প্রেস রিলিজের চোখে অমর একুশে বই মেলা ২০২৪ (ফেব্রুয়ারি ১৬ থেকে মার্চ ২)

 প্রেস রিলিজের চোখে অমর একুশে বই মেলা ২০২৪


বাংলা একাডেমি প্রতি বছর মাসব্যাপী অমর একুশে বইমেলার আয়োজন করে। বইমেলার প্রচারের জন্য প্রতিরাতেই একটি প্রেস রিলিজ বাংলা একাডেমি থেকে সরবরাহ করা হয়। দুই খণ্ডে অমর একুশে বইমেলা ২০২৪-এর প্রেস রিলিজ গুলো এখানে দেয়া হলো।

তারিখ: ফেব্রুয়ারি ১ থেকে ১৫

তারিখ: ফেব্রুয়ারি ১৬ থেকে মার্চ ২





 

তারিখ: ১৬.০২.২০২৪

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

অমর একুশে বইমেলা ২০২৪

আজ ৩রা ফাল্গুন ১৪৩০/১৬ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ শুক্রবার। অমর একুশে বইমেলা ২০২৪-এর ১৬তম দিন। মেলা শুরু হয় সকাল ১১:০০ টায় এবং চলে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত। সকাল ১১:০০টা থেকে বেলা ১:০০টা পর্যন্ত মেলায় ছিল শিশুপ্রহর। আজ নতুন বই এসেছে ২৯৮টি।

শিশু-কিশোর আবৃত্তি প্রতিযোগিতা: আজ সকাল ১০:০০ টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অমর একুশে শিশু-কিশোর আবৃত্তি প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৩০জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। ক-শাখায় ১ম হয়েছেন ফারহিনা মোস্তাক আযওয়া, ২য় হয়েছেন অংকিতা সাহা রুদ্র এবং ৩য় হয়েছেন ফাবলিহা মোস্তাক আরওয়া। খ-শাখায় ১ম হয়েছেন সমৃদ্ধি সূচনা স্বর্গ, ২য় হয়েছেন সুবহা আলম এবং ৩য় হয়েছেন অন্বেষা পণ্ডিত এবং গ-শাখায় ১ম হয়েছেন সিমরিন শাহীন রূপকথা, ২য় হয়েছেন আবদুল্লাহ আল হাসান মাহি এবং ৩য় হয়েছেন তাজকিয়া তাহরীম শাশা। বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন আবৃত্তিশিল্পী ড. ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়, ডালিয়া আহমেদ এবং ড. মোঃ শাহাদাৎ হোসেন।

বিকেল ৪:০০ টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় স্মরণ: ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালিক শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হারিসুল হক। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন খন্দকার আব্দুল আউয়াল রিজভী, ফজিলাতুন নেছা মালিক এবং এস এম মোস্তফা জামান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহ।

প্রাবন্ধিক বলেন, জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) ডা. আব্দুল মালিক যে সময়টিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তখন এদেশের মানুষ যক্ষা, ম্যালেরিয়া, বসন্ত ও পেটের পীড়ায় মৃত্যুবরণ করত। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ হয়ে উঠেছিল ডা. আব্দুল মালিকের কর্মদক্ষতা, মেধা ও যোগ্যতা প্রদর্শনের অনুপম ক্ষেত্র। তিনি যে দেশমাতৃকার সুযোগ্য সন্তান সেটি তাঁর কাজের ব্যাপ্তির মাধ্যমেই প্রমাণ করে গেছেন। জাতিকে নিরোগ রাখতে, বিশেষ করে হৃদরোগের ক্ষেত্রে তিনি বেশ কিছু সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর চিন্তায় সবসময় জাগরুক থাকতো এদেশের মানুষের সুস্বাস্থের বিষয়টি। তিনি মনে করতেন ধনী-গরীব উভয় পরিবারের সন্তানদের জন্যই ন্যূনপক্ষে প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত।

আলোচকবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশের হৃদরোগ চিকিৎসার পথিকৃত জাতীয় অধ্যাপক আব্দুল মালিকের ভেতর উচ্চশিক্ষা অর্জনের প্রবল আকাঙ্ক্ষা ছিল। চিকিৎসাব্যবস্থার পাশাপাশি বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে উন্নত ও আধুনিক করে তোলার স্বপ্ন দেখতেন তিনি। তবে তিনি কেবল স্বপ্নদ্রষ্টাই ছিলেন না, একজন রূপকারও ছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি গণমানুষের স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর প্রবল আগ্রহ, দৃঢ় প্রচেষ্টা ও দূরদর্শিতার কারণেই বাংলাদেশের হৃদরোগ চিকিৎসা আন্তর্জাতিকমানে উন্নীত হয়েছে।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, দেশের মানুষের হৃদরোগ চিকিৎসার জন্য অধ্যাপক আব্দুল মালিক আজীবন কাজ

করে গেছেন। তিনি কেবল ভালো চিকিৎসকই ছিলেন না, একজন অসাধারণ শিক্ষক ও জনদরদী মানুষও ছিলেন। তাঁর কীর্তির মধ্য দিয়েই তিনি গণমানুষের হৃদয়ে চিরকাল বেঁচে থাকবেন।

আজ লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন গবেষক ড. এম আবদুল আলীম, কথাসাহিত্যিক নাহার মনিকা, কবি স্নিগ্ধা বাউল এবং শিশুসাহিত্যিক অপু বড়ুয়া।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন সুজন বড়য়া, মৌলি আজাদ, মাসরুরা লাকী, রিপন আহসান ঋতু এবং মমতাজ রহমান। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী সোহরাব হোসেন, সাধন কুমার দাশ, দেবাশীষ রুদ্র, ফারহানা পারভীন হক তৃণা এবং নূরননবী শান্ত। এছাড়াও ছিল ফয়জুল্লাহ সাঈদের নির্দেশনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন 'শিল্পবৃত্ত' 'ঢাকা স্বরকল্পন'-এর পরিবেশনা এবং তাপস মজুমদারের পরিচালনায় 'ইলা মিত্র শিল্পী সংঘ'-এর পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী মোঃ জাকির হোসেন হাওলাদার, শফি মণ্ডল, আরতি রানী সেন, দেবোরাহ জান্নাত, নিজাম উদ্দিন লালনী, রাজিয়া সুলতানা এবং মোসাঃ নিপা আক্তার। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন আব্দুল আজিজ (তবলা), মো. বজরুল ইসলাম বিন্তু, (কী-বোর্ড), মো. হাসান আলী (বাঁশি), মো. হাসান মিয়া (বাংলা ঢোল) এবং শাওন আহমেদ (দোতারা)।

আগামীকালের সময়সূচি

আগামীকাল ৪ঠা ফাল্গুন ১৪৩০/১৭ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ শনিবার। অমর একুশে বইমেলার ১৭তম দিন। মেলা শুরু হবে সকাল ১১:০০টায় এবং চলবে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত। সকাল ১১:০০টা থেকে বেলা ১:০০টা পর্যন্ত মেলায় থাকবে শিশুপ্রহর।

শিশু-কিশোর সংগীত প্রতিযোগিতা আগামীকাল সকাল ১০:০০টায় বইমেলার মূলমঞ্চে শিশু-কিশোর সংগীত প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হবে।

আলোচনা অনুষ্ঠান

বিকেল ৪:০০ টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে স্মরণ: শহীদ সাবের এবং স্মরণ: পান্না কায়সার শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন যথাক্রমে মনির ইউসুফ এবং মামুন সিদ্দিকী। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন গিয়াস উদ্দিন, সুভাষ সিংহ রায়, রতন সিদ্দিকী এবং শমী কায়সার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন রামেন্দু মজুমদার।

সমীর কুমার সরকার

পরিচালক

জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ

 

 

 

তারিখ: ১৭.০২.২০২৪

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

অমর একুশে বইমেলা ২০২৪

আজ ৪ঠা ফাল্গুন ১৪৩০/১৭ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ শনিবার। অমর একুশে বইমেলা ২০২৪-এর ১৭তম দিন। মেলা শুরু হয় সকাল ১১:০০টায় এবং চলে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত। সকাল ১১:০০টা থেকে বেলা ১:০০টা পর্যন্ত মেলায় ছিল শিশুপ্রহর। আজ নতুন বই এসেছে ১৭১টি।

শিশু-কিশোর সংগীত প্রতিযোগিতা: আজ সকাল ১০:০০টায় বইমেলার মূলমঞ্চে শিশু-কিশোর সংগীত প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। ক-শাখায় ১ম হয়েছেন নীলাস্ত্রী নীলাম্বরী তিতির, ২য় হয়েছেন রোদসী আদৃতা এবং ৩য় হয়েছেন নৈঋতা ভৌমিক। খ- শাখায় ১ম হয়েছেন তানজিম বিন তাজ প্রত্যয়, ২য় হয়েছেন সুরাইয়া আক্তার এবং ৩য় হয়েছেন রোদসী নূর সিদ্দিকী। গ-শাখায় ১ম হয়েছেন কে. এম. মুনিফ ফারহান দীপ্ত, ২য় হয়েছেন নবজিৎ সাহা এবং ৩য় হয়েছেন সরকার একান্ত ঐতিহ্য। বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন সংগীত-ব্যক্তিত্ব শেখ সাদী খান, মোঃ ইয়াকুব আলী খান এবং চন্দনা মজুমদার।

বিকেল ৪:০০ টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় স্মরণ: শহীদ সাবের এবং স্মরণ: পান্না কায়সার শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যথাক্রমে মনির ইউসুফ এবং মামুন সিদ্দিকী। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন গিয়াস উদ্দিন, রতন সিদ্দিকী এবং শমী কায়সার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রামেন্দু মজুমদার।

শহীদ সাবের: আধুনিকতার বেদনা ও মহিম শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করে মনির ইউসুফ বলেন, শহীদ সাবের তাঁর সাহসী, বেদনাদগ্ধ, সংবেদনশীল, সরল-সুন্দর, গভীর ধ্যানমগ্ন চোখে এই ভূমিকে আত্মস্থ করেছিলেন। মানব-মহত্ত্ব ও মানুষের মুক্তির প্রশ্নে তিনি কখনও আপস করেননি। নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও তিনি মানবমুক্তির পথ, মার্কসীয় দর্শন, প্রগতি ও সৌন্দর্যচেতনা আঁকড়ে ধরে ছিলেন। শিল্পের সাধনায় উৎসর্গ করেছিলেন নিজের জীবন।

