বিপ্লবী হেনা দাস অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকেছেন সারাটি জীবন। তাঁর প্রতিটি কাজে দৃঢ় মনোবল ও সংগ্রামী আদর্শের প্রতিফলন আমরা দেখতে পাই। আমাদের জীবনে, মননে এবং সুন্দর সমাজ গড়ার আন্দোলনে বিপ্লবী হেনা দাস সবসময় স্মরণীয় ও অনুকরণীয় হয়ে থাকবেন।

আজ লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন কথাসাহিত্যিক সালমা বাণী, কবি ফারহানা রহমান, গবেষক মিলটন কুমার দেব এবং কথাসাহিত্যিক ইকবাল খন্দকার।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি আলতাফ হোসেন, সাজ্জাদ আরেফিন, ওমর কায়সার, ইউসুফ রেজা, আসাদ কাজল, শাহেদ কায়েস এবং সারমিন মতিন মিতু। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী কাজী মদিনা, পলি পারভীন, জালালউদ্দীন হীরা। এছাড়াও ছিল নাজিয়া জাবীনের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন 'স্পর্শ ফাউন্ডেশন', ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালনায় আবৃত্তি সংগঠন 'কথা আবৃত্তি চর্চাকেন্দ্র' এবং মোঃ সজীব মিয়ার পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন 'হাওলা'র পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী কাঙ্গালিনী সুফিয়া, সাইদুর রহমান বয়াতি, জহির আলীম, আবুল বাসার আব্বাসী এবং বশির উদ্দিন সরকার। যন্ত্রানুষঙ্গে ছিলেন গৌতম কুমার সরকার (তবলা), ইফতেখার হোসেন সোহেল (কী-বোর্ড), মো. হাসান আলী (বাঁশি), খোকন বাউলা (দোতারা) এবং মেহেদী হাসান রনি (বাংলা ঢোল)।

আগামীকালের সময়সূচি

আগামীকাল ৩০শে মাঘ ১৪৩০/১৩ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ মঙ্গলবার। অমর একুশে বইমেলার ১৩তম দিন। মেলা শুরু হবে বিকেল ৩:০০ টায় এবং চলবে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত।

আলোচনা অনুষ্ঠান

বিকেল ৪:০০ টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে স্মরণ: সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন আহমাদ মোস্তফা কামাল। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন হরিশংকর জলদাস এবং ফারজানা সিদ্দিকা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।

সমীর কুমার সরকার

পরিচালক

জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ



তারিখ: ১৩.০২.২০২৪

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

অমর একুশে বইমেলা ২০২৪

আজ ৩০শে মাঘ ১৪৩০/১৩ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ মঙ্গলবার। অমর একুশে বইমেলা ২০২৪-এর ১৩তম দিন। মেলা শুরু হয় বিকেল ৩:০০ টায় এবং চলে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত। আজ নতুন বই এসেছে ১১০টি।

বিকেল ৪:০০ টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় স্মরণ: সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আহমাদ মোস্তফা কামাল। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন হরিশংকর জলদাস এবং ফারজানা সিদ্দিকা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।

প্রাবন্ধিক বলেন, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ যেভাবে তাঁর পরবর্তী প্রজন্মের লেখকদের কাছে এক অনিবার্য প্রসঙ্গ হয়ে উঠলেন তা সত্যিই বিস্ময়কর। ১৯৪০-এর দশকে পূর্ব বাংলার ভিন্নতর এক কন্ঠস্বর নির্মাণের প্রয়াস যাঁরা নিয়েছিলেন, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ তাঁদের মধ্যে অন্যতম। লেখক হিসেবে তিনি ছিলেন তীব্র সংবেদনশীল, সচেতন, সুদূরপ্রসারী দৃষ্টিভঙ্গির অধিকারী এবং বহুমাত্রিক। সাদামাটা গল্প বলার ছলেই তিনি পাঠকদের নিয়ে গেছেন এক দার্শনিক উচ্চতায়, দৃশ্যমান করে তুলেছেন একটি জনগোষ্ঠীর সামষ্টিক চিন্তা-বিশ্বাস-সংস্কারের বিমূর্ত রূপ।

আলোচকবৃন্দ বলেন, জনজীবনের ভাষাকেই সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ তাঁর সাহিত্যের ভাষা হিসেবে ব্যবহার করেছেন। সমাজের ক্ষমতা ও ক্ষমতা-কাঠামোর সঙ্গে জনগণের মনোজগতের পারস্পরিক সম্পর্ক বা দ্বন্দ্বটি তাঁর সাহিত্যে বিশেষ রূপ লাভ করেছে। সমাজের গভীরে দৃষ্টিপাত করে প্রান্তিক মানুষের সংকটকে আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন তিনি। সমাজ ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের ফলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় আকস্মিক ছন্দপতন তাঁর গল্পের উপজীব্য হয়েছে। সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর প্রাসঙ্গিকতা এখানেই যে তিনি অতীতের চরিত্রগুলোর সঙ্গে আমাদের একটি নিবিড় যোগসূত্র তৈরি করে দেন।

সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, সাহিত্যের ভেতর দিয়ে জীবনের বাস্তবতাকে তুলে ধরার নিপুণ কারিগর সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্। তাঁর সাহিত্যে তিনি সমকালীন জনগোষ্ঠীর অনুভূতির কাঠামোকে ধারণ করেছেন। ফলে, কেবল আমাদের সময়েই নয় ভবিষ্যতেও সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ ও তাঁর সাহিত্যকর্ম অনিবার্য এবং প্রাসঙ্গিক হয়ে থাকবে। 

আজ লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন নাট্যকার ও অনুবাদক খায়রুল আলম সবুজ, গবেষক আফরোজা পারভীন, কবি শিহাব শাহরিয়ার এবং শিশুসাহিত্যিক কামাল হোসাইন।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি জাহিদ হায়দার, হেনরী স্বপন, শিহাব শাহরিয়ার, মতিন রায়হান, জুনান নাশিত, টিমোনী খান রিনো, সাকিরা পারভীন এবং মুঃ আহসান উল্লাহ ইমাম খান তমাল। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী নাসিমা খান বকুল, ফয়জুল্লাহ সাঈদ এবং চন্দ্রিমা দেয়া। এছাড়াও ছিল তুনাজ্জিনা রহমত মৌরীর পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন 'গীতিকবি আনিসুল হক স্মৃতি পরিষদ', 'হামিবা সাংস্কৃতিক একাডেমি' এবং সৌন্দর্য প্রিয়দর্শিনীর পরিচালনায় নৃত্য সংগঠন 'প্রিয়দর্শিনী'র পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী মো. হারুনুর রশিদ, মিতা চক্রবর্তী, শ্রাবন্তী সরকার, আফরোজা খান মিতা, শহীদ কবীর পলাশ, মো. মজিবুর রহমান, ফারহানা ফেরদৌসী তানিয়া, মাহবুবা রহমান এবং এম এম উম্মে রুমা। যন্ত্রানুষঙ্গে ছিলেন পুলিন চক্রবর্তী (তবলা), রবিনস্ চৌধুরী (কী-বোর্ড), মো. মামুনুর রশিদ (বাঁশি), ফিরোজ খান (সেতার)।

আগামীকালের সময়সূচি

আগামীকাল ১লা ফাল্গুন ১৪৩০/১৪ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বুধবার। অমর একুশে বইমেলার ১৪তম দিন। মেলা শুরু হবে বিকেল ৩:০০টায় এবং চলবে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত।

আলোচনা অনুষ্ঠান

বিকেল ৪:০০টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে ভাষাসংগ্রামী গাজীউল হক শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন রাফাত আলম মিশু। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন সুজাতা হক এবং মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন অধ্যাপক আবদুল মান্নান চৌধুরী।

সমীর কুমার সরকার

পরিচালক

জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ



তারিখ: ১৪.০২.২০২৪

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

অমর একুশে বইমেলা ২০২৪

আজ ১লা ফাল্গুন ১৪৩০/১৪ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বুধবার। অমর একুশে বইমেলা ২০২৪-এর ১৪তম দিন। মেলা শুরু হয় বিকেল ৩:০০ টায় এবং চলে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত। আজ নতুন বই এসেছে ৯১টি।

বিকেল ৪:০০টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ভাষাসংগ্রামী গাজীউল হক শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাফাত আলম মিশু। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সুজাতা হক এবং মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক আবদুল মান্নান চৌধুরী।

প্রাবন্ধিক বলেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন ছিল জনমানুষের সামূহিক আন্দোলন-সংগ্রামের পরম্পরাগত বহুমাত্রিক ঘটনাপুঞ্জের একটি দৃশ্যমান রূপ। আর এই রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে যাঁরা ব্যক্তি থেকে সময়ের নায়ক হয়ে উঠেছিলেন, ভাষাসংগ্রামী গাজীউল হক তাঁদের মধ্যে অগ্রগণ্য। আশি বছরের বর্ণাঢ্য জীবনে তিনি ছিলেন একাধারে মেধাবী ছাত্র, রাজনৈতিক কর্মী, লেখক, গীতিকার, সুবক্তা, এবং আইনজীবী। তবে সব কিছু ছাপিয়ে তাঁর বড়ো পরিচয় তিনি একজন ভাষাসংগ্রামী এবং মুক্তিযোদ্ধা। গাজীউল হক নিজে লেখক ছিলেন, তাই তাঁর জীবনপাঠের ক্ষেত্রে তাঁর রচনাগুলো গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

