জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারে ১১১জন নাগরিকের উদ্বেগ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারে ১১১জন নাগরিকের উদ্বেগ


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারে ১১১জন নাগরিক গভীর উদ্বেগ  প্রকাশ করেছেন।

গত শুক্রবার (ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৪) লেখক ও রাজনৈতিক কর্মী বাকী বিল্লাহর পাঠানো এক বিবৃতিতে তাঁরা বলেন,   'আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একতরফাভাবে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী অমর্ত্য রায় এবং ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলিকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এক বছরের জন্য বহিষ্কারের আদেশ দিয়েছে। একই সাথে রাষ্ট্রীয় আইনে এই দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই দুই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। আমরা মনে করি, এদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা চাতুর্যপূর্ণ। যে প্রক্রিয়ায় দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে, তা নিয়মের স্পষ্ট ব্যত্যয়। অমর্ত্য রায় এবং ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলিকে কোনো প্রকার কারণ দর্শানোর নোটিশ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও ডিসিপ্লিনারি সভা আয়োজন ব্যতিরেকে বহিষ্ককারের ঘটনা চূড়ান্ত অগণতান্ত্রিক। যা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে বিরল ও ন্যক্কারজনক।



সম্প্রতি আমরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীর প্রতি সহিংস আচরণের এক বর্বরতম ঘটনা জানতে পেরেছি। এর প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষের বাইরে অবস্থান নিয়েছেন; পাশাপাশি দোষিদের বিচার এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গাফিলতি ও দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার জন্য দায়ী করেছেন। আমরা আশঙ্কা করছি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরাগভাজন হওয়ায় এই দুই শিক্ষার্থীকে নিজেদের প্রতিষ্ঠানেই বিরূপ পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে। এই দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ- বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের বাইরের দেয়ালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেয়ালচিত্র মুছে তার উপর আন্দোলনরত একটি ছাত্র সংগঠনের ধর্ষণবিরোধী দেয়ালচিত্র অঙ্কন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের যে স্থানে উক্ত দেয়ালচিত্রটি ছিল, দেখা যাবে ২০১৯ সালের অক্টোবর-নভেম্বর মাসে আন্দোলনের সময় ঠিক সেই স্থানে একটি ক্যারিকেচার এঁকেছিলেন সেই সময়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। সেই ক্যারিকেচারটি শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই সময়ের বাস্তবতায় নানাভাবে প্রাসঙ্গিক ছিল না, বরং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক রাজনীতির রূপায়নও ছিল। তবে সেই ক্যারিকেচারটির উপর হঠাৎ করেই বঙ্গবন্ধুর ছবিসম্বলিত দেয়ালচিত্রটি আঁকা হয়েছিল, যার ফলে আগের ক্যারিকেচারটিকে লোকচক্ষুর আড়ালে নেয়ার কোন উদ্দেশ্য ছিল কিনা, সেই প্রশ্নও সামনে আসতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক ছাত্র রাজনীতির একটা সাধারণ সংস্কৃতি হলো, একই দেয়াল ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বিভিন্ন সংগঠন তাদের আন্দোলন ও সাংগঠনিক প্রচারের কাজে ব্যবহার করে। বাংলাদেশের রাজনৈ-ি তক ইতিহাসের শুরু থেকেই এটা ঘটে আসছে। কিছুদিন যাবত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিন্নমতের প্রকাশ হিসেবে দেয়াল লিখন ও দেয়ালচিত্রগুলো কণ্ঠরোধ করার জন্য এহেন বিরোধী লিখন বা চিত্রের উপর বঙ্গবন্ধু বা বঙ্গবন্ধুর সাথে সম্পর্কিত দেয়ালচিত্র এঁকে দেয়া বা কিছু লিখে দেয়া বেশ সাধারণ একটি প্রবণতা হিসেবে সামনে এসেছে। কারণ বঙ্গবন্ধুর দেয়ালচিত্র মুছে তার উপর অন্য যে কোন চিত্রাঙ্কন বা দেয়াললিখনকে খুব সহজেই জাতির জনকের অবমাননার দিকে ঘুরিয়ে দেয়া যায়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে এই ধরনের চতুর কৌশল প্রয়োগ করা হয়েছে বলে আমরা মনে করি। এটা দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আমরা অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখেছি- এইভাবে একতরফা, বিতর্কিত সিদ্ধান্তের পেছনে রয়েছে জবাবদিহিতা না থাকা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো অজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করছে না। এতে করে স্বাভাবিকভাবেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে। এসবের প্রেক্ষিতে এ দুই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত বাতিল না করলে এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসলে দেশের শিক্ষাঙ্গনে গণতান্ত্রিক চর্চা গভীর সংকটে নিপতিত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