পান্না কায়সার: দীপান্বিতার অবিরাম পদযাত্রা শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করে মামুন সিদ্দিকী বলেন, পান্না কায়সার ছিলেন বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অন্যতম বাতিঘর। লেখক ও সংগঠক হিসেবে নিজেকে তিনি অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। মুক্তিযুদ্ধের ভাবাদর্শ ও উদারনৈতিক চিন্তাধারার মধ্যে দিয়ে পান্না কায়সার তাঁর জীবনব্যাপী সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছিলেন।

আলোচকবৃন্দ বলেন, শহীদ সাবের সমাজ বিপ্লবের স্বপ্ন দেখেছেন। তিনি জীবনের মোহ ত্যাগ করে সবকিছু উজাড় করে দিয়েছিলেন মানুষের মুক্তির জন্য, একটি মানবিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য। তিনি ছিলেন হৃদয়ের অনুভবে খাঁটি একজন মানুষ। তাঁরা বলেন, সংস্কৃতিমনা পারিবারিক পরিমণ্ডলে বেড়ে ওঠা পান্না কায়সার ছিলেন একজন দৃঢ় প্রত্যয়ী, সৎ, কর্মঠ এবং নারীবাদী মানুষ। স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক সংগ্রামে তিনি নিজেকে সম্পৃক্ত করেছেন। তাঁর সাহিত্যকর্মে মুক্তিযুদ্ধ হয়ে উঠেছে প্রধান বিষয়।

সভাপতির বক্তব্যে রামেন্দু মজুমদার বলেন, বিপ্লবী চিন্তাচেতনার অধিকারী শহীদ সাবের মানুষের কল্যাণের জন্য এবং একটি আদর্শ সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছেন। আর পান্না কায়সার ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাসমৃদ্ধ একজন সংগ্রামী নারী। তাঁদের আদর্শ, চিন্তাচেতনা ও কর্ম সম্পর্কে তরুণ প্রজন্মকে অবহিত করতে হবে।

আজ লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন কবি শান্তা মারিয়া, কথাসাহিত্যিক এশরার লতিফ, শিশুসাহিত্যিক আহসান মালেক এবং প্রাবন্ধিক সুমন শামস্।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি মিনার মনসুর, হাফিজ রশিদ খান ও আয়শা ঝর্না। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী গোলাম সারোয়ার এবং রফিকুল ইসলাম। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পুথি পাঠ করেন কাব্য কামরুল। এছাড়াও ছিল আবিদা রহমান সেতুর পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন 'বহ্নিশিখা' এবং মঙ্গল চন্দ্র মণ্ডলের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন 'বুলবুল ললিতকলা একাডেমী'-এর পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী জীবন চৌধুরী, মীম বাউল, ঝর্ণা বিশ্বাস, ফারুক হোসেন, নাফিসা ইসলাম ফাইজা, অমিয় বাউল এবং তামান্না নিগার তুলি। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন তুলসী সাহা (তবলা), ডালিম কুমার বড়ুয়া (কী-বোর্ড), মো. আতিকুল ইসলাম (বাঁশি), অরূপ কুমার শীল (দোতারা) এবং আকাশ আহমেদ কবির (বাংলা ঢোল)।

বই সংলাপ ও রিকশাচিত্র মঞ্চের উদ্বোধন

অমর একুশে বইমেলা ২০২৪ আয়োজনের অংশ হিসেবে আজ প্রথমবারের মতো সংযোজিত 'বই-সংলাপ ও রিকশাচিত্র প্রদর্শন মঞ্চ'-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠান বিকাল ৫:০০ টায় মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশের লেকসংলগ্ন মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়। মঞ্চের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. আমিনুর রহমান সুলতান, আগামী প্রকাশনীর প্রকাশক ওসমান গণি, বাংলা একাডেমির সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. মোঃ হাসান কবীর এবং বাংলা একাডেমির পরিচালকবৃন্দ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির কর্মকর্তা খালিদ মারুফ।

আগামীকাল ১৮ই ফেব্রুয়ারি থেকে এই মঞ্চে প্রতিদিন বিকাল ৫:০০টা থেকে রিকশাচিত্র প্রদর্শনের পাশাপাশি মেলায় প্রকাশিত মানসম্পন্ন নির্বাচিত বই নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান চলবে। অনুষ্ঠানে প্রকাশকগণ বইমেলার বিভিন্ন প্রসঙ্গ নিয়ে নিয়মিত আলোচনায় অংশ নেবেন। এছাড়া বাংলা একাডেমি প্রকাশিত গুরুত্বপূর্ণ বই বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।

একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নুরুল হুদা ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্বের অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে ঢাকার রিকশাচিত্রের অন্তর্ভুক্তির কথা উল্লেখ করে বলেন, এই প্রদর্শনী আয়োজনের মাধ্যমে আমাদের সৃষ্টিশীল অর্জনের সঙ্গে রিকশাচিত্রের অন্তর্ভুক্তিকে আনুষ্ঠানিকভাবে উদযাপন করা হলো। বক্তাগণ মানসম্পন্ন বইয়ের গুরুত্ব তুলে ধরে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন।

আগামীকালের সময়সূচি

আগামীকাল ৫ই ফাল্গুন ১৪৩০/১৮ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ রবিবার। অমর একুশে বইমেলার ১৮তম দিন। মেলা শুরু হবে বিকেল ৩:০০টায় এবং চলবে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত।

আলোচনা অনুষ্ঠান

বিকেল ৪:০০ টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে স্মরণ: জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন স্বরোচিষ সরকার। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন লুভা নাহিদ চৌধুরী এবং এম আবদুল আলীম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন কামাল চৌধুরী।

সমীর কুমার সরকার

পরিচালক

জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ

 

 

তারিখ: ১৮.০২.২০২৪

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

অমর একুশে বইমেলা ২০২৪

আজ ৫ই ফাল্গুন ১৪৩০/১৮ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ রবিবার। অমর একুশে বইমেলা ২০২৪-এর ১৮তম দিন। মেলা শুরু হয় বিকেল ৩:০০টায় এবং চলে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত। আজ নতুন বই এসেছে ৮৩টি।

বিকেল ৪:০০ টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় স্মরণ: জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্বরোচিষ সরকার। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন লুভা নাহিদ চৌধুরী এবং এম আবদুল আলীম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা কবি কামাল চৌধুরী।

প্রাবন্ধিক বলেন, জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বাঙালি মুসলমানের আত্মপরিচয় নির্মাণবিষয়ক গবেষণাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন বিভিন্ন সংকলনগ্রন্থ ও প্রবন্ধ রচনার মধ্য দিয়ে। তিনি তাঁর প্রবন্ধগুলোতে এমন সব প্রসঙ্গ তুলে এনেছেন যা সমকালের মুসলমান বাঙালির হীনম্মন্যতা দূর করে, বাঙালির সমন্বিত সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার সম্পর্কে সবাইকে অবহিত করে, সাংস্কৃতিক বহুত্বের মধ্যে উদার মানবিক দিকগুলোকে সামনে নিয়ে আসে, বাঙালির আত্মপরিচয়ের মূল বিন্দুগুলোকে স্পর্শ করে, সর্বোপরি, বাঙালির জাতীয়তাবাদী উপাদানগুলো সামনে তুলে ধরে।

আলোচকবৃন্দ বলেন, জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান তাঁর কর্মময় জীবনে জ্ঞান সৃষ্টি ও বিতরণের কাজে নিয়োজিত ছিলেন। রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় নানা দুর্যোগে তিনি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। পরিমিতিবোধ, অসাম্প্রদায়িক চেতনা, আন্তরিকতা ও মানুষের প্রতি ভালোবাসা তাঁর জীবনচর্যা ও সৃষ্টিকর্মের মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হয়েছে। আজীবন তিনি বাঙালির সংস্কৃতির শেকড়ের সন্ধান করেছেন। তাঁর মূল্যবান চিন্তা ও জ্ঞানসমৃদ্ধ প্রবন্ধ দেশের বাইরেও সমাদৃত হয়েছে।

সভাপতির বক্তব্যে কামাল চৌধুরী বলেন, জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বহুমাত্রিক ও বর্ণাঢ্য জীবনযাপন করেছেন। সমগ্র জীবনব্যাপী তিনি বাঙালির মুক্তি ও অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেছেন এবং এই স্বপ্ন আমাদের সবার মাঝে সঞ্চারিত করেছেন। তিনি তাঁর পাণ্ডিত্য, জ্ঞান ও কর্মের মধ্য দিয়ে তরুণ সমাজকে পথ দেখাবেন।

আজ লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন কথাসাহিত্যিক মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক, শিশুসাহিত্যিক রোমেন রায়হান, কবি সৈকত হাবিব এবং গীতিকবি মনোরঞ্জন বালা।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি কামাল চৌধুরী, মুস্তাফিজ শফি, নজমুল হেলাল, মাহবুবা ফারুক, রাকীব হাসান, রিশাদ হুদা এবং নাজমা আহমেদ। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী মো. শওকত আলী, মো. এনামুল হক, শিরিন সুলতানা, সুপ্রভা সেবতী, অনিকেত রাজেশ এবং ফেরদৌসী বেগম। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মামুনুর রশীদের রচনা ও নির্দেশনায় 'কহে ফেসবুক' নাটক পরিবেশন করে 'আরণ্যক নাট্যদল'

আগামীকালের সময়সূচি

আগামীকাল ৬ই ফাল্গুন ১৪৩০/১৯শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সোমবার। অমর একুশে বইমেলার ১৯তম দিন। মেলা শুরু হবে বিকেল ৩:০০টায় এবং চলবে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত।

আলোচনা অনুষ্ঠান

বিকেল ৪:০০ টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে স্মরণ: হাসান আজিজুল হক শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন মোজাফ্ফর হোসেন। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন ফারুক মঈনউদ্দীন এবং মহীবুল আজিজ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন অধ্যাপক ভীষ্মদেব চৌধুরী।

সমীর কুমার সরকার

পরিচালক

জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ

 

 

তারিখ: ১৯.০২.২০২৪

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

অমর একুশে বইমেলা ২০২৪

আজ ৬ই ফাল্গুন ১৪৩০/১৯শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সোমবার। অমর একুশে বইমেলা ২০২৪-এর ১৯তম দিন। মেলা শুরু হয় বিকেল ৩:০০ টায় এবং চলে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত। আজ নতুন বই এসেছে ১১৫টি।

বিকেল ৪:০০টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় স্মরণ: হাসান আজিজুল হক শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মোজাফ্ফর হোসেন। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ফারুক মঈনউদ্দীন এবং মহীবুল আজিজ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ভীষ্মদেব চৌধুরী।

