নবারুণ ভট্টাচার্য: কবি পুরন্দর ভাট-এর কবিতা সমগ্র

কবি পুরন্দর ভাট-এর কবিতা সমগ্র  নবারুণ ভট্টাচার্য  Nabarun Bhattacharya


নবারুণ ভট্টাচার্য (২৩ জুন ১৯৪৮  ৩১ জুলাই ২০১৪)

নবারুণ ভট্টাচার্য একজন ভারতীয় লেখক এবং কবি। তিনি লেখিকা মহাশ্বেতা দেবী এবং নাট্যকার বিজন ভট্টাচার্যের পুত্র। স্কুল জীবনে তিনি বালিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেন। চাকরি জীবনে তিনি ১৯৭৩ সালে একটি বিদেশি সংস্থায় যোগ দেন এবং ১৯৯১ পর্যন্ত সেখানে চাকরি করেন। এরপর কিছুদিন বিষ্ণু দে-র 'সাহিত্যপত্রসম্পাদনা করেন এবং ২০০৩ থেকে পরিচালনা করছেন 'ভাষাবন্ধননামের একটি পত্রিকা। একসময় দীর্ঘদিন 'নবান্ননাট্যগোষ্ঠী পরিচালনা করতেন। নবারুন ভট্টাচার্যের উপন্যাস হারবার্ট অবলম্বনে পরিচালক সুমন মুখোপাধ্যায় তার হারবার্ট চলচ্চিত্রটি নির্মান করেন। ২০১৩ সালে তার ফ্যাতাড়ু সম্পর্কিত উপন্যাস কাঙাল মালসাট চলচ্চিত্রায়িত হয়। নবারুণ ভট্টাচার্য জুলাই ৩১২০১৪ সালে আন্ত্রিক ক্যান্সারের কারণে কলকাতায় ঠাকুরপুকুর ক্যান্সার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়৬৬ বছর বয়সে মৃত্যু বরণ করেন।

কবি পুরন্দর ভাট-এর কবিতা সমগ্র


১. বাঙালির তরে যদি

বাঙালি না কাঁদে

চুতিয়া বলিয়া তাকে

ডাকো ভীমনাদে।

 – কবি পুরন্দর ভাট-এর মুখে - নবারুণ ভট্টাচার্য 


২. সবাই বাগায়

সবাই লাগায়

সকলেরই হবে অন্ত

আজ ওই শিশু

করিতেছে হিসু

কালই ক্যালাবে দন্ত।

– কবি পুরন্দর ভাট-এর মুখে - নবারুণ ভট্টাচার্য 


৩. বড়লোকের ছেঁয়া

করছে টেঁয়া টেঁয়া

বড়লোকের ছেঁয়ি

করছে টেঁয়ি টেঁয়ি

– কবি পুরন্দর ভাট-এর মুখে - নবারুণ ভট্টাচার্য 


৪. ঢেপসিরা পেপসিতে

লাগায় চুমুক

ইয়া বড় পাছা আর

তত বড় বুক।

– কবি পুরন্দর ভাট-এর মুখে - নবারুণ ভট্টাচার্য 


৫. বোকা ছেলে পুচু পুচু

কোকাকোলা খায়

বোকাচোদা বাপ তার

পয়সা জোগায়।

– কবি পুরন্দর ভাট-এর মুখে - নবারুণ ভট্টাচার্য 

 

৬. বড়লোকের গাড়ির টায়ার

ফুটো করে লাগাও ফায়ার

নজরটুকু রাখবে যেন

আঁচটুকু না লাগে আয়া-র।

– কবি পুরন্দর ভাট-এর মুখে - নবারুণ ভট্টাচার্য 

 

৭. কেহই বোঝেনি মোরে

কেহই বাঁধেনি ডোরে

কেহই দেয়নি গলে মালা,

সকলেই লাথায়াছে

বঁড়শিতে গাঁথায়েছে

বলিয়াছে, মর তুই শালা।

তাই আমি বলি ধিক্!

হাসি শুধু ফিক্ ফিক্

গোপনে করিয়া যাই ট্রাই,

কবে সব শালাগণে

জড়ো করি কচুবনে

একযোগে করিব জবাই!