আলোচকবৃন্দ বলেন, ভাষাসংগ্রামী গাজীউল হক নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাসে একজন অনন্য ব্যক্তিত্ব। পারিবারিকভাবে রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে বেড়ে ওঠা গাজীউল হক ভাষা আন্দোলনের প্রাথমিক পর্ব থেকেই সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি ছিলেন স্বদেশ, ভাষা ও মানুষের জন্য নিবেদিত-প্রাণ। আপসহীনতা, রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা ও দৃঢ় ব্যক্তিত্বের কারণে কোনো অপশক্তি তাঁকে আদর্শচ্যুত করতে পারেনি। শুধু ভাষা আন্দোলনই নয়, দেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও শোষণবিরোধী আন্দোলনে তাঁর সংগ্রামী অভিযাত্রা অব্যাহত ছিল।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আবদুল মান্নান চৌধুরী বলেন, ভাষাসংগ্রামী গাজীউল হক আমৃত্যু তাঁর দুঃসাহসী ও দৃঢ় মানসিকতার স্বাক্ষর রেখেছেন। বাংলাদেশের সংগ্রামী ইতিহাসে তাঁর কর্ম ও আদর্শ চিরঅম্লান হয়ে থাকবে।

আজ লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন লেখক ও কার্টুনিস্ট আহসান হাবীব, কবি শাহেদ কায়েস, লেখক ও সংগীতজ্ঞ তানভীর তারেক এবং কথাসাহিত্যিক মাজহার সরকার।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি মারুফুল ইসলাম, মাসুদুজ্জামান, ইসমত শিল্পী এবং সাহেদ মন্তাজ। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী মাসকুর-এ-সাত্তার কল্লোল, মাসুদুজ্জামান এবং চৈতালী হালদার। পুথিপাঠ করেন মো. শহীদ এবং মো. কুদ্দুস মিয়া। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী রফিকুল আলম, খুরশীদ আলম, মামুনুল হক সিদ্দিক, মুর্শিদুদ্দীন আহম্মদ, মো. রেজওয়ানুল হক, কাজী মুয়ীদ শাহরিয়ার সিরাজ জয়, আঞ্জুমান আরা শিমুল, চম্পা বণিক, শরণ বড়ুয়া এবং অনন্যা আচার্য। যন্ত্রানুষঙ্গে ছিলেন বিশ্বজিৎ সরকার (তবলা), সুমন রেজা খান (কী-বোর্ড), মো. আকবর হোসেন (লীড গীটার), আনোয়ারুল হক (বেস গীটার) এবং মনির হোসেন (অক্টোপ্যাড)।

আগামীকালের সময়সূচি

আগামীকাল ২রা ফাল্গুন ১৪৩০/১৫ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বৃহস্পতিবার। অমর একুশে বইমেলার ১৫তম দিন। মেলা শুরু হবে বিকেল ৩:০০টায় এবং চলবে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত।

আলোচনা অনুষ্ঠান

বিকেল ৪:০০ টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে স্মরণ: আবদুল হালিম বয়াতি শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন জোবায়ের আবদুল্লাহ। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন শফিকুর রহমান চৌধুরী এবং মোঃ নিশানে হালিম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন সাইদুর রহমান বয়াতি।

সমীর কুমার সরকার

পরিচালক

জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ



তারিখ: ১৫.০২.২০২৪

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

অমর একুশে বইমেলা ২০২৪

আজ ২রা ফাল্গুন ১৪৩০/১৫ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বৃহস্পতিবার। অমর একুশে বইমেলা ২০২৪-এর ১৫তম দিন। মেলা শুরু হয় বিকেল ৩:০০টায় এবং চলে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত। আজ নতুন বই এসেছে ৯৭টি।

বিকেল ৪:০০টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় স্মরণ: আবদুল হালিম বয়াতি শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জোবায়ের আবদুল্লাহ। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মোঃ নিশানে হালিম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাইদুর রহমান বয়াতি।

