মাদ্রাসা, মনিপুরী ও আদিবাসী শিশু এবং চা ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীর শিশুদের নিয়ে সমগীতের চিত্র কর্মশালা

মাদ্রাসামনিপুরী ও আদিবাসী শিশু এবং চা শ্রমিক ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীর শিশুদের নিয়ে সমগীতের চিত্র কর্মশালা


চা শ্রমিকের শিশুদের নিয়ে চিত্র কর্মশালা        সমগীত

চিত্রশিল্পী এস.এম. সুলতানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে মাদ্রাসা, মনিপুরীআদিবাসী শিশু এবং চা শ্রমিক পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের শিশুদের নিয়ে সমগীত সংস্কৃতি প্রাঙ্গণ বছর জুড়ে আয়োজন করে পাঁচটি শিশু চিত্র কর্মশালা।



চা শ্রমিকের শিশুদের নিয়ে চিত্র কর্মশালাঃ

সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৩, মৌলভীবাজারের মৌলভী চা বাগান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের নিয়ে একটি শিশু চিত্র কর্মশালা-১ আয়োজন করে সমগীত সংস্কৃতি প্রাঙ্গণ

কর্মশালায় ঐ বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণির মোট ৫২জন শিশু অংশগ্রহণ করে।কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পী সালেহ মাহমুদ, শিল্পী অমল আকাশ।

কর্মশালায় শিশুদের বাগানের মাটি, কয়লা, পাতা দিয়ে ছবি আঁকার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।

এই বিষয়ে শিল্পী সালেহ মাহমুদ বলেন, সুলতান প্রকৃতি থেকে নানা উপাদান সংগ্রহ করে তা থেকে রঙ তৈরি করে ছবি আঁকতেন। চা বাগানের শিশুরা যেহেতু প্রকৃতির মধ্যেই থাকে তাই আমরা ভেবেছি সুলতানকে স্মরণ করে তার মতো করেই প্রকৃতি থেকে রঙ সংগ্রহ করে তাই দিয়ে বাচ্চাদের ছবি আঁকতে উৎসাহ জোগাবো। চা বাগানে নানান রঙের মাটি পাওয়া যায়। ছবি আঁকার জন্য তাকে পয়সা খরচ করে দামী রঙও কিনতে হবে না। তার বাড়ির চারপাশে যা কিছু আছে, তা দিয়েই সে মনের মতো ছবি আঁকতে পারে। যদিও চা বাগানের আদিবাসী শ্রমিকদের নিজস্ব সংস্কৃতিতে প্রকৃতি থেকে রঙ তৈরি করে আলপনা করার চর্চা আছে।

অন্য দিকে আয়োজক এবং শিল্পী অমল আকাশ বলেন, চা শ্রমিকরা বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি নিগৃহীত। তাদের সন্তানরা চাইলেও দামি রঙ কিনে তা দিয়ে ছবি আঁকতে পারে না। তাই সুলতানের জন্মশতবর্ষে আমরা প্রকৃতি থেকে ছবি আঁকার উপকরণ সংগ্রহ করে তা দিয়ে ছবি আঁকার জন্য চা বাগানের শিশুদেরকেই বেছে নিয়েছি। শিশুরা দারুণ উৎসাহের সাথে এই কাজটি করেছে।

কর্মশালায় শিশুদেরকে উৎসাহ দিতে উপস্থিত ছিলেন মুড়ই ছড়া খাসিয়া পুঞ্জির মেন্ত্রী আদিবাসী নেত্রী ফ্লোরা বাবলী তালাং।

তিনি আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান। পুরোটা সময় তিনি শিশুদের সাথেই সময় কাটান এবং তাদের উৎসাহ দেন।

কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন বৃহত্তর সিলেট জেলার ত্রিপুরা উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি জনক দেববর্মণ, মৌলভি চা বাগানের প্রধান শিক্ষক সবিতা কৈরি, সহকারী শিক্ষক জ্যোৎস্না নুনিয়া, রাজু পাশি, মৌলভীবাজার জেলা বাসদ সদস্য এডভোকেট আবুল হাসান, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য চা শ্রমিক নেতা কিরণ বৈদ্য, মৌলভী চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির প্রধান জ্ঞান উরাং এবং আরো অনেকেই।