– কবি পুরন্দর ভাট-এর মুখে - নবারুণ ভট্টাচার্য 

 

৮. চারদিকে ছনছন

সারা গায়ে ঘিন ঘিন

থই থই, ছপ ছপ

ইউরিন! ইউরিন!

– কবি পুরন্দর ভাট-এর মুখে - নবারুণ ভট্টাচার্য 

 

৯. নবনী ধর

তক্তা মার

পেরেক যার

তাকিয়া তার

– কবি পুরন্দর ভাট-এর মুখে - নবারুণ ভট্টাচার্য 

 


 
১০. সনি বা আকাই

কিছুই দেখি না মোরা

ঝামেলা পাকাই

– কবি পুরন্দর ভাট-এর মুখে - নবারুণ ভট্টাচার্য 

 


১১. যত নারী, যত নর,

পড়িয়া নবনী ধর

উড়ু উড়ু মনে দেয় হামা

ফ্যাতাড়ু লুকিয়ে থাকে

পাখনা গুটিয়ে রাখে

তার গায়ে কেন ছেঁড়া জামা?

– কবি পুরন্দর ভাট-এর মুখে - নবারুণ ভট্টাচার্য 

 


১২. নবনী দাদা ও নবনী বউদি

মাঝখানে নাচে মল্লি

এপাশে সিকিম, ওপাশে ভুটান

মাঝে যেন আরাবল্লি

– কবি পুরন্দর ভাট-এর মুখে - নবারুণ ভট্টাচার্য 

 

১৩. দু-দুখানি নিতম্ব দুরু দুরু কাপে

পিঁপড়া কামড় দিয়া যায় কোন ফাঁকে

লাল আছে, ডেঁয়ো আছে, আরও আছে হায়

ঠাকুরের নামে পোঁদ লক কিয়া যায়।

– কবি পুরন্দর ভাট-এর মুখে - নবারুণ ভট্টাচার্য 

 

১৪. ছিলাম চোদু, হলাম সাধু

হতেই দেখি আজব বাঁড়া!

হিপ পকেটে, বুক পকেটে

ফাকিং ফরেন নোটের তাড়া।

– কবি পুরন্দর ভাট-এর মুখে - নবারুণ ভট্টাচার্য 


১৫. চেয়ার-পায়খানাতে হাগে বড়লোক

বড়লোক কাগজেতে হেগো পোঁদ মোছে

গরিবেরা মাঠে হাগে, তেড়ে আসে জোঁক

গরিব নালার জলে হেগো পোঁদ ছোঁচে

– কবি পুরন্দর ভাট-এর মুখে - নবারুণ ভট্টাচার্য 

 

১৬. এবে শোন শালা পুলিশ পুঙ্গব

আঁটি-বাঁধা কোঁকড়ার ঝাঁট

মোরা তোরে ডরাই থোড়াই

বলে কবি পুরন্দর ভাট

– কবি পুরন্দর ভাট-এর মুখে - নবারুণ ভট্টাচার্য 

 


১৭. একটি ক্লান্ত সিকি রয়েছে ধনের কাছে

পকেটের কোণে

দু-তিনটে বিড়ি হবে লাথ মেরে এই ভবে

সেঁটে যাব মানকচু বনে

– কবি পুরন্দর ভাট-এর মুখে - নবারুণ ভট্টাচার্য 

 


১৮. ঘনাইছে মহাকাল

চুল, বলো বাংলায়

হিন্দিতে হল বাল

রান্নাঘরের ধনে

হিন্দিতে ধনিয়া

কত ধানে কত চাল

বোঝো ঢনঢনিয়া।

– কবি পুরন্দর ভাট-এর মুখে - নবারুণ ভট্টাচার্য 

 


১৯. ঝাড়াঝাড়ি করো ঝুল

তুলে ধরো মাস্তুল

মেলে দাও নিজ নিজ পাল

প্রশ্ন কোরো না ক্যানো

কোরো না ঘ্যানোর ঘ্যানো

গ্যারেজে রেখো না পুষে ন্যানো

– কবি পুরন্দর ভাট-এর মুখে - নবারুণ ভট্টাচার্য 

 