প্রাবন্ধিক বলেন, বাংলাদেশের লোকসংগীতাঙ্গনে যেসকল সাধক-ব্যক্তিত্ব নতুন ধারা প্রবর্তনে প্রবর্তকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন মরমি সংগীতসাধক আবদুল হালিম বয়াতি তাঁদের অগ্রগণ্য। সংগীতসৃষ্টি, সুরারোপ এবং পরিবেশনার মাধ্যমে তিনি এদেশের শহর ও গ্রামাঞ্চলে সমান জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় তাঁর বিচরণ অতি সামান্য হলেও সংগীতসাধনায় তিনি ছিলেন নিরলস ও উদ্যোগী। প্রকৃতিদত্ত প্রতিভা এবং বৈচিত্র্যময় গ্রন্থপাঠের মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞানালোকে তিনি নিজেকে যেমন সমৃদ্ধ করেছেন, তেমনি অর্জিত অভিজ্ঞতা ও অভিজ্ঞানকে গীত-গানের মাধ্যমে শৈল্পিক সাবলীলতায় উপস্থাপন করে অর্জন করেছেন জননন্দিত শিল্পীর স্বীকৃতি। 

আলোচক বলেন, বাংলাদেশের সংগীত জগতের কিংবদন্তি শিল্পী আবদুল হালিম বয়াতি ছিলেন একাধারে দার্শনিক, কবি, লোকসংগীতের প্রবাদপুরুষ, বিচারগানের প্রবর্তক এবং মুক্তিযোদ্ধা। অপরিসীম মেধা ও প্রতিভার অধিকারী আবদুল হালিম শৈশবে পিতার কাছ থেকে মারফতি ও মুর্শিদি গানের পাঠ গ্রহণ করেন। ধুমকেতুর মতো বাংলা গানের ভুবনে আবির্ভূত হয়ে ধ্রুবতারার মতো স্থায়ী আসন করে নেন তিনি। কঠোর পরিশ্রম ও সাধন-ভজনের মাধ্যমে তিনি নিজেই একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছিলেন। তাঁর রচিত গানের মধ্যে ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

সভাপতির বক্তব্যে সাইদুর রহমান বয়াতি বলেন, আবদুল হালিম বয়াতির মতো প্রতিভাবান সাধককবি এদেশে বিরল। বাংলার লোকসংগীতের ইতিহাসে তাঁর নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তাঁর সৃষ্টি ও সংগীতের মধ্য দিয়ে আবদুল হালিম ভক্তশ্রোতাদের অন্তরে চিরকাল বেঁচে থাকবেন।

আজ লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন কথাসাহিত্যিক মাসুদুল হক, কবি ও সম্পাদক এজাজ ইউসুফী এবং গবেষক কাজী সামিও শীশ এবং শিশুসাহিত্যিক রুনা তাসমিনা।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি গোলাম কিবরিয়া পিনু, মিহির মুসাকী, শফিক সেলিম, খোকন মাহমুদ এবং ইমরুল ইউসুফ। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী এ বি এম রাশেদুল হাসান, শিরিন জাহান এবং তালুকদার মো. যোবায়ের আহম্মেদ টিপু। দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করেন সুবর্ণা আফরিনের পরিচালনায় 'কিংবদন্তি আবৃত্তি পরিষদ' এবং মো, রহমতুল্লাহর পরিচালনায় 'কথাশৈলী আবৃত্তি চক্র'। পুথিপাঠ করেন এথেন্স শাওন। এছাড়াও ছিল প্রণয় সাহার পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন 'কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর'-এর পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী বাবু সরকার, কোহিনুর আক্তার গোলাপী, মেহেরুন আশরাফ, অঞ্জলি চৌধুরী, গঞ্জের আলী জীবন, সুমন চন্দ্র দাস এবং বিজন কান্তি রায়। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন চন্দন দত্ত (তবলা), সুমন রেজা খান (কী-বোর্ড), মো. মনিরুজ্জামান (বাঁশি), সুমন কুমার শীল (দোতরা) এবং মো. স্বপন মিয়া (বাংলা ঢোল)।

আগামীকালের সময়সূচি

আগামীকাল ৩রা ফাল্গুন ১৪৩০/১৬ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ শুক্রবার। অমর একুশে বইমেলার ১৬তম দিন। মেলা শুরু হবে সকাল ১১:০০টায় এবং চলবে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত। সকাল ১১:০০টা থেকে বেলা ১:০০টা পর্যন্ত মেলায় থাকবে শিশুপ্রহর।

শিশু-কিশোর আবৃত্তি প্রতিযোগিতা আগামীকাল সকাল ১০:০০টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অমর একুশে শিশু-কিশোর আবৃত্তি প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হবে।

আলোচনা অনুষ্ঠান

বিকেল ৪:০০ টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে স্মরণ: ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালিক শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন হারিসুল হক। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন ফজিলাতুন নেছা মালিক এবং এস এম মোস্তফা জামান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহ।

সমীর কুমার সরকার

পরিচালক

জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