প্রশিক্ষণে সহযোগি হিসেবে ছিলেন শিল্পী সুমিত দাস, শিল্পী অসিত বুনার্জি, শিল্পী বর্ষা দেবনাথ এবং জয় দাস। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন সমগীতের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বীথি ঘোষ, সদস্য বিশ্বজিৎ দাস সোহাগ এবং দীপা পোদ্দার।

কর্মশালায় শিশুদের আঁকা ছবি পরবর্তীতে বিভিন্ন জায়গায় প্রদর্শনী করা হবে বলে জানান অমল আকাশ।


মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের নিয়ে নিয়ে সমগীতের চিত্র কর্মশালাঃ

নভেম্বর ৪, ২০২৩, নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ, গোলাকান্দাইলের জামেআ শাহবাজীয়া নাজিবীয়া মাদ্রাসার ৪৬ জন শিক্ষার্থীদের নিয়ে সমগীত আয়োজন করে শিশু চিত্রকর্মশালা-২

শিল্পী অমল আকাশের পরিচালনায় মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ৮টি গ্রুপ ৮টি সীটে যৌথ চিত্র অংকন করে।

চিত্রাঙ্কন শেষে সবাইকে সমগীতের শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে একটি করে কালার বক্স হাতে তুলে দেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ এম.ডি নুরুল আলম, সহকারি অধ্যক্ষ ইউসুফ খান জীবন, নারায়ণগঞ্জ সমগীত সহ-সভাপতি পৃথ্বী সাহাসহ আরো অনেকে।

সকাল ১০:৩০টা থেকে দুপুর ১:৩০ টা পর্যন্ত পরিচালিত এই কর্মশালা অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করতে যেয়ে শিল্পী অমল আকাশ বলেন, কোনো মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের নিয়ে এইটাই আমাদের প্রথম আয়োজন। শাহবাজ একাডেমী পরিচালিত এই মাদ্রাসার শিক্ষক-পরিচালনা পর্ষদের ব্যাক্তিরা একদমই রক্ষনশীল মানসীকতার নন বলেই আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন, এখানের শিশুদের নিয়ে এই কর্মশালা আয়োজনে সহযোগীতা করেছেন। আমরা তাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। কৃতিজ্ঞতা জানাই বন্ধু অরূপ রাহীকে সার্বিক সহযোগিতার জন্য।


অমল আকাশ বলেন, আমরা বহুদিন ধরেই চাইছিলাম মাদ্রাসার শিশুদের মাঝেও কাজ করবার একটি সেতু নির্মাণ করতে। আজ তার যাত্রা শুরু হলো। মাদ্রাসার শিশুরা আমাদেরই বিপুল অধিকাংশ শ্রমিক-কৃষকের সন্তান। দেশের অন্যান্য শিক্ষা মাধ্যমের শিশুরা যদি ছবি আঁকার অপার আনন্দ উপভোগ করতে পারে, মাদ্রাসার শিশুরা কেন বঞ্চিত হবে? তারা ফুল-পাতা-নকশা যা আঁকেতে পরে তাই আঁকুক। তবু সাদা জমিনে রঙ নিয়ে খেলার ছলে নিজেদের বর্ণবঞ্চিত শৈশবটাকেও একটু রাঙীয়ে তুলুক। এটুকুই আমাদের চাওয়া। জামেআ শাহবাজীয়া নাজিবীয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা এর আগে কখনো তুলি হাতে নিয়ে ছবি আঁকেনি। আজকেই তাদের প্রথম এমন অভিজ্ঞতা। বাচ্চারা খুব আনন্দ নিয়ে ছবি আঁকছিলো আজকে। এই আনন্দটুকুই আমাদের আজকের শ্রেষ্ঠ উপহার।


মনিপুরী শিশুদের নিয়ে সমগীতের চিত্র কর্মশালাঃ

ডিসেম্বর ২৮, ২০২৩, শ্রীমঙ্গলের রামনগরের মনিপুরী পাড়ার ৩৪ জন মনিপুরী শিশুদের নিয়ে আয়োজন করে শিশু চিত্রকর্মশালা-৩

শিল্পী সুমনা আক্তার, শিল্পী সুমন হালদার এবং শিল্পী অমল আকাশের পরিচালনায় মনিপুরী শিশুদের নিয়ে ছাপচিত্র ভিত্তিক এই কর্মশালা আয়োজিত হয় রামনগর পাড়ার রাধা মান্ডপ হরি মন্দিরে।