প্রাবন্ধিক বলেন, হাসান আজিজুল হক আখ্যানপ্রধান কথাসাহিত্যিক। বাংলা সাহিত্যের প্রচলিত গল্পের ধারাকে তিনি আরও সমৃদ্ধ ও সম্প্রসারিত করেছেন। এই বঙ্গে গণমানুষ ও প্রান্তিক মানুষ, দাঙ্গা, খরা, দুর্ভিক্ষ, ক্ষুধা, মুক্তিযুদ্ধ, রাঢ়বঙ্গের প্রকৃতি এসবই তাঁর ছোটোগল্পে চিত্রিত হয়েছে। গল্প-উপন্যাসের বাইরে সাহিত্য, সংস্কৃতি, শিক্ষা, রাজনীতি, দর্শন ইত্যাদি বিষয়ে তিনি অনেক মননশীল প্রবন্ধ রচনা করেছেন। এছাড়া, স্বল্প পরিসরে হলেও শিশুসাহিত্য ও অনুবাদের ক্ষেত্রে হাসান আজিজুল হক তাঁর স্বভাবজাত সৃজনশীলতার স্বাক্ষর রেখেছেন।

আলোচকবৃন্দ বলেন, বাংলা ছোটোগল্পের অন্যতম প্রধান লেখক হাসান আজিজুল হক তাঁর রচনায় রাঢ়বঙ্গের কঠিন বাস্তবতাকে তুলে ধরেছেন। মানুষের প্রতি তাঁর মমত্ববোধ ঘেরা ছিল বাস্তবতার কঠিন আবরণে। তাঁর একাধিক গল্পে শিশুকিশোর চরিত্রের সন্নিবেশ ঘটেছে, যেখানে তাদের মনোজগৎকে নানা মাত্রিকতায় আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন তিনি। তাঁর স্মৃতিকথায় কৈশোরের অনেক চিত্র যেমন প্রকাশিত হয়েছে, তেমনি লেখকের আত্মসত্তা আবিষ্কারের প্রয়াস স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ভীষ্মদেব চৌধুরী বলেন, বাংলা সাহিত্যের ছোটোগল্পের বরপুত্র হাসান আজিজুল হক গল্প-উপন্যাস ছাড়াও গভীর পর্যালোচনা ও প্রজ্ঞাসমৃদ্ধ প্রবন্ধ রচনা করেছেন। তাঁর সাহিত্যের অনালোচিত দিকগুলোর ওপর আলোকপাত করার মাধ্যমে আমরা নিজেদের আরও সমৃদ্ধ করতে পারব।

আজ লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন কথাসাহিত্যিক অসীম হিমেল, কবি গাজী রফিক,রম্যলেখক সত্যজিৎ বিশ্বাস এবং গবেষক জিয়াউল হক।

রিকশাচিত্র প্রদর্শন বই সংলাপ মঞ্চের আয়োজন এই মঞ্চে আজ বিকেল ৫:৩০ টায় বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার সদ্যপ্রকাশিত কবিতা সংকলন মুজিবমঞ্জুষা নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বইয়ের প্রকাশক আগামী প্রকাশনীর প্রকাশক ওসমান গনি-সহ বিশিষ্টজন।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান: সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন, দুলাল সরকার, মাসুদ আলম বাবুল, কাজী আনারকলি, বাপ্পী রহমান এবং নাজমুল হুসাইন বিদ্যুৎ। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী আনজুমান আরা, বদরুল হুদা জেনু, মাহমুদুল হাকিম তানভীর, আওরঙ্গজেব আরু এবং রূপশ্রী চক্রবর্তী। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছিল শিল্পী ফরিদা পারভীনের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন 'অচিন পাখি', রাখাল কিশোর ঠাকুরের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন 'ত্রিবেণী' এবং আতিকুর রহমান উজ্জ্বলের পরিচালনায় নৃত্য সংগঠন 'নৃত্যাঙ্গন'-এর পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন আবিদা রহমান সেতু, সুমা রাণী রায়, ডালিয়া সুলতানা, আরিফ চৌধুরী পলাশ, মুন্নী কাদের, রোমানা আক্তার, জোহুরা আক্তার সোনিয়া এবং মো. রেজাউল করিম। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন চন্দন দত্ত (তবলা), আনোয়ার সাহদাত রবিন (কী-বোর্ড), এফ এম আলমগীর কবীর (বাঁশী) এবং দীপঙ্কর রায় (অক্টোপ্যাড)।

আগামীকালের সময়সূচি

আগামীকাল ৭ই ফাল্গুন ১৪৩০/২০শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪ মঙ্গলবার। অমর একুশে বইমেলার ২০তম দিন। মেলা শুরু হবে বিকেল ৩:০০টায় এবং চলবে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত।

আলোচনা অনুষ্ঠান

বিকেল ৪:০০টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে স্মরণ: জামাল নজরুল ইসলাম শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন আসিফ। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন সুব্রত বড়ুয়া এবং আরশাদ মোমেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন অধ্যাপক আবদুল মান্নান।

সমীর কুমার সরকার

পরিচালক

জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ

 

 

তারিখ: ২০.০২.২০২৪

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

অমর একুশে বইমেলা ২০২৪

আজ ৭ই ফাল্গুন ১৪৩০/২০শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪ মঙ্গলবার। অমর একুশে বইমেলা ২০২৪-এর ২০তম দিন। মেলা শুরু হয় বিকেল ৩:০০টায় এবং চলে রাত ৮:৩০টা পর্যন্ত। আজ নতুন বই এসেছে ৯৯টি।

বিকেল ৪:০০ টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় স্মরণ: জামাল নজরুল ইসলাম শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিজ্ঞানবক্তা আসিফ। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সুব্রত বড়ুয়া এবং আরশাদ মোমেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক আবদুল মান্নান।

প্রাবন্ধিক বলেন, অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন গাণিতিক, পদার্থবিদ ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী এবং বিশ্ববরেণ্য কসমোলজিস্ট। আন্তর্জাতিক মহলে তিনি জে. এন. ইসলাম হিসেবে পরিচিত। পঞ্চাশ বছরের বৈজ্ঞানিক জীবনে তিনি ধ্রুপদি সব বিজ্ঞান-ধারার ওপর কাজ করে গেছেন। তন্মধ্যে আছে কোয়ান্টাম ক্ষেত্রতত্ত্ব, আপেক্ষিকতার সূত্র, নক্ষত্রের গঠন ও মহাবিশ্ব তত্ত্ব। তবে তাঁর গবেষণার প্রধান বিষয় ছিল আপেক্ষিকতাবাদ ও মহাবিশ্বতত্ত্ব। তাঁর লিখিত দ্য আলটিমেট ফেট অব দ্য ইউনিভার্স গ্রন্থটি ফরাসি, ইতালীয়, জার্মান, পর্তুগিজসহ বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। পৃথিবীর বড়ো বড়ো বিশ্ববিদ্যালয়ে বইটি পাঠ্যবই হিসেবে পড়ানো হয়।

আলোচকবৃন্দ বলেন, অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলামের বিজ্ঞানচিন্তা ও গবেষণার পরিসর ছিল অনেক বিস্তৃত। তিনি আন্তর্জাতিক বুদ্ধিবৃত্তিক পরিমণ্ডলে বিশিষ্ট অবস্থান অধিকার করেছিলেন। তিনি কেবল বড়ো বিজ্ঞানীই ছিলেন না, একজন সংস্কৃতিবান ও দেশপ্রেমিক মানুষও ছিলেন। দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও দায়বদ্ধতা থেকে তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনা ছেড়ে বাংলাদেশে চলে আসেন এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগে যোগদান করেন। গণিত ও পদার্থবিজ্ঞানের গবেষণা তাকে কখনও সমাজ ও মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন করেনি।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম বড়ো বিজ্ঞানী হয়েও ছিলেন নিরহংকারী, অত্যন্ত আন্তরিক, সদাশয় ও সরল মনের অধিকারী একজন মানুষ। তিনি বিজ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। আমাদের তরুণ প্রজন্মকে জামাল নজরুল ইসলামের বিজ্ঞানচেতনা দ্বারা উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

আজ লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন কবি আতাহার খান, কথাসাহিত্যিক মোস্তফা কামাল, গবেষক চৌধুরী শহীদ কাদের এবং লেখক ও পর্বতারোহী ইকরামুল হাসান শাকিল।

রিকশাচিত্র প্রদর্শন বই ও সংলাপ মঞ্চের আয়োজন: এই মঞ্চে আজ বিকেল ৫:০০টায় ড. হাসান কবীর রচিত ও বাংলা একাডেমি প্রকাশিত বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের কৃষি বই নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান: সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি রহিমা আখতার কল্পনা, বিপ্লব মুস্তাফিজ, প্রত্যয় জসীম, ফারুক আহমেদ, মনিরুজ্জামান মিন্টু, মনিরুজ্জামান রোহান এবং কাজী আনিসুল হক। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী ইকবাল খোরশেদ, দেওয়ান সাইদুল হাসান, অনন্যা রেজওয়ানা, মীর মাসরুর জামান রনি, সংগীতা চৌধুরী, জিনিয়া ফেরদৌস রুনা এবং চন্দ্রিমা দেয়া। এছাড়া মনিরুল ইসলামের পরিচালনায় দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করে 'স্বরব্যঞ্জন বাচনিক উৎকর্ষ ও চর্চা কেন্দ্র'

অমর একুশের কর্মসূচি

আগামীকাল ৮ই ফাল্গুন ১৪৩০/অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বুধবার। শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। রাত ১২:৩০টায় একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে দিনের কর্মসূচি শুরু হবে। বইমেলা শুরু হবে সকাল ৮:০০টায় এবং চলবে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত। সকাল ৮:০০ টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে স্বরচিত কবিতা পাঠের আসর। সভাপতিত্ব করবেন কবি শামীম আজাদ।

অমর একুশে বক্তৃতা ২০২৪

বিকেল ৪:০০টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে অমর একুশে বক্তৃতা ২০২৪। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। অমর একুশে বক্তৃতা প্রদান করবেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।

সমীর কুমার সরকার

পরিচালক

জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ

 

 

তারিখ: ২১.০২.২০২৪

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

অমর একুশে বইমেলা ২০২৪

আজ ৮ই ফাল্গুন ১৪৩০/২১শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বুধবার। অমর একুশে বইমেলার ২১তম দিন। মেলা শুরু হয় সকাল ৮:০০টায় এবং চলে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত। আজ নতুন বই এসেছে ২৩৪টি।

মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন

শহিদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলা একাডেমি বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করে। রাত ১২:৩০টায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার নেতৃত্বে বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। সকাল ৮:০০ টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় স্বরচিত কবিতা পাঠের আসর। স্বরচিত কবিতাপাঠে প্রায় ১৩৫জন কবি কবিতা পাঠ করেন। সভাপতিত্ব করেন কবি শামীম আজাদ।

বিকেল ৪:০০ টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় অমর একুশে বক্তৃতা ২০২৪। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলা একাডেমির পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ড. সরকার আমিন। অমর একুশে বক্তৃতা প্রদান করেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক। অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন বাংলা একাডেমির সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. মো. হাসান কবীর। একুশে বক্তৃতানুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ড. মোঃ শাহাদাৎ হোসেন।

ড. সরকার আমিন বলেন, রোকেয়া সাখাওয়াৎ হোসেন ছিলেন সমাজ-সচেতন, শিক্ষানুরাগী ও জ্ঞানদীপ্ত একজন মানুষ। সাহিত্যচর্চার মাধ্যমে তিনি নারী-পুরুষের ভেদাভেদকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। তিনি বিশ্বাস করতেন পৃথিবীকে বাসযোগ্য করার ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ উভয়ের ভূমিকাই সমান।

আনোয়ারা সৈয়দ হক বলেন, বাঙালি জাতির কাছে রোকেয়া সাখাওয়াৎ হোসেন এখন আর একটি নাম মাত্র নয়, বাঙালি জাতির পথ চলবার এক নিরন্তর অনুপ্রেরণা, এক জ্বলন্ত অগ্নিশিখা। সমাজের কল্যাণের স্বার্থে মুসলিম নারীর শোচনীয় এবং অধঃপতিত অবস্থা সমাজের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছিলেন তিনি। প্রতিকূলতার ভেতর দিয়েই সংগ্রাম করে তিনি জীবনের পথে, কর্মের পথে অগ্রসর হয়েছিলেন। একবিংশ শতাব্দীর প্রারম্ভে তাঁর মানবীয় স্বপ্নকে আজও আমরা নিরন্তর বাস্তবে রূপায়িত করে চলেছি।

আজ লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন কবি গোলাম কিবরিয়া পিনু, শিশুসাহিত্যিক ওয়াসিফ এ খোদা, কথাসাহিত্যিক মাসউদ আহমাদ এবং শিশুসাহিত্যিক ইমরান পরশ।

বই-সংলাপ ও রিকশাচিত্র প্রদর্শন মঞ্চের আয়োজন: এই মঞ্চে আজ বিকেল ৫:০০টায় 'প্রথম কবিতার বই অনুভূতির দলিল' এই প্রতিপাদ্যে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন আশনা হাবিব ভাবনা, স্নিগ্ধা বাউল, সঞ্জয় ঘোষ, রিপন আহসান রিতু, মীর রবি, মাশরুরা লাকী ও মিনহাজুল হক। গোলটেবিল সঞ্চালনা করেন কবি ফারহান ইশরাক ও কথাসাহিত্যিক খালিদ মারুফ।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান: সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, মোঃ হাসানুজ্জামান কল্লোল, আমিনুর রহমান সুলতান, হাসানাত লোকমান, বদরুল হায়দার, ফারহানা রহমান, সঞ্জীব পুরোহিত, নূর-এ-জান্নাত, শিমুল পারভীন এবং আরেফিন রব। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী আশরাফুল আলম, রূপা চক্রবর্তী এবং আহকামউল্লাহ। এছাড়াও ছিল ফকির সিরাজের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন 'ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠী' এবং মানজারুল ইসলাম সুইটের পরিচালনায় 'সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী'র পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায়, কল্যাণী ঘোষ, শিবু রায়, মহাদেব ঘোষ, মিথুন জব্বার, বাবু জব্বার, আব্দুল হালিম খান, স্বর্ণময়ী মণ্ডল এবং জান্নাত-এ-ফেরদৌসী। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন প্রিয়ব্রত চৌধুরী (তবলা), ডালিম কুমার বড়ুয়া (কী-বোর্ড), মনির হোসেন (গীটার) এবং মো. ফারুক (অক্টোপ্যাড)।

আগামীকালের কর্মসূচি

আগামীকাল ৯ই ফাল্গুন ১৪৩০/২২শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বৃহস্পতিবার। অমর একুশে বইমেলার ২২তম দিন। মেলা শুরু হবে বিকেল ৩:০০টায় এবং চলবে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত।

বিকেল ৪:০০টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে স্মরণ: আসাদ চৌধুরী এবং স্মরণ: জাহিদুল হক শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন যথাক্রমে মাহমুদা আকতার এবং কামরুল হাসান। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন দিলারা হাফিজ, বায়তুল্লাহ কাদেরী, খালেদ হোসাইন এবং মনি হায়দার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন ড. মুহম্মদ সামাদ।

সমীর কুমার সরকার

পরিচালক

জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ

 

 

তারিখ: ২২.০২.২০২৪

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

অমর একুশে বইমেলা ২০২৪

আজ ৯ই ফাল্গুন ১৪৩০/২২শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বৃহস্পতিবার। অমর একুশে বইমেলার ২২তম দিন। মেলা শুরু হয় বিকেল ৩:০০ টায় এবং চলে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত। আজ নতুন বই এসেছে ৭৮টি।

বিকেল ৪:০০টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় স্মরণ: আসাদ চৌধুরী এবং স্মরণ: জাহিদুল হক শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যথাক্রমে মাহমুদা আকতার এবং কামরুল হাসান। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন দিলারা হাফিজ, বায়তুল্লাহ কাদেরী এবং মনি হায়দার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ড. মুহম্মদ সামাদ।

প্রাবন্ধিক বলেন, কবি আসাদ চৌধুরী ঘাটের দশকের বাস্তবতায় একজন ঐতিহ্যমগ্ন কবি। তাঁর কবিতায় জাতীয়তা, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধিকার-চেতনা নান্দনিক সৌকর্যে প্রতিভাত হয়েছে। যার ফলে তাঁর কবিতার মাঝে শৈল্পিক বোধের সঙ্গে স্বজাতির প্রতি সুগভীর ভালোবাসা মূর্ত হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে, বাংলা কবিতার ইতিহাসে কবি জাহিদুল হক আপন প্রতিভায় উজ্জ্বল। তিনি ছিলেন একজন ছন্দসচেতন কবি। ছন্দ ও ধ্বনির ওপর দখল তাঁকে একজন শক্তিমান গীতিকার করে তুলেছিল।

আলোচকবৃন্দ বলেন, সদাবিনয়ী, মিষ্টভাষী কবি আসাদ চৌধুরী গণমানুষের কবি। বাহান্নর চেতনাকে বুকে ধারণ করে স্বদেশের প্রেমে উজ্জীবিত হয়ে তিনি দেশ, সমাজ ও সংস্কৃতিকে চিত্রিত করেছেন তাঁর কবিতায়। লোকজীবনের নানা অনুষঙ্গ তাঁর কবিতায় স্থান করে নিয়েছে। অন্যদিকে, বাংলা সাহিত্যাঙ্গনে কবি জাহিদুল হক তাঁর প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে গেছেন। কবিতার পাশাপাশি গল্প ও উপন্যাস রচনাতেও তিনি দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। গল্প, কবিতা ও উপন্যাসের মধ্য দিয়ে তিনি তাঁর গভীরতম অনুভব ও অনুভূতির অত্যন্ত নিখুঁত ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন।

সভাপতির বক্তব্যে ড. মুহম্মদ সামাদ বলেন, কবি আসাদ চৌধুরী ও জাহিদুল হক তাঁদের কবিতার মধ্য দিয়ে মানুষের প্রতি, দেশের প্রতি, ভাষার প্রতি ভালোবাসার প্রকাশ ঘটিয়েছেন। তাই তাঁদের কবিতা গণমানুষের ভাষ্য হয়ে উঠেছে।

আজ লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন কবি শিহাব সরকার, শিশুসাহিত্যিক তপংকর চক্রবর্তী, গবেষক হোসনে আরা এবং কথাসাহিত্যিক মিলটন রহমান।

বই-সংলাপ ও রিকশাচিত্র প্রদর্শন মঞ্চের আয়োজন: এই মঞ্চে আজ বিকেলে দ্রাবিড় সৈকত রচিত 'বাংলার চিত্রকলা ইতিহাসের বিভ্রান্তি এবং মনন-মনীষায় ইউরোপমুখিনতার মর্মভেদ' এবং 'ফ্রয়েডিয় লিবিডো-তত্ত্ব এবং তান্ত্রিক দেহাত্মবাদ সমীক্ষণ ও তুলনামূলক বিচার' শীর্ষক দুটো বই নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান: সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি নূহ-উল-আলম লেনিন, হাসান হাফিজ, সৌরভ সিকদার, ওবায়েদ আকাশ, মেঘ অদিতি, রুহুল মাহবুব এবং বাবুল আনোয়ার। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী হাসিব বিল্লাহ, মাসুম আজিজুল বাসার, জি এম মোর্শেদ, নাঈমা হোসেন এবং অনন্যা রানী সাহা। এছাড়াও ছিল মিলন কান্তি দে'র রচনায় ও নির্দেশনায় 'দেশ অপেরা'র পরিবেশনায় যাত্রাপালা 'বঙ্গমাতা'

আগামীকালের কর্মসূচি

আগামীকাল ১০ই ফাল্গুন ১৪৩০/২৩শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪ শুক্রবার। অমর একুশে বইমেলার ২৩তম দিন। মেলা শুরু হবে সকাল ১১:০০টায় এবং চলবে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত। সকাল ১১:০০টা থেকে বেলা ১:০০টা পর্যন্ত চলবে শিশুপ্রহর।

সকাল ১০:৩০টায় বইমেলার মূলমঞ্চে রয়েছে অমর একুশে উদ্যাপন উপলক্ষ্যে বাংলা একাডেমি আয়োজিত শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি ও সংগীত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান। স্বাগত ভাষণ প্রদান করবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নজরুল ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক এ এফ এম হায়াতুল্লাহ।

বিকেল ৪:০০ টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে স্মরণ: আখতারুজ্জামান ইলিয়াস শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন মামুন হুসাইন। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন ওয়াসি আহমেদ এবং জাফর আহমদ রাশেদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন অধ্যাপক খালিকুজ্জামান ইলিয়াস।

সমীর কুমার সরকার

পরিচালক

জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ

 

 