২০. জগতের ঝুল ঝাড়ো, ধরো ঝুলঝাড়ু

কোঁকড়া, কোঁকড়া ঝুল, ঝাড়িছে ফ্যাতাড়ু

আমদে কাটাও রাত, টের পাবে কাল

কচি রোঁয়া যা ভেবেছ তা আসলে বাল

– কবি পুরন্দর ভাট-এর মুখে - নবারুণ ভট্টাচার্য 

 

২১. নামটি ডি. এস তার,

মালের বোতল

নিছক মাগির দোষে

হইল কোতল!

– কবি পুরন্দর ভাট-এর মুখে - নবারুণ ভট্টাচার্য 

 

২২. কবিকে দেখিয়া আজ হাসো,

চাও আড়ে আড়ে,

মোক্ষম টেরটি পাবে,

যখন বসাবো মোর দাঁড়ে।

– কবি পুরন্দর ভাট-এর মুখে - নবারুণ ভট্টাচার্য 

 

২৩. দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ

এই মুলো, এই পাদ

সিপিএম-তৃণমূল লীলা

নীরবেতে কাজ সারে

দেখে যায় আড়ে আড়ে

জলে ডুব দিয়ে গডজিলা

– কবি পুরন্দর ভাট-এর মুখে - নবারুণ ভট্টাচার্য 

 


২৪. মুখখানি কাঁচুমাচু

বসিয়া হাগিছে পাঁচু

রেলগাড়ি থেকে দেখা যায়

সুশীলারা শৈবালে

ধরে গেঁড়ি ছেঁড়া জালে

রেলগাড়ি ঝিকি ঝিকি ধায়

বুড়া রমজান মিঞা

লুঙ্গি ছাড়িয়া দিয়া

গামছা পরার একফাঁকে

উঁকি দিল বাংলায়

চিরকাল ঝোলে যাহা

হাড়গিলে ঠোকরায় যাকে

ঐ দ্যাখো তরুতলে

বসিয়া সদলবলে

মদ্দারা টানিতেছে তাড়ি

বাংলা রহিল পিছে

বিহার আসিছে ভায়া

চলিছে, চলিবে রেলগাড়ি

অতীতে সাহেব মেম

আজ শুধু সিপিএম

এর পরে জানো কিছু ভাই?

সুশীল সমাজ জানে

সকল ধাঁধার মানে

কেবা ঘুড়ি, কেহ বা লাটাই।

যেখানেই যাও তুমি

সবই জনমভূমি

এই কালীঘাট , এই তাজ

পাঁচু আর রমজান

দোঁহে মিলি করে গান

ভাঁজ মারে সুশীল সমাজ

সুশীল সমাজ

– কবি পুরন্দর ভাট-এর মুখে - নবারুণ ভট্টাচার্য 

 


২৫. গাঁড় মারি তোর মোটরগাড়ির

গাঁড় মারি তোর শপিং মলের

বুঝবি যখন আসবে তেড়ে

ন্যাংটো মজুর সাবান কলের

পেটমোটাদের ফাটবে খুলি

ফাটবে মাইন চতুর্দিকে

গলায় ফিতে নেংটি বেড়াল

তার বরাতেই ছিঁড়বে শিকে

– কবি পুরন্দর ভাট-এর মুখে - নবারুণ ভট্টাচার্য 

 

২৬. অশ্বে চড়ি সৈন্যদল রাজারা চড়িয়া গজে

কত মাল আসিয়াছে পণ্যভূমি বজবজে

 

কুঠিতে সাহেব ছিল নেটিভ মাগিতে মজে

মশার কামড়ে সবই টেঁসে গেল বজবজে

 

ফুর্তি ওড়াতে চাও হোটেলে অথবা লজে

ছিপে ছিপে চলে যাও তেলডিপো বজবজে

 

বাংলা টানিয়া আজ ভাটকবি তেড়ে ভজে

হেগো পোঁদে জয় জয় করো সবে বজবজে

– কবি পুরন্দর ভাট-এর মুখে - নবারুণ ভট্টাচার্য 

 