চিত্রাঙ্কন শেষে সবাইকে সমগীতের শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে একটি করে রঙের বক্স হাতে তুলে দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং রামনগর  মণিপুড়ি বস্তি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক থোঙাম ধীরেন্দ্র সিনহা, তাঁর স্ত্রী ঙাংবিতন দেবী এবং নাট্যকর্মী ধীরাজ সিংহ।

কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন সমগীতের সভাপ্রধান দিনা তাজরিন, সাধারণ সম্পাদক বীথি ঘোষ, শিক্ষার্থী সানন্দা, নির্মিতা, জিহাদ এবং মিলন।


সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১:৩০ টা পর্যন্ত পরিচালিত এই কর্মশালা অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করতে যেয়ে শিল্পী সংগঠক অমল আকাশ বলেন, শিশুদের নিয়ে ধারাবাহিক এই আয়োজনে আরেকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো। আমরা জানি, মনিপুরী সংস্কৃতি অত্যন্ত সমৃদ্ধ। এখানে শিশুরা ছোট থেকেই নানা রঙ, মোটিফ দেখতে দেখতে বড় হয়। আমাদের কর্মশালায় বেশ কিছু সেই ধরনের কাজ উঠে এসেছে।

শিল্পী সুমনা আক্তার বলেন, শিশুদের আমরা প্রথমে ছাপচিত্রে আইডিয়া হাতেকলমে শেখাই। তারপর তারা আশপাশ থেকে পড়ে থাকা পাতা, কাঠ, কাপড় সংগ্রহ করে তাই দিয়ে ছবি আঁকে। ওদের ছবি আঁকার উৎসাহ দেখে আমি খুবই আনন্দ পেয়েছি।

শিল্পী সুমন হালদার বলেন, শিল্পীরা নিজের মনের আনন্দে রঙ তুলি নিয়ে যা আঁকবে তাই শিল্পকর্ম হয়ে ওঠে। ছবির বাধাধরা কোনো নিয়ম নেই। তাই শিশুরা মনের আনন্দে যা আঁকবে তাই ছবি হয়ে উঠবে। এখানে শিশুরা রঙ, রেখা আর বিষয় নিয়ে নানান ধরনের কাজ করেছে। সবাই ভীষণ উৎসাহিত ছিল।


খাগড়াছড়ির আদিবাসী শিশুদের নিয়ে সমগীতের চিত্র কর্মশালাঃ

জানুয়ারি ২০, ২০২৪, খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় বিন্দু বিদ্যানিকেতন এ আদিবাসী শিশুদের নিয়ে সমগীত আয়োজন করে শিশু চিত্রকর্মশালা-৪

শিল্পী সুমন হালদার এবং শিল্পী অমল আকাশের পরিচালনায় শিশুরা বিভিন্ন রঙের মাটি, কয়লা,ছাই গুলিয়ে ব্যবহার করে রঙের পরিবর্তে। কুড়িয়ে আনা পাতা, লতা, ফুল পেস্ট করে ফুটিয়ে তোলে নিজেদের মনের ছবি।

চিত্রাঙ্কন শেষে সবাইকে সমগীতের শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে একটি করে রঙের বক্স হাতে তুলে দেন বিন্দু বিদ্যানিকেতন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজীব চক্রবর্তী, সহকারী শিক্ষক হ্লামংচিং মারমা,বিমল কান্তি ত্রিপুরা, মিনা ত্রিপুরা, সমগীত সভাপ্রধান দিনা তাজরিন, সাধারণ সম্পাদক বীথি ঘোষ।

সকাল ১১.০০ টা থেকে দুপুর ২.০০ টা পর্যন্ত পরিচালিত এই কর্মশালার অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করতে যেয়ে শিল্পী সুমন হালদার বলেন, দামি রঙ-তুলি, কাগজ না থাকলেও পাহাড়ের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিশুরাও চাইলেই তাদের মনের ছবি ফুটিয়ে তুলতে পারে তাদের চারপাশে পরে থাকা লতা-পাতা, মাটি গুলিয়ে কিংবা রান্না ঘরের কয়লা দিয়ে।

তিনি বলেন, আমরা তাদের এই ভাবনা গুলো উস্কে দিতে চেয়েছি। ছবি আঁকতে চাইলে আমরা যে কোনো কিছু দিয়েই আঁকতে পারি, এই উৎসাহটুকু তাদের মনে সঞ্চারিত হলেই আমাদের এই কর্মশালা সার্থক হবে।