তারিখ: ২৩.০২.২০২৪

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

অমর একুশে বইমেলা ২০২৪

আজ ১০ই ফাল্গুন ১৪৩০/২৩শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪ শুক্রবার। অমর একুশে বইমেলার ২৩-তম দিন। মেলা শুরু হয় সকাল ১১:০০টায় এবং চলে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত। আজ নতুন বই এসেছে ১৯৭টি।

শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি ও সংগীত প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান

সকাল ১০:৩০টায় শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি ও সংগীত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন বাংলা একাডেমির সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. মোঃ হাসান কবীর। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নজরুল ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক এ এফ এম হায়াতুল্লাহ। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।

শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা: ক-শাখায় ১ম হয়েছেন ওয়াফিয়া নূর, ২য় হয়েছেন আর্লিন আহমেদ সানভী, ৩য় হয়েছেন তাইফা জান্নাত। খ-শাখায় ১ম হয়েছেন সৌভিক সাহা, ২য় হয়েছেন প্রত্যুষা রায়, ৩য় হয়েছেন শাফিন উদ্দিন আহাম্মেদ। গ-শাখায় ১ম হয়েছেন স্বস্তি চৌধুরী, ২য় হয়েছেন সপ্তনীল হাওলাদার ঐশী, ৩য় হয়েছেন সুয়েত আহমেদ নিহাল।

শিশু-কিশোর আবৃত্তি প্রতিযোগিতা: ক-শাখায় ১ম হয়েছেন ফারহিনা মোস্তাক আযওয়া, ২য় হয়েছেন অংকিতা সাহা রুদ্র এবং ৩য় হয়েছেন ফাবলিহা মোস্তাক আরওয়া। খ-শাখায় ১ম হয়েছেন সমৃদ্ধি সূচনা স্বর্গ, ২য় হয়েছেন সুবহা আলম এবং ৩য় হয়েছেন অন্বেষা পণ্ডিত এবং গ-শাখায় ১ম হয়েছেন সিমরিন শাহীন রূপকথা, ২য় হয়েছেন আবদুল্লাহ আল হাসান মাহি এবং ৩য় হয়েছেন তাজকিয়া তাহরীম শাশা।

শিশু-কিশোর সংগীত প্রতিযোগিতা: ক-শাখায় ১ম হয়েছেন নীলান্তী নীলাম্বরী তিতির, ২য় হয়েছেন রোদসী আদৃতা এবং ৩য় হয়েছেন নৈঋতা ভৌমিক। খ-শাখায় ১ম হয়েছেন তানজিম বিন তাজ প্রত্যয়, ২য় হয়েছেন সুরাইয়া আক্তার এবং ৩য় হয়েছেন রোদসী নূর সিদ্দিকী। গ-শাখায় ১ম হয়েছেন কে. এম. মুনিফ ফারহান দীপ্ত, ২য় হয়েছেন নবজিৎ সাহা এবং ৩য় হয়েছেন সরকার একান্ত ঐতিহ্য।

বিকেল ৪:০০টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় স্মরণ: আখতারুজ্জামান ইলিয়াস শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মামুন হুসাইন। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ওয়াসি আহমেদ এবং জাফর আহমদ রাশেদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক খালিকুজ্জামান ইলিয়াস।

প্রাবন্ধিক বলেন, আমাদের কালের এক আশ্চর্য-নির্লোভ মানুষ আখতারুজ্জামান ইলিয়াস চেনা বাস্তবতাকে প্রসারিত করেন প্রচলিত দৃষ্টি ও বুদ্ধিগ্রাহ্যতার ওপারে। আমাদের আদিকল্প, ইন্দ্রজাল, উপকথা তিনি চিনেছিলেন সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে। মধ্যবিত্তের ধসে পড়া সেতুর খোলনলচে দেখতে যেয়ে তিনি আঘাত করেছিলেন মধ্যবিত্তের গোপন পঙ্কিলময় শালীনতা, শুদ্ধতা ও নৈতিকতাকে। ইলিয়াসের মিথ পুরাণগর্ভ থেকে নয়, বরং বরেন্দ্রভূমির দূর অতীতের ইতিহাস থেকে তৈরি হয়। অর্থাৎ ইলিয়াসের ক্ষেত্রে মিথের জন্মভূমি যত না পুরাণের ঐতিহ্য, তার থেকেও বেশি মানুষের জীবনযাপনের অতীত ইতিহাস।

আলোচকবৃন্দ বলেন, বাংলা সাহিত্যের অত্যন্ত শক্তিমান লেখক আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের সাহিত্যদর্শন, সংশীয় দৃষ্টিভঙ্গি ও নিজস্ব চিন্তাভাবনা সম্পর্কে জানতে হলে তাঁর সাহিত্য পাঠ একান্ত জরুরি। তিনি ছিলেন সংবেদনশীল ও অনুসন্ধিৎসু একজন লেখক। সমাজের নানা দিকে তাঁর সাহিত্যিক দৃষ্টি ছিল প্রসারিত। তিনি তাঁর চিন্তাশীলতার মধ্য দিয়েই একজন পরিপূর্ণ মানুষ হয়ে উঠেছিলেন।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক খালিকুজ্জামান ইলিয়াস বলেন, আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের বোধ ছিল শানিত, ভাষা ঝরঝরে এবং চিন্তা ছিল স্বচ্ছ। নিরন্তর নিরীক্ষার মধ্য দিয়েই তাঁর সাহিত্য অনন্য উচ্চতা লাভ করেছে। নবীন পাঠকদের আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের সাহিত্যপাঠে উৎসাহিত করতে হবে।

আজ লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন লেখক, পর্যটক ও পাখি বিশেষজ্ঞ ইনাম আল হক, কথাসাহিত্যিক নভেরা হোসেন, কবি কুশল ভৌমিক ও শিশুসাহিত্যিক আহমেদ জসিম।

বই-সংলাপ ও রিকশাচিত্র প্রদর্শন মঞ্চের আয়োজন: এই মঞ্চে আজ বিকেলে পারস্য সাহিত্যের অনুবাদক ও লেখক অধ্যাপক শাকির সবুর রচিত সমকালীন ইরানের কবি ও কবিতা এবং ফারসি থেকে অনূদিত বুজুর্গে আলাভির তার চোখগুলো বই নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান: সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি অঞ্জনা সাহা, নূরুন্নাহার শিরিন, মতেন্দ্র মানখিন, মাসুদুল হক, তিথি আফরোজ, ফিরোজ শাহ, আহমদ জামাল জাফরী, রাজীব কুমার সাহা এবং নাদিরা খানম। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী বেলায়েত হোসেন, রুবিনা আজাদ, সায়েরা হাবীব, ঝর্ণা পারুল, তনুশ্রী মল্লিক এবং জেসমিন বন্যা। এছাড়াও ছিল রুবিনা আজাদের পরিচালনায় আবৃত্তি সংগঠন 'উদয় দিগঙ্গন', ফাতেমা-তুজ-জোহরার পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন 'গ্রহস্বর', কাজী মাহতাব সুমনের পরিচালনায় নৃত্য সংগঠন 'পরম্পরায়' এবং সাংস্কৃতিক সংগঠন 'বাঙালি সাংস্কৃতিক বন্ধন'-এর পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী সেলিম চৌধুরী, সন্দীপন দাস, রহিমা খাতুন, লাকী সরকার, প্রত্যাশা চাকমা, ডা, তাপস বোস, মো. বদিয়ার রহমান এবং সিদ্দিক কবির। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন কেশব সরকার (তবলা), রবিনস চৌধুরী (কী-বোড), মো, মামুনুর রশিদ (গীটার), খোকন বাউলা (দোতারা) এবং আবদুস সোবহান (বাংলা ঢোল)।

আগামীকালের কর্মসূচি

আগামীকাল ১১ই ফাল্গুন ১৪৩০/২৪শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪ শনিবার। অমর একুশে বইমেলার ২৪তম দিন। মেলা শুরু হবে সকাল ১১:০০ টায় এবং চলবে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত। সকাল ১১:০০টা থেকে বেলা ১:০০টা পর্যন্ত চলবে শিশুপ্রহর।

বিকেল ৪:০০ টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে স্মরণ: মোহাম্মদ রফিক এবং খালেক বিন জয়েন উদদীন শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন যথাক্রমে আলতাফ শাহনেওয়াজ এবং সুজন বড়ুয়া। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন শামীম রেজা, শোয়াইব জিবরান, আসলাম সানী এবং আমীরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন আবুল মোমেন।

সমীর কুমার সরকার

পরিচালক

জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ



তারিখ: ২৪,০২,২০২৪

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

অমর একুশে বইমেলা ২০২৪

আজ ১১ই ফাল্গুন ১৪৩০/২৪শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪ শনিবার। অমর একুশে বইমেলার ২৪তম দিন। মেলা শুরু হয় সকাল ১১:০০টায় এবং চলে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত। সকাল ১১:০০টা থেকে বেলা ১:০০টা পর্যন্ত ছিল শিশুপ্রহর। আজ নতুন বই এসেছে ১৩৮টি।

বিকেল ৪:০০টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় স্মরণ: মোহাম্মদ রফিক এবং স্মরণ: খালেক বিন জয়েনউদদীন শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যথাক্রমে আলতাফ শাহনেওয়াজ এবং সুজন বড়ুয়া। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন শামীম রেজা, শোয়াইব জিবরান এবং আসলাম সানী। সভাপতিত্ব করেন আবুল মোমেন।

প্রাবন্ধিক বলেন, কবি মোহাম্মদ রফিকের সূক্ষ্ম কবিতার মধ্যে স্মৃতির ভাগই বেশি। স্মৃতি আর কবির চারপাশের সত্তা তাঁর কবিতায় মিলেমিশে আছে। তারুণ্যের প্রথম প্রহরে বামপন্থি রাজনৈতিক সক্রিয়তা আর কৈশোরে সংঘটিত দেশভাগ এবং দেশভাগের ফলে ভিটেমাটি তথা দেশ ছেড়ে মানুষের দেশান্তরী বা বাস্তুচ্যুত হওয়ার ঘটনার মধ্যে যে বেদনাবোধ নিহিত, সেই বেদনাতুর স্মৃতিই তাঁকে কবিতা রচনায় প্রেরণা দিয়েছে। অন্যদিকে যে কজন শিশুসাহিত্যিক প্রতিভার দীপ্ত আলোয় আমাদের শিশুসাহিত্যকে উদ্ভাসিত করেছেন, খালেক বিন জয়েনউদদীন তাঁদের মধ্যে অন্যতম। মূলত শিশুসাহিত্যিক হলেও তিনি জীবনী-প্রবন্ধ-নিবন্ধ ইত্যাদি রচনার ক্ষেত্রেও রেখেছেন উল্লেখযোগ্য অবদান। লোকসাহিত্যের ঐতিহ্যকে ধারণ করে খালেক বিন জয়েনউদদীন গড়ে তুলেছেন ছড়ার আধুনিক অবয়ব।