২৭. ঐ ঝোলে ঐ ঝোলে দাদামশায়ের থলে

যদি ফাটে দুম করে গোলেমালে , তালেগোলে

 

ভাট কবি বলে তাই না করিয়া গজগজ

চলো সবে বজবজ

চপসহ মাল খাই বেকার ঝামেলা নাই

ফ্যাঁৎ ফ্যাঁৎ সাঁই সাঁই

– কবি পুরন্দর ভাট-এর মুখে - নবারুণ ভট্টাচার্য 

 


২৮. কোথা সে সিনেমা হল

কোথা সে শপিং মল

চারিদিকে ঘোলা জল

করিতেছে খলবল

 

কেন যে জাগালে মোরে

বেশ ছিনু ক্রায়ো-ঘোরে

ঢের ভালো ছিল সে দীর্ঘ তিমির

 

এ কোথায় আমি হায়

ভয়ে বুঝি প্রাণ যায়

এই বুঝি ঘ্যাক্ করি ধরিল কুমির

– কবি পুরন্দর ভাট-এর মুখে - নবারুণ ভট্টাচার্য 

 

২৯. চারিধারে ঠগ ও ছেনাল

বুনিয়াছে শত মায়াজাল।

ভিড়েছো কি তলাবে সদলে

বরং বাঁচিতে যদি চাও

ভুলে যাও ধান্দার ভাও

ছিপে ছিপে টেনে যাও মাল

ধিকিধিকি ঠুকে যাও তাল

ভুলিও না বঙ্গবীর-বঙ্গবিরাঙ্গণা

চারিধারে ঠগ ও ছেনাল

বুনিয়াছে শত মায়াজাল।

– কবি পুরন্দর ভাট-এর মুখে - নবারুণ ভট্টাচার্য 

 


৩০. কত না ফুলের তোড়া

কত ফটো তোলাতুলি

ভাঙিলে লাগে না জোড়া

কত বৃথা কোলাকুলি।

 

জয় গঙ্গা, জয় রাম

কবি পুরন্দর দ্যাখে

মড়া আসে অবিরাম।

টুটিছে কত না জোড়া

ফুটিছে কত না শাঁখা

বড়বাবু ও বেয়াড়া

দেখি পাশাপাশি রাখা।

 

মড়া আসে অবিরাম

কবি পুরন্দর বলে

জয় গঙ্গা, জয় রাম।

– কবি পুরন্দর ভাট-এর মুখে - নবারুণ ভট্টাচার্য 

 


৩১. শশধর ধরেছে শশক

মহীতোষ মেরেছে মশক

উভয়েই স্ব স্ব কাজে পটু

পেট থেকে পড়া ইস্তক।

বনমালী করে বন খালি

ডালে বসে গোঁড়া কাটে কালি

ডাকে তারা যাহা থাকে ঝাড়ে

যমদূত দেয় করতালি।

– কবি পুরন্দর ভাট-এর মুখে - নবারুণ ভট্টাচার্য 

 


৩২. দিকে দিকে জ্বলছে ধুনি,

ভিড় করেছে জ্ঞানী-গুণী

– কবি পুরন্দর ভাট-এর মুখে - নবারুণ ভট্টাচার্য 

 


৩৩. কী নির্জীব, কী নির্জীব,

নির্ঘাত ওটি বুদ্ধি জীব।

– কবি পুরন্দর ভাট-এর মুখে - নবারুণ ভট্টাচার্য 

 


৩৪. আমার জীবনে নাই কেন কোনো ড্রামা

তাই দিব আমি কার্পাস ক্ষেতে হামা

 

আমার জীবনে নাই কেন কোনো ড্রিম

টিকটিকি আমি, পোকা খাই, পাড়ি ডিম

 

আমার মরণে হয় না তো হেডলাইন

প্রাসাদ গাত্রে মুতিয়া ভাঙিব আইন

 

আমার মরণে কাঁদিবে না কোনো মেনি

লেডি ক্যানিং-এর নাম থেকে লেডিকেনি

 

এক পা স্বর্গে, এক পা নরকে, ঝোলা

একটি কামান, দুটি কামানের গোলা।

 

চুতিয়া পৃথিবী

(১৯৪৮-১৯৯৯)

– কবি পুরন্দর ভাট-এর মুখে - নবারুণ ভট্টাচার্য 

 


৩৫. আজ্ঞাবহ দাস, ওরে আজ্ঞাবহ দাস

সারা জীবন বাঁধলি আঁটি

ছিঁড়লি বালের ঘাস,

আজ্ঞাবহ দাসমহাশয়, আজ্ঞাবহ দাস!