শিল্পী-সংগঠক অমল আকাশ বলেন, শিল্পী এস.এম.সুলতান শিশুদের জন্য গড়ে তুলেছিলেন শিশুস্বর্গ, আমরা তাই তাঁর জন্মশতবর্ষ উৎযাপনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের নানা ভাষাভাষী, জাতিগোষ্ঠির শিশুদের নিয়ে ধারাবাহিক এই চিত্র কর্মশালার কর্মসূচী হাতে নিয়েছিলাম। ইতিমধ্যে ৪টি ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় কর্মশালা পরিচালনা করে আমরা দেখেছি, শিশুরা যে কোনো নতুন বিষয়কেই খুব দ্রুত এবং আনন্দের সাথে গ্রহণ করছে। আমরা প্রথম প্রথম মনে করতাম বাচ্চারা বোধহয় বুঝতে পারছে না, কিন্তু কাজ শেষে দেখা গেছে দূর্দান্ত সব শিল্পকর্ম সৃষ্টি হয়েছে তাদের হাত দিয়ে।


নারায়ণগঞ্জে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের শিশুদের নিয়ে চিত্র কর্মশালাঃ

ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৪, নারায়ণগঞ্জ টানবাজারের ৩৩ নং সিটি কলোনী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের শিশুদের নিয়ে সমগীত আয়োজন করে শিশু চিত্রকর্মশালা-৫ 

শিল্পী খন্দকার নাসির আহমেদ এবং শিল্পী অমল আকাশের পরিচালনায় শিশুরা ৪ জন করে এক একটি দল তাদের যৌথ চিত্রশৈলী ফুটিয়ে তোলে ফুল শীট কার্টিজ পেপারে।

সহযোগী শিল্পী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুমিত দাস এবং সাইম। চিত্রাঙ্কন শেষে কর্মশালায় অংশগ্রহনকারী ১৮ জন শিশুকে সমগীতের শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে একটি করে রঙের বক্স হাতে তুলে দেয়া হয়।

দুপুর ১২.০০ টা থেকে দুপুর ২.০০ টা পর্যন্ত পরিচালিত এই কর্মশালার অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করতে যেয়ে শিল্পী খন্দকার নাসির আহমেদ বলেন,এ শহরে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের পরিবারের শিশুরা বিভিন্ন বিষয়েই সামাজিক ভাবে উপেক্ষিত ও বঞ্চিত। দুই ঘন্টার কর্মশালায়তো আর বিশেষ কিছু শেখানোর নাই, আমরা শুধু চেয়েছি এই সময়টুকু তাদের রঙ-তুলিতে আনন্দে কাটুক। শিশুরা বেশ আনন্দের সাথে রঙে-রেখায় খেলতে খেলতে যা আঁকলো তাই তাদের মনের ছবি। সে ছবির গুরুত্ব আমাদের কাছে অপরিসীম।

শিল্পী-সংগঠক অমল আকাশ বলেন, শিল্পী এস.এম.সুলতানের জন্মশতবর্ষ উৎযাপনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের নানা ভাষাভাষী, জাতিগোষ্ঠির শিশুদের নিয়ে ধারাবাহিক এই চিত্র কর্মশালার কর্মসূচী হাতে নিয়েছিলাম। ইতিমধ্যে পাঁচ টি ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় কর্মশালা পরিচালনা করলাম আমরা। প্রতিটি জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন অভিজ্ঞতা হয়েছে আমাদের। যেমন আজকে এই হিন্দি ভাষাভাষী পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের শিশুদের নিয়ে কর্মশালায়ও অনেক নতুন অভিজ্ঞতা হলো আমাদের।

ওরা যেমন রঙের নাম বলছিলো মিমি কালার, পানি কালারএবং ওরা অনেক বেশি চটপটে-অ্যাক্টিভ বাচ্চা। প্রথম দিকে কমিউনিকেশন খুব সহজ ছিলো না। তো শেষ পর্যন্ত এই দুই ঘন্টার মধ্যে অনেকটাই কমিউনিকেশন তৈরি করতে পেরেছিলাম বলে মনে হয় ওদের সাথে। এটাই বোধহয় রঙ-রেখার, শিল্পভাষার শক্তি।