আলোচকবৃন্দ বলেন, কবি মোহাম্মদ রফিকের কাব্যভাষায় নিজস্ব স্বর লক্ষ করা যায়, যা তাঁকে স্বাতন্ত্র্য দান করেছিল। বিশ্বসাহিত্যের একনিষ্ঠ পাঠক মোহাম্মদ রফিক তাঁর কবিতায় বাংলার মানুষের সুখ-দুঃখ, স্বপ্ন-দুঃস্বপ্ন, পুরাণ-ইতিহাস, জীবন ও জীবনবোধের ছবি এঁকেছেন। অন্যদিকে, খালেক বিন জয়েনউদদীন ছড়া লেখার পাশাপাশি ইতিহাস, ঐতিহ্য, বাংলার কৃষ্টি-সংস্কৃতি, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু বিষয়ে অসংখ্য মননশীল প্রবন্ধ-নিবন্ধ রচনা করেছেন।

সভাপতির বক্তব্যে আবুল মোমেন বলেন, কবি মোহাম্মদ রফিক এবং ছড়াকার ও শিশুসাহিত্যিক খালেক বিন জয়েনউদদীন তাঁদের

সাহিত্যপ্রতিভা দিয়ে বাংলা সাহিত্যকে ঋদ্ধ করেছেন। সাহিত্যচর্চার মধ্য দিয়ে তাঁরা এই দেশ ও গণমানুষের প্রতি তাঁদের অঙ্গীকার পালনের চেষ্টা করেছেন। নুতন প্রজন্মের মাঝে দেশপ্রেম জাগিয়ে তোলা ও ইতিবাচক মনোগঠনে তাঁদের সাহিত্যকর্ম অপরিসীম ভূমিকা রাখবে।

আজ লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন কবি ও গবেষক শাহনাজ পারভীন, কবি ও অনুবাদক সাইফুল ভূঁইয়া, কথাসাহিত্যিক শাহনাজ পারভীন স্মৃতি এবং গবেষক মনিরুজ্জামান শাহীন।

বই-সংলাপ ও রিকশাচিত্র প্রদর্শন মঞ্চের আয়োজন: এই মঞ্চে আজ বিকেলে বাংলা একাডেমি প্রকাশিত, মুহম্মদ মোজাম্মেল হক রচিত মুক্তিযুদ্ধ ও আলোকচিত্র বই বিষয়ে লেখকের সঙ্গে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান: সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি মাকিদ হায়দার, আশিক আকবর, মাহবুব আজীজ, বীরেন মুখার্জী, আরেফিন রব, কাফি শেখ, সালেহ মুজাহিদ এবং তিথি বালা। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী নূরুল হাসনাত জিলান, লুৎফুন নাহার লতা, নিমাই মণ্ডল, সাহিত্য ভঞ্জ চৌধুরী। এছাড়াও ছিল আসাদুজ্জামান মান্নার পরিচালনায় আবৃত্তি সংগঠন 'কুষ্টিয়া আবৃত্তি পরিষদ', মাসুম হুসাইনের পরিচালনায় নৃত্য সংগঠন 'পরম্পরা নৃত্যালয়', মাহবুব রিয়াজের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন 'বঙ্গবন্ধু শিল্পীগোষ্ঠী' এবং হাসান আবদুল্লাহ বিপ্লবের পরিচালনায় 'ঘাসফুল'-এর পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী ইয়াকুব আলী খান, সালাউদ্দিন আহমদ, সুজিত মোস্তফা, নফিসা মাহজাবিন, বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী, তাপসী ঘোষ, বর্ণালী সরকার, ফারহানা আক্তার এবং ঝর্ণা রায় ভাবনা। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন কাজী মো. ইমতিয়াজ সুলতান (তবলা), রবিন্স চৌধুরী (কী-বোর্ড), মো. হাসান আলী (বাঁশি), ফিরোজ খান (সেতার), বিশ্বজিৎ সেন (মন্দিরা)।

আগামীকালের কর্মসূচি

আগামীকাল ১২ই ফাল্গুন ১৪৩০/২৫শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪ রবিবার। অমর একুশে বইমেলার ২৫তম দিন। মেলা শুরু হবে বিকেল ৩:০০ টায় এবং চলবে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত।

বিকেল ৪:০০টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে স্মরণ: স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন কাজী নূরুল করিম দিলু। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন তানভীর নেওয়াজ এবং মাহমুদুল আনোয়ার রিয়াদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন জেবুন নাসরীন আহমেদ।

সমীর কুমার সরকার

পরিচালক

জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ



তারিখ: ২৫.০২.২০২৪

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

অমর একুশে বইমেলা ২০২৪

আজ ১২ই ফাল্গুন ১৪৩০/২৫শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪ রবিবার। অমর একুশে বইমেলার ২৫তম দিন। মেলা শুরু হয় বিকেল ৩:০০টায় এবং চলে রাত ৮:৩০টা পর্যন্ত। আজ নতুন বই এসেছে ৯৬টি।

বিকেল ৪:০০ টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় স্মরণ: স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কাজী নুরুল করিম দিলু। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন তানভীর নেওয়াজ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেবুন নাসরীন আহমেদ।

প্রাবন্ধিক বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনের কর্মপরিধি ছিল বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ক্র্যাক প্লাটুনের অন্যতম গেরিলা সদস্য হিসেবে একের পর এক দুঃসাহসিক অপারেশনে অংশ নিয়েছেন তিনি। তাঁর পরিকল্পিত নকশায় নির্মিত হয়েছে দেশের অনেক দৃষ্টিনন্দন ভবন ও স্থাপনা। গণমানুষের অধিকারের বিষয়ে মোবাশ্বের হোসেন ছিলেন আপসহীন। দেশের বিভিন্ন ঐতিহাসিক ভবন সুরক্ষা, পরিবেশ রক্ষা, শিক্ষা, ক্রীড়া এমনকি ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা থেকে শুরু করে প্রায় সকল ক্ষেত্রেই তিনি রেখেছেন সক্রিয় ভূমিকা। সর্বোপরি, সফলতা ও ব্যর্থতার উর্ধ্বে উঠে তিনি মানবকল্যাণের জন্য কাজ করে গেছেন।

আলোচক বলেন, বাংলাদেশের বহুবিধ স্থাপত্য প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িয়ে আছে বীর মুক্তিযোদ্ধা স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনের নাম। ব্যক্তিমানুষ হিসেবে অত্যন্ত আন্তরিক মোবাশ্বের হোসেন দেশ ও মানুষের কল্যাণের জন্য সব সময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। অসাধারণ সাংগঠনিক দক্ষতার অধিকারী এই মানুষটি আমৃত্যু তাঁর দক্ষতার পরিচয় রেখেছেন বিবিধ ক্ষেত্রে।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক জেবুন নাসরীন আহমেদ বলেন, বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনের চরিত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্যই ছিল দৃঢ়তা, সততা, সাহসিকতা এবং দেশ ও মানুষের প্রতি ভালোবাসা। তাঁর কর্মমুখর জীবন ও আদর্শ আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। 

আজ লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন, কথাসাহিত্যিক জসিম মল্লিক, কবি শিবলী মোকতাদির, নাট্যকার খায়রুল বাসার এবং শিশুসাহিত্যিক উৎপলকান্তি বড়ুয়া।

বই-সংলাপ ও রিকশাচিত্র প্রদর্শন মঞ্চের আয়োজন: এই মঞ্চে আজ বিকেল ৫:০০টায় কবি ও চলচ্চিত্রকার মাসুদ পথিকের কবিতা ও চলচ্চিত্র বিষয়ে তাঁর সঙ্গে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান: সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি এজাজ ইউসুফী, জান্নাতুল ফেরদৌসী, উৎপলকান্তি বড়ুয়া, প্রসপারিনা সরকার, অংকিতা আহমেদ রুবি, রিশাদ হুদা, সৌমিত্র দেব, অরবিন্দ চক্রবর্তী, আহসান মালেক, রওশন ঝুনু, সমর চক্রবর্তী, গিরিশ গৈরিক এবং আহমেদ জসিম। ছড়া পাঠ করেন ছড়াকার আখতার হুসেন, আমীরুল ইসলাম, লুৎফর রহমান রিটন, ফারুক হোসেন, আনজীর লিটন, মাহমুদউল্লাহ, সারওয়ার উল আলম, রিফাত নিগার শাপলা এবং তপংকর চক্রবর্তী। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী মাহমুদা আখতার, চিং হ্লা মং চৌধুরী এবং চৌধুরী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর।

আগামীকালের কর্মসূচি

আগামীকাল ১৩ই ফাল্গুন ১৪৩০/২৬শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সোমবার। অমর একুশে বইমেলার ২৬তম দিন। মেলা শুরু হবে বেলা ১২:০০টায় এবং চলবে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত।

বিকেল ৪:০০টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে স্মরণ: আবুবকর সিদ্দিক এবং স্মরণ: আজিজুর রহমান আজিজ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন যথাক্রমে ফরিদ আহমদ দুলাল এবং কামরুল ইসলাম। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন মামুন মুস্তাফা, তৌহিদুল ইসলাম, মো. মনজুরুর রহমান এবং আনিস মুহম্মদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন কবি আসাদ মান্নান।

সমীর কুমার সরকার

পরিচালক

জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ



তারিখ: ২৭.০২.২০২৪

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

অমর একুশে বইমেলা ২০২৪

আজ ১৪ই ফাল্গুন ১৪৩০/২৭শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪ মঙ্গলবার। অমর একুশে বইমেলার ২৭তম দিন। মেলা শুরু হয় বিকেল ৩:০০টায় এবং চলে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত। আজ নতুন বই এসেছে ৯৫টি। 

বিকেল ৪:০০ টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় স্মরণ: সেলিম আল দীন শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লুৎফর রহমান। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন রশীদ হারুন এবং জাহিদ রিপন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নাট্যজন নাসিরউদ্দিন ইউসুফ। 