আমরা অবিলম্বে অমর্ত্য রায় ও ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলির বহিষ্কারাদেশ বাতিলের আহ্বান জানাচ্ছি। একই সাথে কোনো দীর্ঘসূত্রিতা ছাড়া অভিযুক্ত ধর্ষকদের বিচারের আওতায় আনা এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে ধর্ষক ও নিপীড়ক মুক্ত করার দাবি জানাই। আশা করি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের শুভবুদ্ধির উদয় হবে।'

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী নাগরিকবৃন্দের তালিকা:

১. আনু মুহাম্মদ, অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় 

২. গীতি আরা নাসরীন, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

৩. শহীদুল আলম, আলোকচিত্রী

৪. মাসুম রেজা, নাট্যকার

৫. কফিল আহমেদ, কবি ও শিল্পী

৬. তানজীমউদ্দিন খান, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

৭. সেলিম রেজা নিউটন, অধ্যাপক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

৮. মানস চৌধুরী, অধ্যাপক, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়

৯. ফাহমিদুল হক, ভিজিটিং অধ্যাপক, বার্ড কলেজ, যুক্তরাষ্ট্র

১০. মির্জা তাসলিমা সুলতানা, অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

১১. আ আল মামুন, অধ্যাপক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

১২. কাবেরী গায়েন, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

১৩. সায়েমা খাতুন, লেখক ও নৃবিজ্ঞানী, সাবেক সহযোগী অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

১৪. সামিনা লুৎফা, শিক্ষক ও নাট্যকর্মী

১৫. জোবাইদা নাসরিন, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

১৬. মোশাহিদা সুলতানা, শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

১৭. জাকির তালুকদার, কথা সাহিত্যিক

১৮. ইমতিয়ার শামীম, কথা সাহিত্যিক

১৯. রাখাল রাহা, লেখক ও শিক্ষা গবেষক

২০. সাখাওয়াত টিপু, কবি ও সাংবাদিক

২১. জাকির হোসেন, নির্বাহী পরিচালক, নাগরিক উদ্যোগ

২২. সুপ্রীতি ধর, সম্পাদক, উইমেন চ্যাপ্টার

২৩. পাভেল পার্থ, লেখক ও গবেষক

২৪. মনজুরুল মাহমুদ ধ্রুব, গবেষক, গথেনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়, সুইডেন

২৫. মাহবুব মোর্শেদ, লেখক ও সাংবাদিক

২৬. পারভেজ আলম, লেখক ও গবেষক

২৭. আশফাক নিপুণ, চিত্রনাট্যকার ও নির্মাতা

২৮. রেজাউর রহমান লেলিন, গবেষণক ও অধিকার কর্মী

২৯. সায়দিয়া গুলরুখ, সাংবাদিক ও গবেষণক

৩০. কাজী শুসমিন আফসানা, শিক্ষক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

৩১. নাসরিন খন্দকার, নৃবিজ্ঞানী

৩২. ড. ফারজানা সিদ্দিকা, শিক্ষক

৩৩. অলিউর সান, লেখক ও শিক্ষক

৩৪. মাহা মির্জা, গবেষক ও খণ্ডকালীন শিক্ষক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

৩৫. ড. আব্দুর রাজ্জাক খান, শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

৩৬. শরৎ চৌধুরী, শিক্ষক, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়

৩৭. স্নিগ্ধা রিজওয়ানা, শিক্ষক ও নারীবাদী চিন্তক, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়

৩৮. উম্মে ফারহানা, শিক্ষক ও লেখক

৩৯. মিম আরাফাত মানব, প্রভাষক, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়

৪০. রাগীব আহসান মুন্না, সাবেক ভিপি, রাকসু 

৪১. শামুজ্জামান হীরা, সাবেক ভিপি, চাকসু

৪২. ড. মারুফ মল্লিক, লেখক ও বিশ্লেষক

৪৩. মন্টু ঘোষ, ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠক

৪৪. সালাহ উদ্দিন শুভ্র, লেখক ও সাংবাদিক

৪৫. এহসান মাহমুদ, লেখক ও সাংবাদিক

৪৬. নাসরিন সিরাজ, নৃবিজ্ঞানী ও চলচ্চিত্রকার

৪৭. ওয়ারদা আশরাফ, উন্নয়ন ও সংস্কৃতিক কর্মী

৪৮. জামসেদ আনোয়ার তপন, সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সংগঠক

৪৯. নিশাত জাহান রানা, প্রকাশক, যুক্ত

৫০. আইনুন নাহার সিদ্দিকা, আইনজীবী, আপিল বিভাগ

৫১. বাকী বিল্লাহ, লেখক ও রাজনৈতিক কর্মী

৫২. শহীদুল ইসলাম সবুজ, সাধারণ সম্পাদক, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরাম

৫৩. কৌশিক আহমেদ, লেখক ও ব্লগার

৫৪. অমল আকাশ, শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সংগঠক

৫৫. ফেরদৌস আরা রুমী, কবি ও অধিকার কর্মী

৫৬. তাসলিমা মিজি, উদ্যোক্তা ও এক্টিভিস্ট

৫৭. তাহমিনা ইয়াসমিন নীলা, নারী অধিকার আন্দোলন কর্মী

৫৮. সুতপা বেদজ্ঞ, লেখক ও রাজনৈতিক কর্মী

৫৯. দীপ্তি দত্ত, শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

৬০. ব্যরিস্টার গোলাম আইয়ুব অভ্র, মানবাধিকার কর্মী

৬১. বীথি ঘোষ, সাংস্কৃতিক কর্মী

৬২. মারুফ বরকত, লেখক

৬৩. সেলিম হোসেন সাজু, শিল্পী

৬৪. ফেরদৌস আহমেদ উজ্জ্বল, সম্পাদক, পরিবেশ বার্তা

৬৫. জাফর সাদিক, সাংবাদিক

৬৬. সিনা হাসান, সঙ্গীত শিল্পী

৬৭. শাহানা রহমান সুমি, অভিনেত্রী

৬৮. আসমা অধরা, কবি

৬৯. নাঈমা মৌ, সাংবাদিক

৭০. রহমান মফিজ, কবি ও সাংবাদিক

৭১. সৈকত আমীন, কবি ও সাংবাদিক

৭২. আরিফ রহমান, লেখক ও সাংবাদিক

৭৩. উম্মে রায়হানা, কবি ও সাংবাদিক

৭৪. তাহমীদ চৌধুরী, কবি

৭৫. রাফসান আহমেদ, চলচ্চিত্র কর্মী

৭৬. রুহুল মাহফুজ জয়, কবি

৭৭. বীথি সপ্তর্ষি, কবি

৭৮. অভিজিৎ রায় রঘু, কবি ও চিন্তক

৭৯. নাইমুল হাসান, প্রাক্তন জাহাঙ্গীর নগর ও উন্নয়ন কর্মী

৮০. দিলশানা পারুল, এক্টিভিস্ট

৮১. শামীম আরা নীপা, এক্টিভিস্ট

৮২. শিমুল খান, মানবাধিকার কর্মী

৮৩. পূরবী তালুকদার, মানবাধিকার কর্মী

৮৪. ওবায়দুল ইসলাম মুন্না, নাট্যকর্মী

৮৫. মারজিয়া প্রভা, এক্টিভিস্ট

৮৬. ছন্দা মাহবুব, প্রকাশক

৮৭. অনুম কুণ্ডু, রাজনৈতিক কর্মী

৮৮. আবেদা গুলরুখ, আইনজীবী

৮৮. জাহিদ গগণ, চলচ্চিত্র নির্মাতা

৮৯. শায়লা আহমেদ লোপা, এক্টিভিস্ট

৯০. অনিন্দিতা আফরা, নাট্যকর্মী

৯০. সৈয়দা রত্না, প্রধান সমন্বয়ক, তেঁতুলতলা মাঠ আন্দোলন

৯২. সাবিরা সিদ্দিকী, নাট্যকর্মী

৯৩. আরিফ সরকার সোহাগ, চলচ্চিত্র নির্মাতা

৯৪. হুমায়ুন কবির ডালিম, চাকরিজীবী

৯৫. একেএম জোবায়েদ, প্রযোজক, একাত্তর টিভি

৯৬. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, শিল্পী

৯৭. মোহাম্মদ আল আমিন ভুইয়া, কাস্টমস সার্ভিস সুপারভাইজার, যুক্তরাজ্য

৯৮. ঋতু সাত্তার, থিয়েটার ও পারফরম্যান্স আর্টিস্ট

৯৯. শাশ্বতী মজুমদার, শিক্ষক, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়

১০০. জয়শ্রী সরকার, লেখক

১০১. কান্তা দেবী, মানবাধিকার ও উন্নয়ন কর্মী

১০২. হাসিনুর রহমান, সফটওয়্যার নির্মাতা

১০৩. প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান

১০৪. প্রকৌশলী আশীষ রায়

১০৫. মাহাতাব উদ্দীন আহমেদ, গবেষক

১০৬. রোজিনা বেগম, গবেষক

১০৭. মাহবুব রহমান, প্রকাশক

১০৮. বাধন অধিকারী, সাংবাদিক

১০৯. সৈয়দ ফরহাদ, সংগীত শিল্পী

১১০. নাসরিন গুলশান, আর্টিস্ট

১১১. মারুফ বিল্লাহ তন্ময়, সাংবাদিক