আজ্ঞাবহ দাসবাবাজী, আজ্ঞাবহ দাস,

 

যতই তাকাস আড়ে আড়ে,

হঠাৎ এসে ঢুকবে গাঁড়ে,

বাম্বু-ভিলার রেকটো-কিলার,

গাঁট-পাকানো বাঁশ,

আজ্ঞাবহ দাস রে আমার, আজ্ঞাবহ দাস।

– কবি পুরন্দর ভাট-এর মুখে - নবারুণ ভট্টাচার্য 

 

৩৬. উড়িতেছে ডাঁস, উড়িতেছে বোলতা, উড়িতেছে ভীমরুল,

নিতম্বদেশ আঢাকা দেখিলে ফুটাইবে তারা হুল।

মহাকাশ হতে গু-খেকো শকুন হাগিতেছে তব গায়

বাঙালি শুধুই খচ্চর নয়, তদুপরি অসহায়।

– কবি পুরন্দর ভাট-এর মুখে - নবারুণ ভট্টাচার্য 

 


৩৭. ঘরের বাহিরে শত্রু খাড়া

ঘরের ভিতরে গরিব বাঁড়া

করিয়া হেলা মারিছে খেলা

সহসা ঘাড়েতে নামিবে খাঁড়া

মেঘের আড়ালে উড়িছে বোমারু

যুদ্ধজাহাজ নাম পোঙামারু

তবুও ডাকিইয়া মেলে না সাড়া

ঘরে বাহিরে শত্রু খাড়া

– কবি পুরন্দর ভাট-এর মুখে - নবারুণ ভট্টাচার্য 

 


Nabarun Bhattacharya:

Nabarun Bhattacharya (23 June 1948 – 31 July 2014) was an Indian writer who wrote in the Bengali language. He was born at Berhampur, West Bengal. He was the only child of actor and playwright Bijon Bhattacharya and writer and activist Mahashweta Devi. His maternal grandfather was a writer from the Kallol era Manish Ghatak. Visionary filmmaker Ritwik Ghatak was his great uncle.

His novel, Herbert (1993), was awarded the Sahitya Akademi Award and adapted into a film of the same name by Suman Mukhopadhyay in 2005. Bhattacharya regularly edited a literary magazine Bhashabandhan. He was secretary of Ganasanskriti Parisad, the cultural organization of CPIML Liberation.

The characters called Fyataru

His magic realist writings introduced a strange set of human beings to Bengali readers, called Fyataru (fyat: the sound created by kites while they are flown; otherwise, fyat has also a hint of someone worthless, deriving from the words foto, faaltu; uru: related to flying), who are an anarchic underclass fond of sabotage who are also capable of flying whenever they utter the mantra 'fyat fyat sh(n)aai sh(n)aai' (this mantra was later made into a song by the popular bangla band Chandrabindoo in one of its albums). They appear in his books Mausoleum, Kaangaal Maalshaat, Fatarur Bombachaak, Fyatarur Kumbhipaak and Mobloge Novel. Suman Mukhopadhyay, who was basically from a theatrical background, dramatized Kaangaal Maalshaat in a movie of the same name.

In 2019, a new English translation of Harbart was published by New Directions, reviewed for Words Without Borders by Arka Chattopadhyay. In 2020, Sourit Bhattacharya, Arka Chattopadhyay and Samrat Sengupta co-edited a Bloomsbury volume of Nabarun's short stories, poems, interviews and a set of critical articles on his works: Nabarun Bhattacharya: Aesthetics and Politics in a World after Ethics.

—  From Wikipedia