প্রাবন্ধিক বলেন, বাংলা নাটকের ইতিহাসে সেলিম আল দীনের অবদান অবিস্মরণীয়। তিনি সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় অস্থির পরিস্থিতিতে প্রকৃত বাস্তবকে বিশ্বস্ততার সঙ্গে উপস্থাপন করাকেই তাঁর কর্তব্য বলে মনে করেছেন। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক চিত্র তাঁর নাটকে মূর্তরূপ লাভ করেছে। নাটক রচনাকালে তাঁর চেতনার ভূগোল তৈরি হয়েছে সমগ্র প্রকৃতি, মানুষ, জনপদ, জীবন এবং গ্রামীণ ও নাগরিক সমাজের বিদ্যমান দ্বন্দ্বের প্রেক্ষাপটে।

আলোচকবৃন্দ বলেন, সচেতন নাট্যকার হিসেবে সেলিম আল দীন সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতাকে উপেক্ষা করতে পারেননি। তাঁর নাটকের ভেতর সমকালীন বাস্তবতার চিত্র উন্মোচিত হয়েছে। সমাজ-চেতনা এবং পরিবেশ-পরিস্থিতির পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সেলিম আল দীনের নাটকেও বিবর্তন এসেছে। তিনি এ অঞ্চলের শিল্পরীতি ও শিল্পদর্শনকে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকে চালিত করেছেন এবং বাঙালির নাট্য- সংস্কৃতি ও নাট্যযাত্রার পথকে সুগম করার জন্যে আজীবন কাজ করে গেছেন।

সভাপতির বক্তব্যে নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বলেন, সেলিম আল দীন রাজনীতি ও মানুষকে একীভূত করে তাঁর নাট্যভূমি নির্মাণ করেছেন। কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক মতবাদের পক্ষাবলম্বন না করে শিল্পীর নির্মোহ অবস্থান থেকে তিনি নাট্যচর্চা করেছেন।

বইমেলায় হুমায়ুন আজাদকে স্মরণ

বহুমাত্রিক লেখক হুমায়ুন আজাদের উপর সন্ত্রাসী হামলার বার্ষিকীতে আজ ২৭শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪, বিকেল ৫:০০টায় হুমায়ুন আজাদ দিবস পালন উপলক্ষ্যে লেখক-পাঠক ফোরামের উদ্যোগে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বইমেলার তথ্যকেন্দ্রের সামনে এক স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। বিশিষ্ট প্রকাশক ওসমান গনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। বক্তৃতা প্রদান করেন কবি মোহন রায়হান, কবি আসলাম সানী, প্রকাশক মাজহারুল ইসলাম প্রমুখ। বক্তারা বলেন, হুমায়ুন আজাদের হত্যাচেষ্টার বিচার অবিলম্বে বাস্তবায়ন এবং তাঁর আদর্শে মৌলবাদ-জঙ্গিবাদ এবং সাম্প্রদায়িকতামুক্ত সমাজ-রাষ্ট্র গঠনের মাধ্যমেই তাঁকে যথাযোগ্যভাবে স্মরণ করা হবে।

আজ লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক রেজানুর রহমান, শিশুসাহিত্যিক মানজুর মুহাম্মদ, কবি রণক মুহম্মদ রফিক এবং গবেষক অমল গাইন।

বই-সংলাপ ও রিকশাচিত্র প্রদর্শন মঞ্চের আয়োজন: এই মঞ্চে আজ বিকেল ৫:০০টায় বাংলা একাডেমি লেখক পর্ষদের উদ্যোগে সাহিত্য অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান: সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি রওশন ঝুনু, হাসনাইন সাজ্জাদী, মাহী ফ্লোরা এবং মোস্তাফিজুর রহমান। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী পারভেজ চৌধুরী, কুমার লাভলু, নাজমুল আহসান এবং মুজাহিদুল ইসলাম। এছাড়া ছিল সালাউদ্দিন বাদলের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন 'আওয়ামী শিল্পীগোষ্ঠী', মোশাররফ হোসেনের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন 'দৃষ্টি', মোস্তাফিজুর রহমানের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন 'ভাওয়াইয়া অঙ্গন' এবং মৈত্রী সরকারের পরিচালনায় নৃত্যসংগঠন 'স্বপ্নবিকাশ কলা কেন্দ্র'-এর পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী লিলি ইসলাম, ফাহিম হোসেন চৌধুরী, চঞ্চল খান, অণিমা রায়, কামাল আহমেদ, আশরাফ মাহমুদ, সালমা চৌধুরী, মীরা মণ্ডল, ঝুমা খন্দকার, শেলী চন্দ, ইরাবতী মণ্ডল এবং সেলিনা আলম। যন্ত্রানুষঙ্গে ছিলেন গৌতম মজুমদার (তবলা), রবিনস চৌধুরী (কী-বোর্ড), গাজী আবদুল হাকিম (বাঁশি), নাজমুল আলম খান (মন্দিরা) এবং রিচার্ড (গীটার)।

আগামীকালের কর্মসূচি

আগামীকাল ১৫ই ফাল্গুন ১৪৩০/২৮শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বুধবার। অমর একুশে বইমেলার ২৮তম দিন। মেলা শুরু হবে বিকেল ৩:০০ টায় এবং চলবে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত।

বিকেল ৪:০০ টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে স্মরণ: মুনীর চৌধুরী এবং স্মরণ: হুমায়ুন আজাদ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন যথাক্রমে ফিরোজা ইয়াসমীন এবং হাকিম আরিফ। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন আবদুস সেলিম, ইউসুফ হাসান অর্ক, ওসমান গনি এবং মৌলি আজাদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন নাট্যজন ফেরদৌসী মজুমদার।

সমীর কুমার সরকার

পরিচালক

জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ



তারিখ: ২৮.০২.২০২৪

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি 

অমর একুশে বইমেলা ২০২৪

আজ ১৫ই ফাল্গুন ১৪৩০/২৮শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বুধবার। অমর একুশে বইমেলার ২৮তম দিন। মেলা শুরু হয় বিকেল ৩:০০টায় এবং চলে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত। আজ নতুন বই এসেছে ৮০টি।

বিকেল ৪:০০টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় স্মরণ: মুনীর চৌধুরী এবং স্মরণ: হুমায়ুন আজাদ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যথাক্রমে অধ্যাপক ফিরোজা ইয়াসমীন এবং অধ্যাপক হাকিম আরিফ। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন অধ্যাপক আবদুস সেলিম, অধ্যাপক ইউসুফ হাসান অর্ক, ওসমান গনি এবং মৌলি আজাদ। সভাপতিত্ব করেন নাট্যজন ফেরদৌসী মজুমদার।

অনুষ্ঠানের শুরুতে কাজী জাহিদুল হক সংকলিত এবং ঐতিহ্য প্রকাশিত মুনীর চৌধুরীর দুষ্প্রাপ্য রচনা বই-উন্মোচনে অংশ নেন অনুষ্ঠানের সভাপতি ফেরদৌসী মজুমদার, প্রাবন্ধিকদ্বয়, আলোচকবৃন্দ, বিশিষ্ট নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার এবং গ্রন্থটির সম্পাদক কাজী জাহিদুল হক।

প্রাবন্ধিকদ্বয় বলেন, মুনীর চৌধুরী বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ইতিহাসে একটি উজ্জ্বল নাম। তিনি স্বল্প সময়ের জীবনে বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির ইতিহাসে স্বীয় নাম স্মরণীয় করে গেছেন। তিনি আজীবন সততা ও সাহসের সঙ্গে বাংলা ভাষা, বাংলা সাহিত্য ও বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছেন। অন্যদিকে, হুমায়ুন আজাদের অন্যতম বুদ্ধিবৃত্তিক পরিচয় হচ্ছে, তিনি একাডেমিক জগতে ভাষাবিজ্ঞান বিষয়ে আধুনিক ও প্রাগ্রসর ধারণা ও তত্ত্বচিন্তার সন্নিবেশ ঘটিয়েছেন। পেশাগত জীবনে বাংলা ও ভাষাবিজ্ঞান বিষয়ের অধ্যাপক হওয়ার কারণে ভাষাবিজ্ঞানের তাত্ত্বিকবিশ্বে তাঁর প্রবেশাধিকার নিশ্চিত হয়েছে পরম পাণ্ডিত্য ও অভিনিবেশ সহযোগে।

আলোচকবৃন্দ বলেন, বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী মুনীর চৌধুরী শোষিত ও মুক্তিকামী মানুষদের জন্য সুনির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে অগ্রসর হয়েছিলেন। আমাদের সামনে তিনি বিপ্লবী জীবনের আদর্শ স্থাপন করে গেছেন। বাংলা ভাষা চর্চা ও গবেষণার আধুনিকায়নে তাঁর ভূমিকা অপরিসীম। অন্যদিকে, বাংলা ভাষার অন্যতম গবেষক হুমায়ুন আজাদ সৃষ্টিশীল ও সাহসী একজন মানুষ ছিলেন। সৃষ্টিশীল লেখক হিসেবে কবিতা, উপন্যাস, শিশুতোষ রচনা, প্রবচন, আত্মজীবনী সবক্ষেত্রেই তাঁর ছিল অবাধ বিচরণ।

সভাপতির বক্তব্যে ফেরদৌসী মজুমদার বলেন, মাতৃভূমি ও মাতৃভাষার প্রতি মুনীর চৌধুরী ও হুমায়ুন আজাদের ভালোবাসা ছিল সহজাত ও স্বতঃস্ফূর্ত। তাঁদের জীবন ও কর্ম বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ হয়ে থাকবে।

আজ লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন গবেষক, ড. মোহাম্মদ হাননান, কবি তারিক সুজাত, কথাসাহিত্যিক সমীর আহমেদ এবং শিশুসাহিত্যিক আবেদীন জনি।

বই-সংলাপ ও রিকশাচিত্র প্রদর্শন মঞ্চের আয়োজন: এই মঞ্চে আজ বিকেল ৫:০০টায় বাংলা একাডেমি প্রকাশিত 'সংস্কৃতি ও সদাচার' বই নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন বাংলা একাডেমির পরিচালক ড. মো. হাসান কবীর এবং সম্পাদকীয় পর্ষদের সদস্যবৃন্দ।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান: সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি প্রদীপ মিত্র, তাহমিনা কোরাইশী, চঞ্চল শাহরিয়ার, হাসান মাহমুদ, আসাদ আহমেদ, মীর রেজাউল কবীর, লোকমান হোসেন পলা, কাজী বর্ণাঢ্য, দীপন দেবনাথ, গোলাম মোর্শেদ চন্দন, কৌমুদী নার্গিস, ফারজানা ইসলাম এবং বোরহান মাসুদ। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী জ্যোতি ভট্টাচার্য, মোহাম্মদ সেলিম ভূঁইয়া, মছরুর হোসেন, ফারজানা নিম্নি এবং সিদ্দিকুর রহমান পারভেজ। এছাড়া ছিল কোহিনূর রহমান শিল্পীর পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন 'আনন্দ নিকেতন সংগীতালয়', নারায়ণ চন্দ্র শীলের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন 'লোকাঙ্গন সাংস্কৃতিক সংগঠন', আরিফুজ্জামান চয়নের পরিচালনায় নৃত্য সংগঠন 'উদ্ভাস নৃত্যকলা একাডেমী' এবং রোকেয়া ইসলামের পরিচালনায় 'প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন সংস্থা'-এর পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী শাহীন সামাদ, ফেরদৌস আরা, দীপ্তি রাজবংশী, আবদুল মান্নান তালুকদার (নয়ন সাধু), আঁখি আলম, শেখ মিলন, সরদার হিরক রাজা, আরিফ বাউল, বেবী আকতার, রবিউল হক, রিদওয়ানা আফরীন, রীতা ভাঁদুরী এবং নয়ন বাউল। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন কাজী মো. ইমতিয়াজ সুলতান (তবলা), মো. নূর এ আলম সজীব (কী-বোর্ড), গাজী আবদুল হাকিম (বাঁশি), রিচার্ড কিশোর (গীটার), নজরুল ইসলাম (বাংলা ঢোল)।

আগামীকালের কর্মসূচি

আগামীকাল ১৬ই ফাল্গুন ১৪৩০/২৯শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বৃহস্পতিবার। অমর একুশে বইমেলার ২৯তম দিন। মেলা শুরু হবে বিকেল ৩:০০টায় এবং চলবে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত।

সমীর কুমার সরকার 

পরিচালক

জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ



তারিখ: ২৯.০২.২০২৪

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

অমর একুশে বইমেলা ২০২৪

আজ ১৬ই ফাল্গুন ১৪৩০/২৯শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বৃহস্পতিবার। অমর একুশে বইমেলার ২৯তম দিন। মেলা শুরু হয় বিকেল ৩:০০টায় এবং চলে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত। আজ নতুন বই এসেছে ১২৭টি।

অমর একুশে বইমেলার বর্ধিত সময়

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে 'অমর একুশে বইমেলা ২০২৪'-এর সময়সীমা দুই দিন বর্ধিত করা হয়েছে। সে অনুযায়ী এবারের বইমেলা আগামী ২রা মার্চ ২০২৪ শনিবার পর্যন্ত চলবে।

আজ লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন লেখক ও আলোকচিত্রশিল্পী নাসির আলী মামুন, পৃথিগবেষক জালাল খান ইউসুফী, কথাসাহিত্যিক মাহমুদুন নবী রনি এবং কবি রনি রেজা।

আগামীকালের কর্মসূচি

আগামীকাল ১৭ই ফাল্গুন ১৪৩০/১লা মার্চ ২০২৪ শুক্রবার। অমর একুশে বইমেলার ৩০তম দিন। মেলা শুরু হবে সকাল ১১:০০টায় এবং চলবে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত।

সমীর কুমার সরকার 

পরিচালক

জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ



তারিখ: ০১.০৩.২০২৪

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

অমর একুশে বইমেলা ২০২৪

আজ ১৭ই ফাল্গুন ১৪৩০/১লা মার্চ ২০২৪ শুক্রবার। অমর একুশে বইমেলার ৩০তম দিন। মেলা শুরু হয় সকাল ১১:০০টায় এবং চলে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত। আজ নতুন বই এসেছে ২১৯টি।

অমর একুশে বইমেলা ২০২৪-এর সমাপনী অনুষ্ঠান

আগামীকাল ১৮ই ফাল্গুন ১৪৩০/২রা মার্চ ২০২৪ শনিবার। অমর একুশে বইমেলার সমাপনী দিন। মেলা শুরু হবে সকাল ১১:০০টায় এবং চলবে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত।

বিকেল ৫:০০টায় সমাপনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা ভাষণ প্রদান করবেন একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন 'অমর একুশে বইমেলা ২০২৪'-এর সদস্য-সচিব ডা. কে এম মুজাহিদুল ইসলাম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ। সভাপতিত্ব করবেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।

অনুষ্ঠানে চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার, মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার, রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার এবং শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার প্রদান করা হবে।

সমীর কুমার সরকার

পরিচালক

জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ



তারিখ: ০২.০৩.২০২৪

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

অমর একুশে বইমেলা ২০২৪

আজ ১৮ই ফাল্গুন ১৪৩০/২রা মার্চ ২০২৪ শনিবার। অমর একুশে বইমেলার ৩১তম দিন। মেলা শুরু হয় সকাল ১১:০০ টায় এবং চলে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত। আজ নতুন বই এসেছে ১৪৯টি। এ পর্যন্ত (০২রা ফেব্রুয়ারি থেকে ২রা মার্চ পর্যন্ত) নতুন বই এসেছে ৩৭৫১টি।

অমর একুশে বইমেলা ২০২৪-এর সমাপনী অনুষ্ঠান

বিকেল ৫:০০টায় সমাপনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা ভাষণ প্রদান করেন একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। 'অমর একুশে বইমেলা ২০২৪'-এর সদস্য-সচিব ডা. কে এম মুজাহিদুল ইসলামের লিখিত প্রতিবেদন তাঁর পক্ষে পাঠ করেন একাডেমির উপপরিচালক ড. সাহেদ মন্তাজ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী বেগম নাহিদ ইজাহার খান এমপি, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ। বক্তব্য প্রদান করেন সহযোগী প্রতিষ্ঠান বিকাশ লিমিটেড-এর সিএমও মীর নওবত আলী। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। অনুষ্ঠানে সম্প্রতি বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, এবার ছিল অধিবর্ষের বইমেলা। নির্ধারিত ২৯ দিনের সঙ্গে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় নির্দেশনায় অতিরিক্ত ০২ দিন যুক্ত হয়ে ৩১ দিনের দীর্ঘ বইমেলার আজ শেষ দিন। ২০২৪-এর বইমেলা অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় ছিল বিস্তৃত, ব্যাপক ও বর্ণাঢ্য। শীতে শুরু হয়ে বইমেলা স্পর্শ করেছে বসন্ত-বাতাস। একুশের রক্তপলাশের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মার্চের চেতনার রং।

সদস্য-সচিব তাঁর প্রতিবেদনে বলেন, মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানসমূহের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এবারের বইমেলায় (১লা ফেব্রুয়ারি থেকে ১লা মার্চ পর্যন্ত) প্রায় ৬০ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছে। এই বইমেলায় বাংলা একাডেমি (১লা ফেব্রুয়ারি থেকে ১লা মার্চ পর্যন্ত) ১ কোটি ৩৬ লাখ টাকার বই বিক্রি করে।

ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, অমর একুশে বইমেলা আজ বাঙালির ভাষা, শিল্প-সাহিত্য ও ঐতিহ্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। বইমেলার মাধ্যমে প্রতিবছর আমরা আমাদের সৃজনশীলতাকে উদ্যাপন করি। এই মেলা আমাদের আবেগের, জাতিসত্তার, ভাষা-সাহিত্য ও ঐতিহ্যের প্রতি ভালোবাসার মেলা।

বেগম নাহিদ ইজাহার খান এমপি, বলেন, বইমেলা আমাদের প্রাণের মেলা। এই মেলা দেখতে দেখতে চারদশক অতিক্রম করে এখন বিশাল আকার ধারণ করেছে। বিশ্ববাঙালির কাছে যেমন ঠিক তেমনি বিশ্বের জ্ঞানপিপাসু মানুষের কাছেও একুশের বইমেলা এক অসাধারণ বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক ঘটনা হিসেবে স্বীকৃত।

মীর নওবত আলী বলেন, বাঙালির প্রাণের মেলা অমর একুশে বইমেলার সঙ্গে সহযোগিতায় থাকতে পেরে বিকাশ লিমিটেড আনন্দিত ও গর্বিত।

খলিল আহমদ বলেন, আনন্দ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপিত এবারের বইমেলা সমাপ্তির দ্বারপ্রান্তে। বইমেলা কেবল বই বিক্রির জায়গা নয়; দল, মত, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলের প্রাণের মেলা অমর একুশে বইমেলা ২০২৪ সকলের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও সহযোগিতায় সাফল্যমণ্ডিত হয়েছে।

কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, বাংলা একাডেমি আয়োজিত অমর একুশে বইমেলা আমাদের জাতীয় জীবনের এক অসাধারণ বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক ঘটনা। তথ্যপ্রযুক্তির বিপুল বিকাশের পরও মুদ্রিত বইয়ের আবেদন যে কোনোমতেই ফুরিয়ে যায়নি তার প্রমাণ একুশে বইমেলায় ক্রমবর্ধমান জনসমাগম।

গুণীজন স্মৃতি পুরস্কার ২০২৪

অমর একুশে বইমেলা ২০২৪-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে ২০২৩ সালে প্রকাশিত বিষয় ও গুণমানসম্মত সর্বাধিক সংখ্যক বই প্রকাশের জন্য কথাপ্রকাশ-কে চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার-২০২৪ প্রদান করা হয়। ২০২৩ সালে প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে শৈল্পিক ও গুণমান বিচারে সেরা বই বিভাগে মনজুর আহমদ রচিত একুশ শতকে বাংলাদেশ: শিক্ষার রূপান্তর গ্রন্থের জন্য প্রথমা প্রকাশন, মঈন আহমেদ রচিত যাত্রাতিহাস: বাংলার যাত্রাশিল্পের আদিঅন্ত গ্রন্থের জন্য ঐতিহ্য এবং আলমগীর সাত্তার রচিত কিলো ফ্লাইট প্রকাশের জন্য জার্নিম্যান বুকস-কে মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার ২০২৪ প্রদান করা হয়। ২০২৩ সালে প্রকাশিত শিশুতোষ বইয়ের মধ্য থেকে গুণমান বিচারে সর্বাধিক গ্রন্থ প্রকাশের জন্য ময়ূরপঙ্খি-কে রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার-২০২৪ প্রদান করা হয়।

২০২৪ সালের অমর একুশে বইমেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্য থেকে নান্দনিক অঙ্গসজ্জায় সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে অন্যপ্রকাশ (প্যাভিলিয়ন), নিমফিয়া পাবলিকেশন (২-৪ ইউনিট) এবং বেঙ্গল বুকস (১ ইউনিট)-কে শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার ২০২৪ প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ড. শাহাদাৎ হোসেন এবং উপপরিচালক সায়েরা হাবীব।

সমীর কুমার সরকার 

পরিচালক 

জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